আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

২১ দিন এই সুন্নত নিয়মে পানি পান করলে কি হয়

প্রিয় পাঠক পানি সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্য আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো যা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। পবিত্র কুরআন-হাদীস ও বিজ্ঞানকে সামনে রেখে আজকে তথ্যগুলো আপনাদের সামনে পেশ করব ইনশাআল্লাহ। আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন তাহলে অনেক কিছু শিখতে পারবেন আলোচনার প্রথমেই পানি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন থেকে কিছু তথ্য দেব। তারপর এই তথ্যকে সামনে রেখে চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে কতটা পানি পান করতে হবে এবং পানি পান করার উপকার হয়েছে তা তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ। এবং সবশেষে ২১ দিনে একটি বিশেষ নিয়মে পানি পান করলে কি হয় সেটা নিয়ে আলোচনা করব ইমশাআল্লাহ। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

পবিত্র কোরআন শরীফে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন →আর তিনি মানুষকে পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তাকে রক্তগত বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন। তেমার পালনকর্তা সবকিছু করতে সক্ষম। (সূরা ফুরকান আয়াত ৫৪)

এছাড়া পানি সম্পর্কে সূরা ওয়াকিয়ার ৬৮ থেকে ৭০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা সুন্দরভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। আল্লাহ তা’আলা বলেন →তোমরা যে পানি পান করো সে সম্পর্কে তোমরা ভেবে দেখেছ কি…? ( সূরা ওয়াকিয়া আয়াত ৬৮) তোমরা কি তা মেঘ থেকে নামিয়ে আনো না আমি তা বর্ষণ করি…? (সূরা ওয়াকিয়া আয়াত ৬৯) আমি তো ইচ্ছে করলে তা লোনা করে দিতে পারি, তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো না (সূরা ওয়াকিয়া আয়াত ৭০)

আল্লাহ তায়ালা আরো বলেছেন→ আমি আকাশ থেকে কল্যাণময় বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং তা দ্বারাও বাগান ও শস্য উদগত করি, যেগুলোর ফসল আহার করা হয়। (সূরা ক্বাফ আয়াত ৯-১০)

আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন → আমি আকাশ থেকে উপযুক্ত পরিমাণে বারি বর্ষণ করি এবং তা মাটিতে রেখে দেই এবং নিশ্চয়ই আমি তা সহজেই সরিয়ে নিতে সক্ষম।( সূরা আল মু’মিনুন আয়াত ১৮)

পবিত্র কোরআনের এইসব আয়াতে আল্লাহ তা’আলা পানির মতো একটি বড় নিয়ামত এর গুরুত্ব উল্লেখ করেছেন। তিনি আমাদের জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার কথাও বলেছেন। রাসূল (সাঃ) পানিকে দুনিয়ার তিনটি আশ্চর্যজনক সৃষ্টির একটি বলে উল্লেখ করেছেন। আবু দাউদ শরীফের একটি হাদীসে উল্লেখ রয়েছে মহানবী সাল্লাহু সাল্লাম বলেন→ তিনটি জিনিসের উপর মানুষের স্বাভাবিক অংশে রয়েছেঃ সেগুলো হলো গাছ, পানএবং ও আগুন। গাছ না থাকলে পৃথিবী পানিশূন্য হয়ে যেতো, এই পৃথিবী বেঁচে থাকার উপযুক্ত থাকতো না। তাই নবী সাল্লাহু সাল্লাম আরো বলেন→ যে ব্যক্তি বিনা প্রয়োজনে গাছ কাটবে, আল্লাহ তার মাথা আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করবেন। (আবু দাউদ হাদিস নাম্বারঃ ৫২৪১, বায়হাকী ৬/১৪০)

প্রিয় পাঠক বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, পানির অপর নাম জীবন। কথাটির অর্থ হল শতভাগ সত্য। গবেষণায় স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে হাইড্রেটেড থাকা বা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান হল একটি সর্বোত্তম স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। যখন আপনি পর্যাপ্ত পানি পান করবেন তখন আপনার শরীর ও মস্তিষ্ক সুস্থ ও সবল থাকবে এবং উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধিত হবে।

