আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতু । আশা করি ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি ।

আজ আমি আপনাদেরকে কুরআন এবং জাহান্নাম সম্পকে কিছু কথা বলতে যাচ্ছি যা আপনার অজানা থাকতে পারে । তো চলুন আল-কুরআন,জাহান্নাম সম্পকে আরও কিছু জানি এবং জ্ঞান বৃদ্ধি করি ।

প্রথমে আমরা কুরআন সম্পকে জানব ।

কুরআন শব্দটি কারউন শব্দ থেকে উদ্ভূত । কারউন অথ পাঠ করা । আল কুরআন ‘লাওহি মাহফুযে’ বা সংরক্ষিত ফলকে লিপিবদ্ধ । অথাৎ কিয়ামত পযন্ত এটির কোন পরিবতন হবে না । এটি প্রথমে কদরের রাতে প্রথম আসমানের ‘বায়তুল ইয্যাহ’ নামক স্থানে এক সাথে নাযিল করা হয় । এরপর সেখান থেক মহানবি (স)-এর উপর জীবদ্দশায় প্রয়োজন অনুসারে অল্প অল্প করে নাযিল করা হয় । মহানবি (স) এর উপর প্রথম নাযিল করা হয় তাঁর ৪০ বছর বয়সে সূরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াত নাযিলের মাধ্যমে ।

আল-কুরআনের সূরা সমূহ ২ ভাগে বিভক্ত । যথা- ১।মাক্কি ও ২। মাদানী । হিজরতের আগে যে সকল সূরা নাযিল হয়েছিল সেগুলো হলো মাক্কি এবং যে সূরাগুলো হিজরতের পরে নাযিল হয়েছিল সেগুলো হলো মাদানী ।অনেকেই ভাবে যে সূরাগুলো মক্কায় অবতীণ হয়েছে সে সূরাগুলো মাক্কী এবং যে সূরাগুলো মদিনায় অবতীণ হয়েছে সেগুলো মাদানী । এটি সকলের ভূল ধারণা । কিছু সূরা মক্কায় অবতীণ হয়েছে কিন্তু মাদানি সূরা । এর কারণ সূরাগুলো হিজরতের পরে নাযিল হয়েছিল ।

কুরআন মজিদে ৩০টি পারা রয়েছে । যাতে রয়েছে মোট ১১৪টি সূরা । যার মধ্যে ৮৬টি মাক্কি সূরা এবং ২৮টি মাদানি সূরা । আল কুরআনে ৫৪০টি রুকু ও ১৪টি সিজদাহের আয়াত রয়েছে । এছাড়া ৭টি মনজিল রয়েছে । কুরআন মজিদের আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬টি । তবে বেশিরভাগ আলেমদের মতামত হলো কুরআন মজিদের আয়াত সংখ্যা ৬৬৬৬টি ।

কুরআন মজিদ -এর নাম শুধুমাত্র আল-কুরআন নয় । এর বেশ কিছু নাম আছে । কুরআন মজিদের বৈশিষ্ট্য অনুসারে এর কিছু নাম রয়েছে যা নিচে উল্লেখ করা হলো:-

১। আল-ফুরকান:- ফুরকান শব্দের অথ হলো পাথক্যকারী । আল-কুরআন সত্য-মিথ্যা,ন্যায়-অন্যায়,ভালোবাসা-জুলুমের পাথক্যকারী । এ জন্য আল-কুরআনের একটি নাম হলো আল-ফুরকান ।

২। আল-হুদা:- হুদা শব্দের অথ হলো হিদায়াত বা পথ প্রদশন । আল-কুরআনের মাধ্যমে ন্যায় ও সত্যের দিকে পথ প্রদশন করা হয় । তাই একে আল-হুদাও বলা হয় ।

৩। আর রাহমাহ:- রহমাহের অথ হলো রহমত,করুণা,দয়া । কুরআন মজিদ সকলের জন্য রহমত স্বরুপ । তার কুরআনুল কারিমের আরেক নাম আর রাহমাহ ।

৪। আয-যিকর:- যিকর শব্দের অথ উপদেশ,আলোচনা । কুরআনুল কারিমে অনেক ঘটনার আলোচনা ও অনেক উপদেশমূলক বাণী রয়েছে । তাই একে আয-যিকর ও বলা হয় ।

৫।আন-নুর:- নুর শব্দের অথ জ্যাতি বা আলো । পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে হালাল-হারামের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে । এছাড়া এটি আলোর পথ নিদেশ করে । তাই একে ‘নুর’ বলে অ্যাখ্যায়িত করা হয়েছে । আমি এবার আপনাদেরকে বলব জাহান্নাম সম্পকে । চলুন এবার জাহান্নাম সম্পকে কিছু জেনে নেওয়া যাক:-

জাহান্নাম হলো চিরস্থায়ী কষ্টের স্থান । দুনিয়াতে যারা খারাপ কাজ করবে,আল্লাহর কোন আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে না তারা পরকালে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে ।

আল্লাহ তায়ালা কুরআনের ভিতরে সূরা আন-নিসার ৫৬ নং আয়াতে জাহান্নাম সম্পকে বলেন:-

“যারা আমার আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করবে অচিরেই আমি তাদেরকে জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করাব । সেখানে যখনই তাদের চামড়া জ্বলে যাবে তখনই এর স্থলে নতুন চামড়া সৃষ্টি করব,যাতে তারা শাস্তি ভোগ করতে পারে”।

কুরআন শরিফে মোট ৭টি জাহান্নামের কথা বনিত রয়েছে । এগুলোর নাম হলো:-

১।জাহান্নাম
২।হাবিয়া
৩।জাহিম
৪।সাকার
৫।সাইর
৬।হুতামাহ
৭।লাযা

তো এই ছিল আমার পক্ষ থেকে কুরআন মজিদ এবং জাহান্নামের আলোচ্য বিষয় । ভালো লাগলে লাইক ও কমেন্ট করুন ।ফেসবুকে আমি

আমার সাইট trickhelper.com

Leave a Reply