আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

সুস্থ থাকতে চাইলে রাসূল (সাঃ) এর পানাহারের পদ্ধতিটি শিখে নিন!

প্রিয় পাঠক রাসূল (সাঃ) কেনো সবসময়ই ওয়ান থার্ড প্রসপসে) ১/৩) খাবার গ্রহণ করতেন….? ওয়ান থার্ড প্রসেস কি….? বর্তমান বিজ্ঞান কেনো ওয়ান থার্ড প্রসেসকেই একমাত্র শ্রেষ্ঠ উপায় বলেছেন, পেটের চর্বি কমানোর জন্য। প্রিয় পাঠক আমাদের বড় পেট অথবা ঝুলন্ত পেট অথবা ফুলা পেট কিভাবে কমানো যায় সে বিষয় নিয়ে আলোকপাত করব ইনশাআল্লাহ। আমরা সবাই জানি ওজন এবং পেট কমানোর জন্য ব্যায়াম এর আমল অত্যন্ত জরুরি। যদি এটি আপনি করেন, তাহলে আপনার দুনিয়াবী যেমন উপকার হবে এবং তেমনি আপনি সুস্থভাবে বেঁচে থেকে আল্লাহর ইবাদত করতে পারবেন সুস্থ-সবল শরীরে নিয়ে।

হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সালাম বলেছেন→ শক্তিশালী মুমিন আল্লাহর নিকট দুর্বল মুমিনের চেয়ে বেশি প্রিয়।( মুসলিম হাদিস নাম্বারঃ ৪/২০৫২)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম আরো বলেছেনঃ সবচেয়ে উত্তম ওষুধ হচ্ছে কোরআনে পাক। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারীমের মধ্যে বলেন→ আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। (সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত ৮২)

প্রিয় পাঠক, অনেকেই ব্যায়াম করতে পারে না কিন্তু তারা ওজন কমাতে চায়। তারা চায় যে ব্যায়াম ব্যতীত পেট কমাবে এবং ওজন কমাবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে খাদ্য অভ্যাস এর পাশাপাশি যথাযথ ব্যায়াম এ দুটোর সমন্বয়ে কিন্তু একটি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায়। আমরা যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম এর জীবন টাকে পর্যালোচনা করি তাহলে কিন্তু আমরা দেখতে পাব পরিমিত খাদ্যাভ্যাস যেটাকে আমরা one-third প্রসেস বলছি এবং পরিমিত ব্যায়াম এ দুটোর সমন্বয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম এর জীবন পরিচালিত ছিল।

আপনারা জানেন অনেক লোক যারা পেটের চর্বি এবং ওজনের কারণে অনেক পেরেশান অনেক সময় তারা এ পেরেশানির জন্য খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়। তাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম এর একটি উপদেশ। কিন্তু তার পূর্বে একটি কথা সর্বদা মনে রাখবেন এবং আজ থেকেই সেগুলো ছেড়ে দেবেন। আপনি যদি চান যে আপনার বড় পেট অথবা অধিক চর্বিযুক্ত ফোলা পেট কমাবেন তাহলে এই জিনিসগুলো অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে। যেমন সয়াবিন তেল, ফাস্টফুড এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার।

সোজা কথা খুব বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার এবং খুব বেশি পরিমাণে ফ্যাট যুক্ত খাবার এবং পোড়া তেল বা বাজে তেল পরিহার করতে হবে। আর খাওয়ার সময় সম্পূর্ণ পেট ভরে কখনোই খাবেন না। এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর ওয়ান থার্ড প্রসেসর ফলো করবেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম যখন খাবার গ্রহণ করতেন, তখন তিন ভাগের এক ভাগ খাবার খেতেন এবং এক ভাগ পানি দ্বারা পূর্ণ করতেন এবং বাকি একাংশ খালি রাখবেন। আপনি যদি আপনার পেট কমাতে চান, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ কমাতে চান, তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম এর ওয়ান থার্ড প্রসেসটি ফলো করতে পারেন।

যা বর্তমানে যত আন্তর্জাতিক ফুড গবেষক রয়েছেন, তারা সবাই একমত পোষণ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সালাম এর ওয়ান থার্ড প্রসেসর খাবার প্রক্রিয়াটি শ্রেষ্ঠ খাদ্য গ্রহণের প্রক্রিয়া। সুবাহানাল্লাহ। প্রফেসর ডক্টর রিচার বার্ড এই মর্মে একটি তালিকাও প্রণয়ন করেছেন। তিনি লিখেছেন, এই ১/৩ প্রসেস না মানলে অর্থাৎ বেশি বেশি খাবার খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে। (১) মস্তিষ্কের ব্যাধি (২) চক্ষুরোগ (৩) জিব ও গলার রোগ (৪) বক্ষ ও ফুসফুসের ব্যাধি (৫) হূদরোগ (৬) যকৃত ও পিত্তের রোগ (৭) ডায়াবেটিস (৮) উচ্চরক্তচাপ (৯) মস্তিষ্কের শিরা কেটে যাওয়া (১০) দুশ্চিন্তাগ্রস্ততা (১১) অর্ধাঙ্গ রোগ অর্থাৎ প্যারালাইসিস (১২) মনস্তাত্ত্বিক রোগ (১৩) দেহের নিম্নাংশ অবশ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।( সূত্রঃ সান উইকলি, সুইডেন)

গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে যে এই তালিকা প্রকৃতপক্ষে মৃত্যুর তালিকা। যার সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু মহানবীর সাল্লাহু সাল্লাম এর জীবন চরিত ও হাদীসের প্রতি লক্ষ্য করুন তার খাদ্যবিধি অধ্যায়ন করুন

তিনি বলেছেন →পেটের এক-তৃতীয়াংশ আহারের জন্য, পেটের এক-তৃতীয়াংশ পানির জন্য এবং পেটের এক-তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য খালি রাখবে।( ইবনে মাজাহ হাদিস নাম্বারঃ ৩৩৪৯)

পেটের এক-তৃতীয়াংশ পানি দিয়ে পূর্ণ করতে বলার কারণ হলো পানির মধ্যেও বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে। যেমন দেহে পানির অভাব পূরণ করা, রক্তের তরলতা বজায় রাখা, শরীরে থেকে অপ্রয়োজনে দূষিত পদার্থ নির্গত করতে সাহায্য করা, খাদ্যদ্রব্য হজম করতে সাহায্য করা, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, শরীরের অম্ল ও ক্ষারের স্বাভাবিকতা ঠিক রাখা, হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করা।

একজন ঈমানদার শুধুমাত্র নামাজ রোজার মধ্যেই তার জীবনকে সীমাবদ্ধ রাখেন না। তারা আহার বিহারী নিদ্রা জাগরণ সবকিছুই রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম এর জীবনাদর্শের মোতাবেক পরিচালিত হতে হবে। মুহাম্মদ ইবনে বাশশার রহমতুল্লাহি হযরত নাফে রহমাতুল্লাহি বর্ণনা করেন তিনি বলেন ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তালা ততক্ষণ পর্যন্ত আহার করতেন না যতক্ষণ না তার সঙ্গেই খাওয়ানোর জন্য একজন মিসকিনকে ডেকে না আনা হতো।

একবার আমি তার সঙ্গে বসে খাবার হওয়ার জন্য এক ব্যক্তিকে নিয়ে এলাম। লোকটি খুব বেশি পরিমাণে আহার করল। তখন তিনি বলেন এই নাফে! এমন পেটুক মানুষকে আমার কাছে নিয়ে আসবে না। কারণ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম কে বলতে শুনেছি, মুমিন এক পেটে খায় আর কাফের সাত পেটে খায় অর্থাৎ অতিরিক্ত খাবার খায়। ( সহিহ মুসলিম হাদিস নাম্বারঃ ২০৬০, মুসনাদে আহমেদ হাদিস নাম্বারঃ ১৫২২০)

প্রিয় পাঠক এভাবে যদি কেউ খাবার গ্রহণ করেন তবে কখনোই তার পেটে চর্বি জমবে না বা পেট বড় হয়ে যাবেনা। আর একটি বিষয় মনে রাখবেন রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম কখোনই ভরপেট খেতেন না। আর খাবারের শুরুতে তিনি পানি খেয়ে নিতেন। খাবার শেষে সাথে সাথে পানি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। খাবার গ্রহণের কমপক্ষে কুড়ি মিনিট পর পানি খেতে হবে এবং তিন ডোকে বসে পানি পান করতে হবে।

যদি এই নিয়ম অনুযায়ী চলেন তাহলে খুব সহজেই আপনি আপনার ওজন কমাতে পারবেন এবং আপনার মোটা জুলন্ত পেট ভিতর চলে আসবে ইনশাআল্লাহ। তার সাথে সাথে আজকে আমরা যে আমল আলোচনা করব সেটিও আপনার জন্য অনেক উপকারী হবে। সেটি হচ্ছে খালি পেটে ব্যায়াম করে। সূরা ফাতিহা সাতবার পড়ে জাইতুনের তেলে ফুঁক দিবেন এবং উক্ত যাইতুনের তেল কিছুটা খাবেন কিছুটা শরীর মালিশ করবেন এবং কিছুটা মাথায় চুলে ব্যবহার করবেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন→ তোমরা জাইতুনের তেল খাওয়া এবং তা শরীরপ মালিশ করো এবং চুলে ব্যবহার করো কেননা এটা বারাকাহ ও প্রাচুর্যময় গাছের তেল।( সহীহ ইবনে মাজাহ হাদিস নাম্বারঃ ১৩১৯)

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি

2 thoughts on "সুস্থ থাকতে চাইলে রাসূল (সাঃ) এর পানাহারের পদ্ধতিটি শিখে নিন! অতিরিক্ত ওজন কমাতে নবীজির পানাহারের পদ্ধতিটি খুবই কার্যকর"

  1. Bloggerrakib Subscriber says:
    অসাধারন লিখেন আপনি।
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ ভাই ?

Leave a Reply