ছোট্ট একটি উদাহরণ আপনাদের সামনে তুলে ধরলে বিষয়টি আরো পরিস্কার বুঝতে পারবেন। মনে করুন আপনি কিছু চারা গাছ লাগিয়েছেন এবং প্রত্যেক দিন সেই চারা গাছ গুলোর যত্ন নিন এবং তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দিন, দেখবেন গাছগুলো খুব সুন্দরভাবে বড় হবে এবং তার শাখা-প্রশাখা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়বে এবং সবুজে ভরে যাবে। এরপর হঠাৎ যদি আপনি কিছুদিন গাছে পানি দেওয়া বন্ধ করে দেন, তাহলে দেখবেন গাছের পাতাগুলো শুকিয়ে যাবে, গাছের রং খারাপ হয়ে যাবে, শাখা-প্রশাখা গুলো দুর্বল হয়ে যাবে। তখন আপনি বুঝতে পারবেন গাছকে সুন্দর করে বড় করতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি অবশ্যই দরকার।

প্রিয় পাঠক এমন অনেক মানুষ আছেন যারা খুব ভালো ভালো খাবার খায়, তারপরেও তাদের স্বাস্থ্য ভালো হয় না। কোনো অসুখ নেই তবুও শরীর দিনের পর দিন শুকিয়ে যায়। এমন মানুষ যদি আপনার আশেপাশে থেকে থাকে বা আপনি হয়ে থাকেন তাহলে আজ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। দেখবেন খুব দ্রুত আপনি আপনার স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য ফিরে পাবেন। জীবনের জন্য অক্সিজেনের যেমন প্রয়োজন অক্সিজেন ব্যতীত জীবের বেঁচে থাকা অসম্ভব। তেমনি অক্সিজেনের পরেই সকল খাবার এর মধ্যেই পানির স্হান। পানি ছাড়া মানুষের বেঁচে থাকা অসম্ভব।

পানি স্থলভাগের আনুপাতিক হার যথাক্রমে 71% পৃথিবীর মতো প্রতিটি মানুষের দেহে প্রায় 72 শতাংশ পানি। এমনকি আমাদের হাড়ের এক-চতুর্থাংশ পানি। মস্তিষ্কের 85 ভাগ পানি দ্বারা গঠিত। আমাদের রক্তের 83 ভাগ পানি পেশি বা মাংশের ৭৫ ভাগ পানি, চোখে এবং ফুসফুসের 80 শতাংশই পানি। অর্থাৎ আমাদের শরীরের দুই তৃতীয়াংশই হচ্ছে পানি দ্বারা গঠিত। শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো সঠিক কর্ম সম্পাদনের জন্য পানির প্রয়োজন। সুস্থ-সবল ভাবে বেঁচে থাকার জন্য পানি পানের কোনো বিকল্প নেই। পানি পান করার সবথেকে উত্তম নিয়ম গুলো জানার পূর্বে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে কি কি উপকার পাওয়া যায় চলুন সেগুলো জেনে নেই।

এক নাম্বারঃ সৌন্দর্য বাড়ে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে শরীরের কোষ গুলো সতেজ হয়ে যায়। যার কারণে শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি চেহারার উজ্জ্বলতা বাড়ে।

দুইনাম্বারঃ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। মস্তিষ্কে পানির পরিমাণ প্রায় 85%। কম পানি পান করলে মস্তিষ্কে পানির পরিমাণ কমে যায় যার কারণেই স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিমিত পানি পান করলে মস্তিষ্কে পানির পরিমাণ ঠিক থাকে। ফলে সৃতিশক্তি মজবুত থাকে এবং চিন্তাশক্তি ও বুদ্ধি বৃদ্ধি পেতে থাকে।

তিন নাম্বারঃ কিডনি ভালো থাকে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে শরীর থেকে বেরিয়ে আসা ক্ষতিকারক উপাদান গুলো কিডনিতে জমা থাকতে পারে না। যার ফলে কিডনি ভালো থাকে।

চতুর্থ নাম্বারঃ পিঠ ও গিঁটের ব্যথা দূর হয়। প্রতিদিন নিয়মিত ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করলে পিঠের ব্যথা কমে যায়। কিছু মানুষের মাঝে এই পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে যে, প্রায় 80 শতাংশ রোগী যাদের পিঠ ও পেটে ব্যথা ছিল তারা ব্যথামুক্ত হয়েছে।

পঞ্চম নাম্বারঃ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে মলাশয়ের ক্যান্সার এর ঝুঁকি 45% স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি 79 শতাংশ এবং ব্লাড ক্যান্সারের ঝুকি 50% কমে যায় বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

