আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না । সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।
অনেকেই হয়তো পোস্টের টাইটেল দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদেরকে মুসলমানদের দোয়া কবুলের স্থানসমূহ নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি । তো যাই হোক আমি পোস্ট শুরু করে দিই । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । আমার আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন ।
মুসলমানদের দোয়া কবুলের স্থানসমূহ :-
· মুসলমানদের জন্য দোয়া কবুলের অনেকগুলো স্থান রয়েছে । এদের মধ্যে নামায অন্যতম । নামাযই হলো মুসলমানদের জন্য একমাত্র ইবাদত যেটি প্রতিনিয়ত পালন করতে হয় । আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের জন্য দিয়েছেন সঠিক ও সহজ সরল জীবনব্যাবস্থা । তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য । তিনি আমাদের সৃষ্টিকতা,পালনকতা,রক্ষাকতা । তিনি আমাদের সকল মনের কথা বুঝতে পারেন । আমাদের দোয়া কবুল করেন । তবে তিনি আমাদেরকে কিছু নিদিষ্ট জায়গা দেখিয়ে দিয়েছেন যে জায়গাগুলোতে দোয়া করলে সেই দোয়া কখনোই ফেলে দেওয়া হয়না । এরকম কিছু জায়গার মধ্যে নামাযে কিছু জায়গা রয়েছে । এগুলো নিয়েই আমার আজকের পোস্টটি লেখা । এব্যাপারে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলো ।
· নামাযের ভিতরে দোয়া কবুলের স্থানের মধ্যে একটি হলো দুটি সিজদাহের মাঝখানে করা দোয়া । আমরা জানি যে নামাযের প্রতিটি রাকাতে ২টি করে সিজদাহ দিতে হয় । এই দুটি সিজদাহে ১টি সিজদাহ দেওয়ার পর বসে পুনরায় আবার একটি সিজদাহ সম্পন্ন করতে হয় । দুটি সিজদাহের মাঝে বসার সময় যে দোয়া করা হয় সেই দোয়া কখনোই ফেলে দেওয়া হয় না । মহানবি (স) দুই সিজদাহের মাঝে অনেক্ষন বসে থাকতেন ও অনেক দোয়া করতেন । নিদিষ্ট কোন দোয়া করতেন না । নিজেদের প্রয়োজনে এখানে দোয়া করতেন মহানবি (স) ।
· নামাযের মধ্যে দোয়া কবুলের আরও একটি স্থান হলো সিজদাহের স্থান ।
নামাযের মধ্যে প্রতিটি রাকাতে দুটি সিজদাহে থাকা অবস্থাতে করা দোয়া কবুল করা হয় । মহানবি (স) নিজেই সিজদাহে প্রচুর দোয়া করতেন । মহানবি (স) সাহাবিদেরকে সিজদাহে দোয়া করার নিদেশ দিতেন । এছাড়া যুদ্ধের আগে মহানবি (স) সিজদাহে পড়ে দোয়া করতেন । এবং সকল দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করতেন । তাই আমাদের সিজদাহকে লম্বা করতে হবে এবং দোয়া করব ।
· নামাযের মধ্য আরও একটি দোয়া কবুলের স্থান হলো শেষ বৈঠকে আত্যাহিয়্যাতু পড়ার পরের স্থান ।
প্রতিটি নামাযে সবশেষ রাকাত শেষে বৈঠকে বসতে হয় । শেষ বৈঠকে আত্যাহিয়্যাতু পড়তে হয় । এটি পড়া ওয়াজিব । এটি পড়েই সালাম ফেরালে আপনার নামায হবে । তবে মহানবি (স) শেষ বৈঠকে দুরুদ শরীফ পড়তেন । মহানবি (স) এটি প্রতি নামাযের শেষ বৈঠকে পড়তেন । তাই এটি পড়া সুন্নাত । আমরা যে দোয়া মাছুরা পড়ি তা কোন হাদিসে পাওয়া যায় না । যেহেতু শেষ বৈঠকে আত্যাহিয়্যাতু পড়ার পর যে দোয়া করা হয় তা কবুল করা হয় । এজন্য এই গুরুত্বপূণ দোয়াটি প্রতি শেষ বৈঠকে পড়া উচিত । আত্যাহিয়্যাতু পড়ার পর যে দোয়া করা হয় তা কবুল করা হয় ।
তো এই ছিল আমার আজকের পোস্ট । ভুল হলে ক্ষমা করবেন । ধন্যবাদ ।