আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।

অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদের সাথে হজের ফরজ,ওয়াজিব ও সুন্নাত কাজসমূহ নিয়ে আলোচনা করব । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন ।

হজের ফরজ :-

ফরজ শব্দের অথ হলো অবশ্য পালনীয় । আর হজের ফরজ হলো হজ করতে গেলে অবশ্যয় পালনীয় কাজ । ওযুর ফরজ ৩টি । যথা :-

১। হজের নিয়তে ইহরাম বাঁধা ;
২। আরাফার ময়দানে ৯ই জিলহজ তারিখে অবস্থান (ওকূফ) করা ;
৩। তাওয়াফে যিয়ারত করা ।

হজের ওয়াজিব সমূহ :-

ওয়াজিব হলো ফরজের পরের ধাপ । এটিও পালন করতেই হবে । তা না হলে গোনাহ হবে । কেউ চাইলেই এটি ত্যাগ করতে পারবে না । আর হজের ওয়াজিব বলতে বোঝায় হজের ফরজ পালনের মধ্যে আরও কিছু গুরুত্বপূণ কাজ পালন করা । হজের ওয়াজিব মোট ৭টি । যথা :-

১। আরাফার ময়দানে হতে প্রত্যাবতনের সময় মুযদালিফায় অবস্থান করা ;

২। সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝখানে দৌড় দেওয়া ;

৩। শয়তানকে অথাৎ জামরাতুল আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করা ;

৪। তাওয়াফে বিদা অথাৎ মক্কার বাইরে থেকে আগত হাজিদের জন্য বিদায়কালীন তাওয়াফ করা । একে বিদায়ী তাওয়াফ বা তাওয়াফুল বিদা বলে ;

৫। মাথার চুল কাটা ;
৬। কুরবানি করা ;
৭। দম দেওয়া ;

হজের সুন্নাতসমূহ :-

মহানবি (স) ফরজ এবং ওয়াজিবের বাহিরে কিছু কাজ করতেন । এগুলোকে আমরা বসি সুন্নাত । এরকম কিছু কাজ মহানবি (স) হজ পালনেও করতেন । এরকম কিছু কাজ হলো :-

১। হাজরে আসওয়াদ থেকে তাওয়াফ শুরু করা ;
২। ৯ই জিলহাজ সূয ওঠার পর মিনা থেকে আরাফার দিকে রওয়ানা হওয়া ;
৩। সম্ভব হলে আরাফাতে গোসল করা ;
৪। ইহরাম বাঁধার আগে গোসল করা ;

৫। জিলহজ মাসের ১১ থেকে ১৩ তারিখে ক্রমধারা ঠিক রেখে কংকর নিক্ষেপ করা ।

এছাড়া আরও অনেক কাজ মহানবি (স) পালন করতেন । জীবনে একবার হজ করা ফরজ যদি সামাথ থাকে আর বাকিগুলো হবে নফল ।

তো এই ছিল আমার আজকের পোস্ট । ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন । যে কোন প্রয়োজনে আমাকে ইমেইল দিতে পারেন । আমার ইমেইল :-[email protected]

Leave a Reply