ষষ্ঠ নাম্বারঃ চিন্তা মুক্ত থাকা যায়। যেহেতু আমাদের ব্রেনের 85% হচ্ছে পানি একটু পর পর পানি পান করলে এই মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা যায় এবং শারীরিক শক্তি বাড়ে।

তাছাড়া পানির রক্তসঞ্চালন বাড়ায় তাই উচ্চ রক্তচাপ কমে যায় তবে টক্সিন জমতে দেয়না স্বাভাবিক রঙের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়। শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না চোখের ডার্ক সার্কেল এবং মুখের বলিরেখা দূর হয়। চুলের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয় এবং রাতে ঘুম ভালো হয়। শরীরে এনার্জি বৃদ্ধি পায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান হয়। স্বাস্থ্য ভালো থাকে ইত্যাদি বহু উপকার রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার মাধ্যমে। এবার আসুন জেনে নেই পানি পান করার কিছু নিয়ম কানুন যা সম্পূর্ণরূপে মেনে চললে সুস্থ থাকা আমাদের জন্য খুবই সহজ হতে পারে।

এক নাম্বারঃ সুন্নত মেনে পানি পান করুন। যেমন বসে বিসমিল্লাহ বলে ৩ ডোকে বা ৩ নিঃশ্বাসে পানি পান করুন। একেবারে একসাথে ঢকঢক করে পানি পান করবেন না। পানি পান করার সময় যেন পানিতে কোন নিঃশ্বাস না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় বলা হয়ে থাকে পানিতে নিঃশ্বাস পড়লে অনেকগুলো বিষাক্ত হয়ে যায়। আবার হাদিস রয়েছে এমন ইঙ্গিত। যেমন হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম পানপাত্রে নিঃশ্বাস ফেলতে ও তাতে ফুঁক দিতে নিষেধ করেছেন।( ইবনে মাজাহ হাদিস নাম্বার ৩৪২৮)

নবী (সাঃ) আমাদের অনেক সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। যার মধ্যে অন্যতম হলো পানি পান করার সময় পাত্রে নিঃশ্বাস না ফেলা। অনেকের কাছে বিষয়টি হালকা মনে হলেও বাস্তবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। বেশিরভাগ সাধারণ মানুষই মনে করে এটি নিছক পানি পানের আদব। যেহেতু পানি পান করার সময় পাত্রের নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেই পাতি ঘোলো হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবতা শুধু এটাই নয়

পানি পানের সময় পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলার কারণেই সেই পানি বিষাক্ত হয়ে যায়। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য নাক ও মুখ দিয়ে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে। নিঃশ্বাসে সাথে দেহে দূষিত বায়ু রোগ জীবাণুবাহী আপেক্ষকৃত ভারী পদার্থ কার্বন-ডাই-অক্সাইড যা খাবার কিংবা পানির সঙ্গে মিশিয়ে আবার মানুষের দেহের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। ফলে দেহে বিভিন্ন রোগ জীবাণুর আস্তানা গড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। বিশুদ্ধ পানির জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। উন্নত বিশ্বে এই খাতে খরচ করা হয় কোটি কোটি ডলার। ডিডাব্লিউ এক তথ্যমতে জার্মানিতে 4 জনের একটি পরিবার বিশুদ্ধ পানির জন্য দেড় হাজার ইউরো ব্যয় করে।

যা বাংলাদেশী টাকায় হিসেবে করলে 1 লক্ষ 49 হাজার তিনশত টাকার মত হয় এবং ভারতীয় রুপি তে হিসেব করলে এক লাখ 29 হাজার 900 টাকার মত হয়। এতকিছু করার পরও যদি কেউ পানি পান করার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম এর এই হাদিসটির উপর আমল না করে তাহলে তার পুরো পরিশ্রম বৃথা হয়ে যায়। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে অনেকের এভাবে পানি পান করতে গেলে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে পারে। কিংবা পানি পানে অতৃপ্তি লাগতে পারে তাহলে তারা কি করবে…? তার সমাধান দিয়েছেন আমাদের বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাম পানীয় পানকালে তাত ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন। তো এক লোক নিবেদন করলো পানিপাত্রে যদি আমি খরকোটা দেখতে পাই বা কোন মেয়লা দেখতে পাই…? তখন তিনি বললেন তাহলে তা ঢেলে ফেলে দাও। তারপর সে ব্যক্তি আবারও নিবেদন করল এক শ্বাসে পানি পান করে বা নিঃশ্বাস বন্ধ করে পানি পান করে আমার পানি পানে তৃপ্তি হয় না। তখন নবীজী বললেন→ তাহলে তুমি পেয়ালা মুখ থেকে সরিয়ে নিয়ে নিঃশ্বাস গ্রহণ করো। (সূত্র রিয়াদুস সালেহীন হাদিস নাম্বারঃ ৭৬৯) শুধু পানি কেন যে কোন গরম খাবারও ফুঁ দিয়ে খাওয়া উচিত নয়। তাতে শরীরের জীবাণু প্রবেশ করতে পারে।

