আসসালামুআলাইকুম প্রিয় ট্রিকবিডি মেম্বার।

সবাইকে জানাই রমজানের শুভেচ্ছা।

আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে সকলে ভালো আছেন।

আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতে ভালো আছি l

তাই আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম নতুন একটি পোস্ট।

আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে রহমতের মাস রমজান মাস।

রমজান মাসের সকল মুসলিম জাতি গোষ্ঠীর জন্য,

মহান আল্লাহ প্রদত্ত একটি বিশেষ নেয়ামত।

মহান আল্লাহ তায়ালা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সাথে সাথে সকলকে রমজান মাসে

রোজা পালন করার জন্য বলেছেন।

তাই আমাদের সকলের উচিত রমজান মাসে রোজা পালন করা।

রমজান মাসে রোজা পালন করতে গিয়ে দেখা যায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন,,

এবং রোজা পালন করতে পারেন না।

আজকে আমি আপনাদেরকে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ

টিপস শেয়ার করব যার মাধ্যমে রমজান মাসে সুস্থ থাকবেন।

এই টিপসগুলো আমাদের সকলের জানা আছে,,

কিন্তু তবুও দেখা যায় ক্ষেত্রবিশেষে আমরা ভুলে যায় ।

তাই আপনাদের মাঝে সবগুলো টিপস তুলে ধরলাম।

প্রথমতঃ

সেহেরী করার সময় বেশি বেশি পানি খেতে হবে।

কারণ রোজা থাকতে হলে সেহেরী করার পরে কোন কিছু পান করা যাবে না বা খাওয়া যাবেনা।

সেহেরী করার সময় যতটা সম্ভব বেশি বেশি পানি পান করে নিতে হবে।

দ্বিতীয়তঃ

ইফতারের সময় আগেই পানি পান করা যাবে না।

অনেকে দেখা যায় ইফতারের সময় আগে পানি পান করে

এর ফলে পেটে ব্যথা শুরু হয়। এবং প্রচন্ড যন্ত্রণা হয়।

এর কারণ হলো সারাদিন কোন কিছু না খেয়ে সরাসরি পানি পান করা।

এতে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারেনা এইজন্য পেটে ব্যথা হয়।

ইফতার করার পূর্বে এইজন্য প্রথমে খেজুর দিয়ে বা কোন ফলমূল দিয়ে ইফতার করতে হবে তারপরে পানি পান করতে হবে।

তৃতীয়তঃ

ইফতারের সময় ভাজাপোড়া জিনিস বেশি খাওয়া যাবেনা।

কারণ ইফতারের সময় ভাজাপোড়া খেলে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তাই ইফতারের সময় যতটা সম্ভব ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করতে হবে।

চতুর্থতঃ

ইফতারের পরে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।

অনেককে দেখা যায় ইফতারের পরে শরীর ডিহাইড্রেশন হওয়ার জন্য

অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যায় এজন্য দরকার পর্যাপ্ত বিশ্রাম।

তাই ইফতার করার পরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে হবে।

পঞ্চমতঃ

ইফতারের সময় ভিটামিন সি জাতীয় এবং যেগুলোতে পুষ্টি উপাদান বেশি রয়েছে

সেই সব খাবার রাখতে হবে।

এর ফলে সারা দিন শরীরের যে ঘাটতি রয়েছে তা পূরণ হয়ে যাবে।

এবং শরীর ঠিক থাকবে এবং অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা কমবে

মূলত উপরের এইগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করলে রমজানে সুস্থ থাকা যাবে।

তো বন্ধুরা এই ছিল বিস্তারিত ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।

যদি পোস্টের কোন জায়গাতে ভূল-ত্রূটি থাকে তাহলে ধরিয়ে দিবেন

শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করব।

Leave a Reply