আসসালামু আলাইকুম।
TrickBD.com এ স্বাগতম।
আশাকরি সবাই ভালো আছেন।

একদিন এই পৃথিবী ধ্বংস হবে। মানবজাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। কোন আদম সন্তান বেঁচে থাকবে না। তারপর আবার সবাইকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে ও একত্রিত করা হবে বিচার দিবসে।

সেই বিচার দিবসের কঠিন পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা কেউই অজানা নই। যখন চারিদিকে মানুষের আহাজারি আর প্রত্যেকেই থাকবে নিজ নিজ আমলনামা নিয়ে ব্যস্ত।
না জানি আল্লাহ কাকে জান্নাত দেন আর কে বা জাহান্নামে যায়, এই চিন্তায় সবাই থাকে মশগুল।
এমন কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ব্যতীত সকল নবী রাসূলগণও ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি করবে।

সূর্য থাকবে মাথার এক বিঘত উপরে।
মানুষ নিজের ঘামে হাবুডু খাবে।
সেদিন আল্লাহর আরশের ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না।

কিন্তু সেই মহান আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’আলার সেই মহান আরশের ছায়ার নিচে কারা আশ্রয় পাবে?

আমরা কি সবাই জানি এ বিষয়ে?

মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমাদের এ বিষয়ে জানা দরকার।
আমরা যারা এই বিষয়ে জানিনা আমরা নিজের হাদীসটি থেকে আসুন জেনে নেই কারা শেষ বিচারের দিন মহান আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালার আরশের নিচে ছায়ায় আশ্রয় পাবেন-

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي خُبَيْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللَّهُ تَعَالَى فِي ظِلِّهِ يَوْمَ لاَ ظِلَّ إِلاَّ ظِلُّهُ إِمَامٌ عَدْلٌ، وَشَابٌّ نَشَأَ فِي عِبَادَةِ اللَّهِ، وَرَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلَّقٌ فِي الْمَسَاجِدِ، وَرَجُلاَنِ تَحَابَّا فِي اللَّهِ اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرَّقَا عَلَيْهِ، وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأَةٌ ذَاتُ مَنْصِبٍ وَجَمَالٍ فَقَالَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ، وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتَّى لاَ تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِينُهُ، وَرَجُلٌ ذَكَرَ اللَّهَ خَالِيًا فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ ‏”‏‏.‏
আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে দিন আল্লাহর (আরশের) ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না, সে দিন আল্লাহ তা’আলা সাত প্রকার মানুষকে সে ছায়ায় আশ্রয় দিবেন।

(১) ন্যায়পরায়ণ শাসক।

(২) যে যুবক আল্লাহর ইবাদতের ভিতর গড়ে উঠেছে।

(৩) যার অন্তরের সম্পর্ক সর্বদা মসজিদের সাথে থাকে।

(৪) আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে যে দুব্যক্তি পরষ্পর মহব্বত রাখে, উভয়ে একত্রিত হয় সেই মহব্বতের উপর আর পৃথক হয় সেই মহব্বতের উপর।

(৫) এমন ব্যক্তি যাকে সম্ভ্রান্ত সুন্দরী নারী (অবৈধ মিলনের জন্য) আহবান জানিয়েছে। তখন সে বলেছে, আমি আল্লাহকে ভয় করি।

(৬) যে ব্যক্তি গোপনে এমনভাবে সদকা করে যে, তার ডান হাত যা দান করে বাম হাত তা জানতে পারে না।

(৭) যে ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তাতে আল্লাহর ভয়ে তার চোখ হতে অশ্রু বের হয়ে পড়ে।

(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৪২৩)

আসুন সকলেই আল্লাহর আনুগত্য করি।
কুরআন মোতাবেক জীবন যাপন করার চেষ্টা করি। আল্লাহ আমাদেরকে সেই কঠিন বিচারের দিনে তার আরশের নিচে কোমল ছায়ায় আশ্রয় দান করুন। আমিন।

ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকুন।

আল্লাহ হাফিজ।
-আহমাদ তাজনুর হাবীব


ফেসবুকে আমি
টেলিগ্রামে আমি

One thought on "সাত শ্রেণির মানুষকে আল্লাহ তায়ালা তার আরশের ছায়ার নিচে আশ্রয় দিবেন। যেদিন আল্লাহর আরশের ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না।"

  1. R Masud Contributor says:
    ‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎╭───────────╮
    │?!!- মাশাআল্লাহ -!!?
    ╰───────────╯

Leave a Reply