আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
অলৌকিক ঘটনা আর কারামত কি…?
প্রিয় ভাই ও বোনেরা অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ হওয়ার দুটি পরিভাষার নাম মুজিজা ও কারামত। তবে সব অলৌকিক ঘটনাই আবার মুজিজা বা কারামত নয়। কেননা মুজিজা বা কারামত কোন ব্যক্তির ইচ্ছাশক্তিতে সংঘটিত হয় না আর মুজিজা ও কারামত একব্যক্তি থেকেও প্রকাশ পায় না চাইলেও কেউ এই মুজিজা বা কারামত প্রকাশের সামর্থ্য নাই তাহলে প্রশ্ন হল অলৌকিক ঘটনা দেখলে কি তা বিশ্বাস করতে হবে। না অলৌকিক কোনো ঘটনা ঘটতে দেখলেই তা বিশ্বাস করা যাবেনা। আজকের আর্টিকেলে জানিয়ে দেবো কোনটি অলৌকিক ঘটনা ও কোনটি কারামত আর কোনগুলো ভন্ডামি অনেকেই এগুলোকে পুঁজি করে অনেক রকম ভন্ডামি করে থাকেন। মানুষকে ধোকা দিয়ে থাকেন। তাই চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
চাইলেই নবী-রাসূল কিংবা আল্লাহর প্রিয় বান্দারা অলৌকিক ঘটনা ঘটিয়ে দেয় না বরং আল্লাহ তায়ালা একক সত্তাকে মানুষের সামনে প্রমাণ করতে অকাট্য দলিল বা প্রমাণ স্বরূপ তার শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন মানুষের সামনে নবী-রাসূলকে আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের মাধ্যমে জানান দেন। যেহেতু নবুয়ত ও রেসালাতের দরজা বন্ধ অর্থাৎ খাতামুন্নাবীঈন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর পর কেয়ামতের আগে আর কোন নবী রাসূলের আগমন ঘটবে না তাই মুজিজা নামে কোন অলৌকিকতাও প্রকাশ পাবে না।
তবে যুগে যুগে কেয়ামত পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় বান্দাদের পৃথিবীতে পাঠাবেন। যারা আল্লাহর জমিনে তার দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেদের নিয়োজিত রাখবে। তাদের তারা বিশেষ অলৌকিকতা প্রকাশ পেতে পারে। যদি তা প্রকাশ পায় তবে তা কারামত হিসেবে সাব্যস্ত হবে। কারামত প্রকাশের যেহেতু মানুষের ইচ্ছাশক্তির কোন মূল্য নেই তাই এই কথা সবসময় বিশ্বাস রাখতে হবে যে কারামত শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা স্বাধীন। তিনি যখন চাইবেন তখন তা ক্ষেত্রবিশেষে প্রকাশ পাবে। হতে পারে আল্লাহ তায়ালা তার একক সত্তাকে প্রমাণস্বরূপ তার কোন বান্দার প্রতি কারামত দান করবেন।
আল্লাহ তা’আলা চাইলে তার দ্বীনের কার্যকারিতা প্রকাশ ও কঠিন পরিস্থিতিতে থেকে তার প্রিয় বান্দাদের প্রতি এহসান করতে কারামত দান করতে পারেন। মানুষকে গোমরাহী থেকে মুক্ত করতে কিংবা শয়তানের গভীর প্ররোচনা থেকে বিরত রাখতে ইলাম আমল সচ্ছ ইমান ও তাকওয়ার অধিকারী ব্যক্তির মাধ্যমে কারামত দান করতে পারেন। দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ মোজেজা হল পবিত্র কুরআনুল কারীম। এই কুরআনুল কারীমকে বাদ দিয়ে অন্য কোন উপায়ে কারামত খোঁজার উপায় নেই।