দুই নাম্বারঃ পানি পান করার সময় বসে পানি পান করবেন, দাঁড়িয়ে বা হেঁটে হেঁটে পানি পান করবেন না। হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল করীম সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন, কারো দাঁড়িয়ে পানি পান করা উচিত নয়। যদি কেউ বসে পানি পান করতে ভুলে যায় তাহলে সে যেন উক্ত পানি বমি করে বের করে দেয়। (সহিহ মুসলিম হাদিস নাম্বারঃ ৫০২২)

এখানে রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম এর হাদিস এর মাধ্যমে বসে পানি পান করার গুরুত্ব আমাদের বুঝিয়েছেন। আজকের বিজ্ঞান ও বলছে যে দাঁড়িয়ে পানি পান করা হলে তা দ্রুত কোলন ও মলাশয় চলে যায়। ফলে পানির প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপকরণ শরীরে শোষিত হয় না। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে আরো অনেক স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। যেমন হজমজনিত সমস্যা, পেট ব্যথা, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হওয়ার উত্তেজনা ইত্যাদি।

তিন নাম্বারঃ প্রতিদিন বাসি মুখে এক থেকে দুই গ্লাস পানি পান করুন এবং যখনই পানি পান করবেন তখন পানি যেন সারা মুখে ঘুরিয়ে তারপর পান করা হয় শুধু একটা সবসময় খেয়াল রাখবেন।

চতুর্থ নাম্বারঃ খাবার খাওয়ার 30 মিনিট পূর্বে এবং খাবার শুরু করার ঠিক আগমুহূর্তে এক গ্লাস পানি পান করে নিবেন।

পঞ্চম নাম্বারঃ খাবার খাওয়ার সময় বা খাবার খাওয়ার পর খুব প্রয়োজন না হলে পানি পান করবেন না। তবে খাবার আটকে গেলে বা খাবার আটকে যেতে পারে এমন অবস্থা হলে সামান্য পানি পান করা যেতে পারে। অর্থাৎ খাবার খাওয়ার সময় বা খাওয়ার পরপর সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করবেন না। খাবার খাওয়ার কুড়ি থেকে ত্রিশ মিনিট পর পানি পান করবেন এবং তারপর 10 থেকে 15 মিনিট পর পর হালকা হালকা পানি পান করবেন। কারণ একসঙ্গে অতিরিক্ত পানি পান করলে অনেক সমস্যা হতে পারে তাই কাজকর্মের ফাঁকে ফাঁকে সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন।

একেবারে বেশি পানি পান করবেন না একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কি নিয়ম মেনে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন থেকে চার লিটার পানি পান করতে হবে। তবে মানুষভেদে এর কমবেশি হতে পারে এবং রাস্তাঘাটে ভ্রমণকালে প্রয়োজনমতো পানি পান করবেন অতিরিক্ত পানি পান করা থেকে বিরত থাকবেন। নচেৎ মানুষের ভিড়ে সময়মতো বাথরুম করার জায়গা না পেলে কিডনিতে চাপ পড়ে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই আপনার সুবিধামতো পানি পান করবেন। সব শেষ কথা হলো 21 দিন এই নিয়মে পানি পান করার পর থেকেই এর উপকার বুঝতে পারবেন
ইনশাআল্লাহ।

তারপর আপনাকে আর পানি পান করার জন্য জোর করতে হবে না আপনাকে বুঝাতে হবে না। আপনার স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের উন্নতি দেখে দেখে আপনি নিজে থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করাতে অভ্যস্ত হয়ে জাবেন ইনশাআল্লাহ। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে চাইলে আমাদের স্বাস্থ্যের দিক অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এই ছিল গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য যা আপনার স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি

2 thoughts on "২১ দিন এই সুন্নত নিয়মে পানি পান করলে কি হয়। আসুন জেনে নেই"

  1. atikraz Contributor says:
    ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      ?

Leave a Reply