অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদের সাথে আসমানি কিতাব সমূহের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।
কিতাব শব্দের অথ হলো লিখিত বা সংরক্ষিত বস্তু । এ আরও অনেক অথ রয়েছে । যেমন :-গ্রন্থ,পুস্তক বা বই । আর আসমানি কিতাব বলতে ঐ সকল বই বা পুস্তককে বোঝায় যা আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে অবতীণ হয়েছে ।
আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির হিদায়াতের জন্য দিকনিদেশনা স্বরুপ আসমানি কিতাব নাযিল করেছেন । আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতা জিবরাইল (আ) এর মাধ্যমে রাসুলগণদেরকে কিতাব প্রেরণ করেছেন ।
আসমানি কিতাবসমূহের বিষয়বস্তু :-
আল্লাহ তায়ালা আসমানি কিতাবসমূহে নানা বিষয়ের আলোচনা উপস্থাপন করেছেন । তার কয়েকটি উদাহরণ নিচে দেখানো হলো :-
১। আল্লাহ তায়ালার সত্তাগত পরিচয়
২। আল্লাহ তায়ালার নাম এবং গুণাবলির বণনা
৩। নবি এবং রাসুলগণের বননা
৪। পূববতী জাতিসমূহের বিবরণ
মানবজাতির হিদায়াতের জন্য যুগে যুগে আল্লাহ অনেক নবি রাসুল পাঠিয়েছেন । আর পাঠিয়েছেন আসমানি কিতাবও । আল্লাহ তায়ালা সবমোট ১০৪টি আসমানি কিতাব নাযিল করেছেন । এর মধ্যে ৪টি বড় ও প্রসিদ্ধ আসমানি কিতাব । আর ১০০টি ছোট আসমানি কিতাব । ছোট আসমানি কিতাবগুলোকে সহিফা বলে । বড় আসমানি কিতাবগুলো ও এ কিতাবগুলো কোন কোন নবির উপর নাযিল হয়েছিল তা নিচে দেখানো হলো :-
১। তাওরা – হযরত মুসা (আ)
২। যাবুর – হযরত দাউদ (আ)
৩। ইঞ্জিল – হযরত ঈসা (আ)
৪। কুরআন – হযরত মুহাম্মদ (স)
ছোট আসমানি কিতাবগুলো মোট চারজন নবির উপর নাযিল হয়েছিল । যথা :-
১। হযরত আদম (আ) । তাঁর উপর ১০টি সহিফা নাযিল হয়েছিল ।
২। হযরত শিষ (আ) । তাঁর উপর ৫০টি সহিফা নাযিল হয়েছিল ।
৩। হযরত ইবরাহিম (আ) । তাঁর উপরও ১০টি সহিফা নাযিল হয়েছিল ।
৪। হযরত ইদরিস (আ) । তাঁর উপর ৩০টি সহিফা নাযিল হয়েছিল ।
তো আজ আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য এতটুকুই ছিল । আশা করি সকলের পোস্টটি ভালো লেগেছে । আমার আজকের এই পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ । সকলে সুস্থ থাকুন । ভালো থাকুন ।You must be logged in to post a comment.
এতো ছোট পোস্ট করেন কেন
nc