আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।
অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদের সাথে হাদিস ও হাদিসের প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।
হাদিস শব্দটির অথ হলো কথা বা বাণী । ইসলামি পরিভাষায় মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) এর বাণী,কম ও মৌনসম্মতিকে (যে কাজ মহানবি (স) করতে নিদেশ দিয়েছেন) বলা হয় হাদিস ।
হাদিসের দুটি অংশ : একটি সনদ ও আরেকটি মতন । হাদিসের রাবি পরম্পরাকে হাদিসে সনদ বলা হয় । যিনি হাদিস বণনা করেন তাঁকে বলা হয় রাবি বা বণনাকারী । হাদিস বণনায় হাদিসের রাবিগণের পযায়ক্রমিক উল্লেখ বা বণনা পরাম্পরাই সনদ । আর হাদিসের মুল বক্তব্য বা মূল অংশকে বলা হয় মতন । হাদিস শাস্ত্রে সনদ ও মতন উভয় বিষয় দুটি গুরুত্বপূণ ।
হাদিসের প্রকারভেদ :-
প্রকৃতপক্ষে হাদিসের প্রকারভেদ অনেক । তবে মতন বা হাদিসের মূল বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে হাদিসকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে । এগুলো হলো :-
১। কাওলি
২। ফি’লি এবং
(১) কাওলি হাদিস :- রাসুলুল্লাহ (স) এর বাণীসূচক হাদিসকে কাওলি হাদিস বলা হয় । অথাৎ যে সকল বাণী মহানবি (স) সরাসরি বলেছেন সেগুলোকে কাওলি হাদিস বলে ।
(২) ফি’লি হাদিস :-
ফি’লি এর শাব্দিক অথ হলো কাজ সম্বন্ধীয় । যে হাদিসে মহানবি (স) কোন কাজের বিবরণ স্থান পাওয়া গেছে তাকে ফি’লি বা কমসূচক হাদিস বলা হয় ।
(৩) তাকরিরি হাদিস :-
তাকরিরি এর শাব্দিক অথ হলো মৌন সম্মতি জ্ঞাপক । রাসুল (স) এর অনুমোদনসূচক হাদিসই হলো তাকরিরি হাদিস । রাসুল (স) কথা বলেছেন অথবা কাজ করেছেন অথবা অন্য কেউ করেছে তাকে বাধা দেননি অথবা নিজে করেননি কিন্তু অন্যকে করতে উৎসাহ দিয়েছেন __এরকম জাতীয় হাদিসগুলো হলো তাকরিরি বা সম্মতিসূচক হাদিস ।
সনদ বা রাবির পরম্পরার দিক থেকে হাদিস আবার তিন প্রকার । যথা :-১। মারফু
২। মাওকুফ এবং
৩। মাকতু
১। মারফু হাদিস :- যে হাদিসের সনদ মহানবি (স) পযন্ত পৌঁছেছে তাকে মারফু হাদিস বলা হয় ।
২। মাওকুফ হাদিস :- যে হাদিসের সনদ সাহাবি পযন্ত পৌঁছে শেষ হয়ে গেছে, নবি (স) এর কাছে পৌঁছায় নি তাকে মাওকুফ হাদিস বলে ।
৩। মাকতু হাদিস :- যে হাদিসের সনদ কোন তাবিঈর বাণী ও কাজ সম্মতি হয়েছে তাকে মাকতু হাদিস বলে ।
তো আজ এতটুকুই ছিল । সবাইকে ধন্যবাদ ।
2 thoughts on "আল হাদিস ও হাদিসের প্রকারভেদ"