আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না । সরাসরি পোস্টের কথাতে আসতে চাই ।

অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদেরকে জুমআর দিনের কিছু গুরুত্বপূণ কাজ নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্টটি পড়বেন । ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন ।

জুমুআর দিনের গুরুত্বপূণ কাজ সমূহ :-

আমরা জানি যে প্রতি সপ্তাহের শুক্রবারকে জুমুআর দিন বলা হয় । জুমুআর দিনের গুরুত্বপূণ কাজসমূহের ভিতর একটি হলো এই দিনে রোজা রাখা । মহানবি (স) প্রতি শুক্রবার রোজা রাখতেন । এর কারণে তিনি বলতেন এই দিনে জান্নাতের দরজা খুলে রাখা হয় এবং এটি একটি রহমত ও বরকতের দিন ।মহানবি (স) শুধুমাত্র শুক্রবার রোজা রাখতেন না । সপ্তাহের সোমবারও রোজা রাখতেন । এর কারণ হলো সোমবার তাঁর জন্মদিন । এছাড়া তাঁর রোজার রাখার অনেক হাদিস পাওয়া যায় । যেমন কিছু বণনায় পাওয়া গিয়েছে যে যেদিন মহানবি হযরত মোহাম্মদ (স) এর খাবার খেতে ভালো লাগত না সেদিন তিনি রোজা রাখতেন । জুমুআর দিন মহানবি (স) কখনোই রোজা ছাড়তেন না । মহানবি (স) জুমুআর দিন বাচ্চাদেরকে মসজিদে নিয়ে যেতে আদেশ দিতেন । তিনি শুক্রবার জুমুআর নামাযে তাঁর প্রিয় নাতি হাসান এবং হুসাইনকে সাথে নিয়ে যেতেন ।

শুক্রবার অথাৎ জুমুআর দিনের আরও একটি গুরুত্বপূণ ইবাদত হলো জুমুআর দুই রাকাত ফরজ সালাত আদায় করা এবং জুমুআর দিন দ্রুত মসজিদে যাওয়া । হাদিসে এসেছে যে জুমুআর নামায আদায়ের জন্য যে সবপ্রথম মসজিদে হাজির হবে সে একটি উট কুরবানী দেওয়ার সমান সওয়াব লাভ করবে । যে দ্বিতীয় মসজিদে হাজির হবে সে একটি মহিষ কুরবানী দেওয়ার সমান সওয়াব লাভ করবে । এভাবে পযায়ক্রমে একেকজন একেক রকম সওয়াব লাভ করবে । জুমুআর নামাযের আগে আতর ব্যাবহার করা সুন্নাত । মহানবি হযরত মোহাম্মদ (স) প্রতি শুক্রবার জুমুআর নামাযের জন্য রওয়ানা হওয়ার আগে আতর ব্যাবহার করতেন । জুমুআর নামাযে ২রাকাত ফরজ সালাত ছাড়াও আরও ৮রাকাত সুন্নাত নামায রয়েছে । এই নামাযগুলো মহানবি হযরত মোহাম্মদ (স) কখনোই ছাড়তেন না । প্রতি শুক্রবার জুমুআর নামাযে এই ৮রাকাত নামায আদায় করতেন ।

আগের মানুষের জীবন ছিল অনেক বছরের । প্রায় হাজার বছরের সমান । আর এখনকার মানুষের জীবন খুব বেশি হলেও শত বছরের বেশি ওঠে না । তাদের ইবাদতের তুলনায় আমাদের ইবাদত খুবই কম । তাই কম ইবাদতে সওয়াব বাড়ানোর জন্য আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন দিন নিধারণ করে দিয়েছেন । সেই দিনগুলোতে ইবাদত করলে সওয়াব বেশি পাওয়া যায় । এরকমই একটি দিন হলো জুমুআর দিন । এই দিনে ইবাদত করলে সওয়াব বেশি পাওয়া যায় । সুতরাং আমরা এই দিনে বেশি বেশি ইবাদত করব ।

তো এই ছিল আমার আজকের আলোচনা । ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন । ভূল হলে ক্ষমা করবেন ও কমেন্টের মাধ্যমে ধরিয়ে দিবেন ।

Leave a Reply