আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

গুনাহ করার পর আমলনামায় যে পাপ লেখা হয় না।

আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন কেবল তার এবাদত করার জন্য। তারা আদেশ ও নিষেধগুলো জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পালন করার জন্য। কিন্তু জীবন চলার পথে অনেক মানুষই তা ভুলে যান। শয়তানের কুমন্ত্রণা, প্রবৃত্তির অসৎ তাড়না,পরিবেশ ও সমাজের মন্দ প্রভাবসহ নানা কারণে মানুষ আল্লাহর কথা অমান্য করে থাকে।

কিছু মানুষ আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মান্য করেই তার জীবন অতিবাহিত করেন। তারা আল্লাহকে ভয় করেন। তারা কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করেন না। তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা বলেন→ যে ব্যক্তি প্রতিপালকের কাছে উপস্থিত হতে ভয় করে এবং কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে,জান্নাতই হবে তার স্থায়ী আবাস।( সূরা নাজিয়াত আয়াত ৪০-৪১)

তবে কোনো মানুষ যে ভুল করবেনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই। কারণ প্রকৃতিগতভাবেই মানুষ দুর্বল এবং বিপরীত বা মন্দ কর্মের প্রতি আসক্ত। পবিত্র কুরআনে এসেছে, নিশ্চয়ই মানব মন মন্দকর্ম প্রবণ। (সূরা ইউসুফ আয়াত ৫৩)

হাদীসেও রাসূল (সাঃ) বলেছেন→ প্রত্যেক আদম সন্তান ত্রুটিশীল অপরাধী গুনাহগার। আর অপরাধীদের মধ্যে উত্তম তারা যারা তওবা করে। (সুনানে তিরমিজি হাদিস নাম্বারঃ ২৪৯৯)

আল্লাহ তা’আলা বলেন→ হে ঈমানদারগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা করো, যাতে তোমরা সফল হও। (সূরা নূর আয়াত ৩১)

মানুষের অপরাধ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু মানুষের কর্তব্য হলো পাপের জন্য সঙ্গে সঙ্গে তওবা করে নেওয়া। কারণ আল্লাহর কাছে ওই ব্যক্তি সবচেয়ে প্রিয়,যে গুনাহ করার পর দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চায়। মুসলিম বান্দার পাপ করার সঙ্গে সঙ্গে ফেরেশতারা তা আমলনামায় লেখেন না, বরং নির্ধারিত সময়ে অপেক্ষা করেন।

কারণ যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাপকারী ব্যক্তি ক্ষমা চায় তবে তা মুছে দেওয়া হয় মর্মে হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে। মুসলিম ব্যক্তির জন্য পাপ সংগঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। পাপ করার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা’আলা ওই বান্দাকে ক্ষমা করে দেন ।

র্মমে পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছেঃ আল্লাহ তা’আলা বলেন→ আর যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে কিংবা নিজের প্রতি জুলুম করবে তারপরও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে, সে আল্লাহকে পাবে ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু হিসেবে। (সূরা নিসা আয়াত ১১০)

যারা অন্তর থেকে মহান আল্লাহকে ভয় করে, তারা যদি কোনো কারণে অন্যায় বা পাপের কাজ করে ফেলে, তবে তারা সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নেয়। ক্ষমা প্রার্থনায় তারা যেন দেরি না করে। পবিত্র কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তা’আলা এ বিষয়টিও তুলে ধরেছেন — আল্লাহ তায়ালা বলেন→ আর যারা কোনো অশ্লীল কাজ করলে অথবা নিজের প্রতি জুলুম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে; অতঃপর তাদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। বস্তুতঃ আল্লাহ ছাড়া আর কে গুনাহ ক্ষমা করবে? আর তারা যে অপরাধ করেছে জেনে শুনে তাঁরা যেন তার ওপর অটল না থাকে।( সূরা আল ইমরান আয়াত ১৩৫)

মুমিন ব্যক্তি পাপ করার পর অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে পারে। এ জন্য ফেরেশতারা পাপ কাজ সংঘটিত হওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি কেউ কৃত পাপের জন্য লজ্জিত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় তবে ফেরেশতারা ওই পাপসমূহ তার আমলনামায় লেখেন না, বরং ছেড়ে দেন।

