Be a Trainer! Share your knowledge.
Home » Hadith & Quran » শিরকের পরিচয়, প্রকারভেদ, কুফল ও শিরক থেকে বাঁচার উপায়

শিরকের পরিচয়, প্রকারভেদ, কুফল ও শিরক থেকে বাঁচার উপায়

আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।

অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদের সাথে শিরকের পরিচয়, প্রকারভেদ, কুফল ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।


শিরকের পরিচয় :-


শিরক শব্দের অথ অংশীদার সাব্যস্ত করা,একাধিক স্রষ্টায় বিশ্বাস করা । ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় মহান আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত করা বা তাঁর সমতুল্য অন্য কাউকে মনে করাকে শিরক বলে । যে ব্যাক্তি শিরক করে তাকে বলা হয় মুশরিক । আর শিরকের বিপরীত হলো তাওহিদ । আল্লাহ তায়ালা কুরআন মজিদের অনেক জায়গাতে শিরকের ধারণা দিয়েছেন । যেমন :-

**সূরা ইখলাসের ১নং আয়াত || নবি আপনি বলুন ! আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় ।

**সূরা আশ্-শুরার ১১নং আয়াত || কোন কিছুই আল্লাহর সদৃশ নয় ।

**সূরা আম্বিয়ার ২২নং আয়াত || যদি আল্লাহ ব্যাতীত অন্য কোন ইলাহ থাকত তবে উভয়ই ধ্বংস হতে যেত ।

এই আয়াতটি দ্বারা বোঝানো হচ্ছে যে দুজন সৃষ্টিকতা থাকলে একেক জন একেক রকম চাইত । তারা ক্ষমতার বড়াই করত ও ধ্বংস হয়ে যেত ।


শিরকের প্রকারভেদ :-


আল্লাহর সাথে শিরক ৪ধরনের হতে পারে ।

১। আল্লাহর অস্তিত্বে শিরক করা । যেমন ঈসা (আ) কে আল্লাহর পুত্র মনে করা ।

২। আল্লাহ তায়ালার গুণাবলিতে শিরক করা । যেমন : আল্লাহ তায়ালার পাশাপাশি অন্যকাউকে সৃষ্টিকতা হিসেবে মনে করা ।
৩। জগতের পরিচালনায় অন্য কাউকে আল্লাহর সাথে শরিক করা । যেমন :- ফেরেশতাদেরকে জগত পরিচালনাকারী হিসেবে মনে করা ।

৪। আল্লাহ তায়ালা ব্যাতীত অন্য কাউকে ইবাদতের ক্ষেত্রে শরিক করা । যেমন মুতির জন্য নামায পড়া,মুতির কাছে চাওয়া ইত্যাদি ।


শিরকের কুফল :-


শিরক অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ । আলাহ তায়ালা বলেন, “নিশ্চয়ই শিরক চরম জুলুম ।” (সুরা লুকমান আয়াত ১৩)

আল্লাহ তায়ালা সকল অপরাধ ক্ষমা করেন । কিন্তু শিরকের গুনাহ ক্ষমা করেন না । আল্লাহ তায়ালা বলেন, “নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শিরকের অপরাধ ক্ষমা করে না । অন্যান্য সকল অপরাধ ক্ষমা করে দেন ।”

আল্লাহ তায়ালা মুনাফিকদের শাস্তি সম্পকে বলেন, “মুনাফিকগণ কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং জাহান্নাম হবে তাদের আবাস ।”

শিরক থেকে বাঁচতে আমরা প্রতিনিয়ত নামায আদায় করব । শিরকের শাস্তির কথা মনে রাখব ।

তো আজ এতটুকুই ছিল । সবাইকে ধন্যবাদ ।

3 years ago (Mar 08, 2022)

About Author (201)

Aubdulla Al Muhit
contributor

To contact with me,you can mail me. My mail is [email protected]

Trickbd Official Telegram

Leave a Reply

Switch To Desktop Version