আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
পবিত্র কুরআনে বর্ণিত দুটি ফল আপনার সৌন্দর্য ফিরিয়ে দিবে!
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত ত্বীন এবং জাইতুল ফল নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে সম্প্রতি জাপানের একদল বিজ্ঞানী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। কিন্তু বিষয়টি কি ছিল….? কেন ত্বীন এবং জাইতুন ফল নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন…? এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। প্রিয় পাঠক এই সূরাতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন→ মানুষের সুন্দরতম গঠন এবং এর সুরক্ষার সাথে ত্বীন – জাইতুনের সম্পর্ক। এই তথ্য তারা পবিত্র কোরআন থেকে পেয়ে ইসলাম ধর্ম কবুল করেছিলেন। তাদের গবেষণার বিষয় ছিল মানুষের ব্রেইন থেকে একটি হরমোন নিঃসরণ হয় এর নাম হলো ম্যিথালোনিডস।
১৫ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত ব্রেন থেকে এই হরমোনটি শরীরের যায়। এই হরমোনের কাজ হলো মানুষের বার্ধক্য রোধ করা এবং তারুণ্যকে ধরে রাখা। তার হার্ট অ্যাটাক থেকেই তাকে সেইফ করা এবং তাকে ব্রেন স্ট্রোক থেকে সেইফ রাখা। তার খাদ্য ও শরীরের ভিতরে গেলে সেটা থেকে ভিটামিন এ বি সি ডি প্রোটিন ফ্যাট ইত্যাদি রূপান্তর করতে সাহায্য করা। ৩৫ বছর পর থেকে এই ম্যিথালোনিডস অনেক কমে যায়। এ জন্যই মানুষ বৃদ্ধ হয়ে যায়। আর মনে রাখবেনঃ যারা অবিশ্বাসী নাস্তিক ও মুসলিম তাদের পৃথিবীতে বেঁচে থাকার একমাত্র পুঁজি।
তারা কখনো বৃদ্ধ হতে চায়না। এজন্য তারা খুঁজতে লাগল এই বিশেষ হরমোন কোথায় পাওয়া যায়। এমন কি কোন জিনিস পাওয়া যাবে যার মধ্যে এই উপাদান পাওয়া যাবে এবং সেটা খেয়ে শরীরের এনার্জি ঠিক রাখতে পারবে কিংবা তারুণ্য ধরে রাখতে পারবে…? গবেষণা করতে করতেই অবশেষে তারা পেল ত্বীন এবং জাইতুন এর মধ্যেই সেই মিথালোনিডস পাওয়া যায়। কিন্তু তারা তো তখনও কুরআন জানেনা। তারা সবেমাত্র আবিষ্কার করেছে। আল্লাহ তায়ালা অমুসলিমদেরকে দিয়ে শত শত কোটি ডলার ব্যয় করিয়ে আপনার জন্য আমার জন্য পবিত্র কোরআনের এক একটি আধুনিক তাফসীর বের করে আনছেন।
সহীহ হাদীসে এসেছে আল্লাহ তায়ালা ইসলামকে ফাসেক কাফির এবং এমন এমন এমন সব জাতি তাদের আখেরাত বলতে কিছুই নেই। এমন সব কাফের জাতিকে দিয়েও এই দ্বীন কোরআনকে এবং ইসলামকে সাহায্য করবেন সুবাহানাল্লাহ। জাপানের বিজ্ঞানীরা যখন দেখলে যে ত্বীন জাইতুন, ডমুর,অলিভের মধ্যে এই মিথালোনিডস রয়েছে, তারপর থেকে তারা তা খেতে লাগলো। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছিল না। তারপরে চিন্তা করল অবশ্যই এটি কোন নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে।