যদি কোরআন সুন্নাহ এর পদ বাদ দিয়ে কোন ব্যাক্তি কারামত হাসিল করছেন কিংবা কারামত পেয়েছেন বলে প্রকাশ করে থাকে তবে ধরে নিতে হবে তার চরম মিথ্যাচার ও ভণ্ডামী। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যেতে পারে কুরআন সুন্নাহের আমল বাদ দিয়ে যদি কোন ব্যক্তির পানির উপর দিয়ে হেঁটে বেড়ায় তবু তাকে বিশ্বাস করা যাবে না। এ সম্পর্কে ইমাম শাফেঈ যথার্থই মন্তব্য করেছেন। হযরত ইউনুস ইবনে আব্দুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি একবার ইমাম শাফি রহমতুল্লাহি আলাইহিকে বলেন হে ইমাম শাফি আমাদের বন্ধু লাইসে ইবনে সাদ কি বলেছে তুমি কি তা জানো সে বলেছে যদি তুমি কোনো ব্যক্তিকে দেখো যে সে পানি উপরি ভাগ দিয়ে নিজের ইচ্ছামত হেঁটে চলে যাচ্ছে তবু তাকে বিশ্বাস করো না।
ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন এ বিষয় সম্পর্কে উত্তম জ্ঞান অর্জন করেছেন। অতঃপর ইমাম শাফি রহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন যদি তুমি কাউকে কোন অবলম্বন ব্যতীত ইচ্ছামত আকাশে উড়তে দেখো তবুও ওই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করো না। সুতরাং কুরআন-সুন্নাহ ব্যতীত কোন ব্যক্তির বিশেষ কোনো ক্ষমতা বা অলৌকিক ঘটনাকে বিশ্বাস করে তার প্রতি আনুগত্য করা কোন মুমিন মুসলমানের কাজ নয়। ওই ব্যক্তির আনুগত্য করা উচিত হবে না। কেননা মুমিন মুসলমানের জ্ঞান কুরআন সুন্নাহ এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
এমন কোনো জ্ঞান নেই যা পবিত্র কুরআনুল কারীম কিংবা বিশ্বনবীর হাদীসে নেই। মনে রাখতে হবে মানুষকে দেখানোর জন্য কোন যুগে মোজেজা বা কারামত প্রকাশ পায়নি।বরং মানুষের ঈমানকে মজবুত করতে আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসূলের সঙ্গে সুসম্পর্ক গভীর করতেই মোজেজা বা কারামত প্রকাশিত হয়। সাহাবায়ে কেরামের কোন কারামত প্রকাশ না পাওয়ায় তার অন্যতম প্রমাণ কারণ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি সাহাবায়ে কেরামের বিশ্বাস ভালোবাসা ও একনিষ্ঠতা এত বেশি ছিল যে তাদের কারামত প্রকাশ হওয়ার কোনো প্রয়োজনই ছিল না।
এমনিতেই তাদের ঈমানের একনিষ্ঠতা ছিল অনেক বেশি। পরিশেষে বলা যায় আল্লাহর যেসব প্রিয় বান্দারা ইখলাসের দিক থেকে বেশি এগিয়ে আল্লাহ তায়ালা প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে তাদের মাধ্যমে কারামত প্রকাশ করে থাকেন। এ কারণে সাধারণ আবেদের তুলনায় আলেমদের মাঝে আল্লাহর কারামত বেশি প্রকাশ করেছেন। এটা নিয়ে কারামত প্রকাশ হওয়া ব্যক্তির প্রতি আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। এতে ওই ব্যক্তির কোন বিশেষত্ব নেই। কারণ কারামত প্রকাশ হওয়ার প্রধান কারণ হলো তাওহীদ ও রিসালাতের শ্রেষ্ঠত্ব ও সত্যতা প্রমাণ করা।
এখন কোন নবী রাসুলের নেই তাই মোজেজা আর ঘটবে না। তবে কারামত সত্যি তবে কারামত কখনো আল্লাহ তাআলার কুদরতকে অতিক্রম করতে পারবে না। আল্লাহ তাআলা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুক সত্তিকারের কারামত চেনার তৌফিক দান করুন এবং সকল প্রকার ভন্ডামি থেকে আমাদের হেফাজত করুন আমীন। প্রিয় ভাই ও বোনেরা কারামত নিয়ে আপনার এলাকাতেও কি ভণ্ডামি চলে জানিয়ে দিন আমাদের কমেন্ট বক্সে।
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি
আমি কারামতের ময়দান সম্পর্কে ভিডিও দেখেছি একটা। যেটা সোইদি আরবের একটা স্থানের নাম।
আজকে আরও ভালো করে বুঝতে পারলাম।
ধন্যবাদ পোস্ট দেয়ার জন্য।
এবার আপনার ট্রেইনার পদ বাতিল করলে আর ফেরত দেয়া হবেনা।
আগে অনেকবার সুযোগ দেয়া হয়েছে।