হাদীসেও রাসূল (সাঃ ) বলেছেন→ কোন মুসলিম বান্দা গুনাহ করার পর দুই কাঁধের ফেরেশতা ৬ ঘণ্টা গুনাহ লেখা থেকে কলম উঠিয়ে রাখেন।( অর্থাৎ গুনাহ লেখেন না)

যদি সে বান্দা অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় তাহলে ফেরেশতারা সে গুনাহ না লিখে ছুড়ে ফেলে দেন, অন্যথায় একটি গুনাহ লেখা হয়।( সহিহ আল জামে)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত হবে পাপ করার সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে ক্ষমা প্রার্থনা করা। কেননা পাপ হলে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চাওয়া মুমিন ব্যক্তির অন্যতম গুণ। আর পাপ করার পর নির্ধারিত সময়ে ক্ষমা প্রার্থনা আমলনামাযও় লেখা হয় না বরং মুছে ফেলা হয়। গুনাহমুক্ত জীবন লাভের সব সময় ছোট ছোট বাক্যের এই ইস্তেগফার মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়া যায়। বিশ্বনবী একই মজলিশে বসে এই ইস্তেগফারটি একশতবার পড়তেন। তা হলো—

তবে এটি মনে রাখতে হবে, আপনি যদি কারো হক নষ্ট করেন, তাহলে তওবার পাশাপাশি আপনাকে সেই ব্যক্তি থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। যতক্ষণ না সে ক্ষমা করছে ততক্ষণ আপনি ক্ষমা পাবেন না, ততক্ষণ আপনি গুনাহগার থেকে যাবেন। তাই কারো হক নষ্ট করে ফেললে তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিন। আর ব্যক্তিগত পাপ করে ফেললে, যেমনঃ হস্তমৈথুন, নীল সিনেমা (পর্ণ ভিডিও) দেখা। যেনা ব্যভিচার করা, নেশা করা ইত্যাদি ব্যক্তিগত পাপসমূহ আপনি যদি করে ফেলেন। তাহলে সাথে সাথে আল্লাহর কাছে তওবা করে নিন, ক্ষমা চেয়ে নিন এবং ভবিষ্যতে এই সমস্ত পাপ সমূহ করবেন না বলে, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবেন।

আর কারো সাথে জোর জবরদস্তি করে, যেনা ব্যাভিচার করে ফেললে, তার কাছে গিয়ে এখনই দ্রুত ক্ষমা চেয়ে নিন। অন্যথায় কাল কেয়ামতের ময়দানে আপনি কোনোভাবেই পার পাবেন না। আল্লাহ তায়ালা সকল মুসলিম উম্মাহকে সকল প্রকার পাপ থেকে দূরে থাকার তৌফিক দান করুন, এবং পাপ করে ফেললেও সাথে সাথে ক্ষমা লাভের চেষ্টা করার তৌফিক দান করুন। গুনাহ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষমা প্রার্থনা করে কুরআন হাদীসের উপর যথাযথ আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

Trickbd তে অনেকেই পোস্ট কতে চান কিন্তু করতে পারছেন না। আপনারা Ictbn.Com ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে পারেন।এখানে একাউন্ট করলেই author।এখানে প্রতি পোস্টের জন্য ৫-৫০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়।পোস্টের মানের উপর ভিত্তি করে। ICTBN.Com

আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি

4 thoughts on "গুনাহ করার পর আমলনামায় যে পাপ লেখা হয় না। জেনে অবাক হবেন"

  1. Abdullah Al Sultan Author says:
    আসসালামু আলাইকুম, খুবই সুন্দর পোস্ট।মাশা আল্লাহ। পাপের ব্লার করা চিত্র গুলো না দিলেই ভাল হবে ইং শা আল্লাহ।
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      Thanks
  2. Usama Jayed Contributor says:
    সুন্দর পোস্ট।ধন্যবাদ

    আল্লাহ আমাদের হেফাজত করেন

    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      Thanks

Leave a Reply