কিন্তু সেই মাত্রাটা কি, যে মাত্রাটি পেলেই কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাবে। গবেষণা করতে করতে খুঁজতে খুঁজতে তারা বিভিন্ন মাত্রায় সেবন করতে করতে একসময় তারা এক পর্যায়ে পেল ডুমুর একমাত্র আর জাইতুন সাত মাত্রা যদি যুক্ত করা হয়। অর্থাৎ একটি ডুমুর এবং ৭টি জাইতুন খেলে একেবারে হুবহু সেই ম্যিথালোনিডস ব্রেইনে তৈরি হয়ে যাবে। এটি আবিষ্কার করার পর তারা এই নিয়মে জাইতুন এবং তিন ফল খেতে শুরু করল এবং এর ফলে তারা পেতে থাকলো।
তারপর আরব জাহানের ডক্টর ত্বহা ইব্রাহিম তার কাছে চিঠি লেখলেন যে, আমরা এমন এক বিস্ময়কর জিনিস আবিষ্কার করতে পেরেছি, যে মানুষের বার্ধক্য রোধকারী এবং বৃদ্ধ বয়সে যে রোগ গুলো হয় সেগুলো প্রতিরোধকারী। অত্যাবশ্যকীয় একটি মূল্যবান ঔষধ এটি। এর নাম হচ্ছে ম্যিথালোনিডস। যেটি মানব ব্রেইনের পাওয়া যায়। ৩৫ বছরের উর্ধ্বে হয়ে গেলে এটি কমে যায়। এজন্য মানুষ বৃদ্ধ হয়ে যায়। সেই সাথে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। সেই মূল্যবান জিনিসটা আমরা পেয়েছি।
তো এরূপ একটি চিঠি আরব জাহানের ডাক্তার ত্বাহ ইব্রাহিম এর কাছে জাপানের ডাক্তাররা পাঠালেন। তিনি আরো বললেনঃ তোমরা দেখো তোমাদের কুরআনে এর কোন তথ্য আছে কিনা….? এ কথা শুনার পর সাথে সাথেই ডক্টর ইব্রাহিম এর মাথায় চট করে সূরা আত ত্বীন ও জাইতুন এর কথা চলে আসলো। তারপর সেই ডাক্তার কুরআনের ত্বীন এবং জাইতুন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য অনুসন্ধান করতে থাকল এবং তিনি পেয়েও গেলেন। মানুষকে সুন্দরতম রাখতে গেলে শেষ জীবন পর্যন্ত এই দুটো জিনিসের বিশেষ প্রয়োজন আছে।
এখন প্রশ্ন হলো এর মাত্রা সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে উল্লেখ আছে কিনা…? অর্থাৎ ত্বীন একটি এবং জাইতুন সাতটি।এ বিষয় সম্পর্কে কিছু বর্ণনা করা আছে কিনা…? তারপর সেই মুসলিম ডাক্তার পবিত্র কোরআনে খুঁজতে থাকলেন। অবশেষে একটি পরিসংখ্যানে তিবি এর ব্যাখ্যাও পেয়ে গেলেন। পবিত্র কোরআনে ত্বীন একবার বলা আছে আর জাইতুন নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৬ বার এবং জাইতুন গাছের নাম আছে একবার অর্থাৎ(৬+১=৭) মোট ৭ বার।
তারপর আরবের ডাক্তার ত্বহা ইব্রাহিম জাপানি ডাক্তারদের কাছে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিলেন যে, হুবহু এই তথ্যটি আমাদের কোরআনের মধ্যে রয়েছে এবং সেইসাথে তিনি তাদেরকে দলিলসহ প্রমান পাঠিয়ে দিলেন। এ তথ্যটি পাওয়ার সাথে সাথেই জাপানি গবেষকদের মধ্যে যিনি প্রধান ছিলেন তিনি ইসলাম কবুল করে নিলেন সুবাহানাল্লাহ। আজকে কুরআন – সুন্নাগর এমন সব বিষ্ময়কর ব্যাখ্যা আল্লাহ তায়ালা আমাদের দেখাচ্ছেন এবং জানাচ্ছেন।এর একটি তথ্য একজন অমুসলিম পেলেই সে সাথে সাথেই মুসলিম হতে বাধ্য। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন আমীন।
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি
জাইতুন মানে জলপাই না?