আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।

অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদের সাথে বুখারি শরিফের সবপ্রথম হাদিস নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।

হিজরি ৩য় শতক ছিল হাদিস সংকলনের যুগ । এ সময় ছয়টি কিতাব সংকলিত হয় । এগুলোকে একত্রে সিহাহ সিত্তাহ বা ছয়টি বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ বলা হয় । এই ছয়টি হাদিস গ্রন্থ ও তাদের লেখকের নামসহ নিচে উল্লেখ করা হলো :-

১। সহিহ বুখারি–ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল আল বুখারি (র)

২। সহিহ মুসলিম–ইমাম আবুল হুসাইল মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ আল কুশাইরি (র)

৩। সুনানে নাসাই–ইমামে আব্দুর রহমান আহমদ ইবনে শুআইব আন নাসাই (র)

৪। সুনানে আবু দাউদ–ইমাম আবু দাউদ সুলায়মান ইবনে আশআস (র)

৫। জামি তিরমিযি–ইমাম আবু ঈসা মোহাম্মদ ইবনে ঈসা আত তিরমিযি (র)

৬। সুনানে ইবনে মাজাহ–ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইয়াজিদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মাজাহ (র)

প্রত্যেক ব্যাক্তির নামের সাথে সম্পক রেখে গ্রন্থগুলো নামকরণ হয়েছে । গ্রন্থগুলোর মধ্যে সহিহ বুখারি গ্রন্থটিতে সবচেয়ে শুদ্ধ হাদিস পাওয়া যায় ।

বুখারি শরিফের সবপ্রথম হাদিসটি ছিল নিয়ত সম্পকিত । হাদিসটি হলো :-

॥ প্রকৃতপক্ষে সকল কাজের ফলাফল নিয়তের উপর নিভরশীল ॥ (সহিহ বুখারি)

এই হাদিসটি সহিহ বুখারির সবপ্রথম হাদিস । এর তাৎপয অত্যন্ত ব্যাপক । মানুষের সকল কাজই নিয়তের সাথে সংশ্লিষ্ট । নিয়ত বা উদ্দেশ্য ছাড়া মানুষ কোন কাজই করে না । কাজের উদ্দেশ্যের গুরুত্ব এ হাদিস দ্বারা বুঝতে পারা যায় ।

আল্লাহ তায়ালা পরকালে মানুষের কমের হিসাব নেবেন । সেদিন তিনি মানুষের কাজের নিয়ত দেখবেন । মানুষ যদি সৎ উদ্দেশ্যে কাজ করে তবে সে পুরস্কার লাভ করবে ।নেক নিয়তে কাজ করেও যদি কেউ ব্যাথ হয় তবুও সে পুরস্কার লাভ করবে । কিন্তু যদি কেউ খারাপ নিয়তে কাজ করে তবে সে শাস্তি ভোগ করবে । আবার যদি কেউ খারাপ নিয়ত নিয়ে কোন ভালো কাজ করে তবুও সে শাস্তি পাবে ।

মহানবি (স) এর এই হাদিসটির শেষ অংশে বলেছিলেন, “কোন ব্যাক্তি যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে হিজরত করে তবে সে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবে । আর যদি কেউ বিয়ে করার উদ্দেশ্যে হিজরত করে তবে সে পাবে যা সে চাই ।”

নবি করিম (স) এর এই কথাটি বলার পেছনে একটি ঘটনা রয়েছে । এক মহিলা মহানবি (স) এর কাছ থেকে ইসলাম ধম গ্রহণ করে মদিনায় হিজরত করেন । আর একজন পুরুষ মহিলাটিকে বিয়ে করতে মদিনায় হিজরত করেন । তাই মহানবি (স) কথাটি উল্লেখ করেন ।

এই কথাগুলো শুনে আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের উচিত সব সময় নেক নিয়ত নিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাজ করা ।

Leave a Reply