বর্তমানে ফেসবুকে বহুল শেয়ারকৃত এই পোস্টটি সম্পূর্ন ভূয়া! ভূয়া! ভূয়া!
ওমুক তারিখে শবে বরাত!!! (যদিও কুরআন সুন্নায় শবে বরাত বলতে কোন শব্দ ই নাই!)
ওমুক তারিখে মাহে রমজান!!!!!
ওমুক তারিখে ঈদুল ফিতর!!!!!!
ওমুক তারিখে ঈদুল আযহা!!!!!!
মহা নবী (সাঃ) নাকি বলছেন যে এই খবর ১ম কোন মুসলিমকে দিবে তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম!”<<< এইটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা! ডাহা মিথ্যা কথা! ডাহা মিথ্যা কথা! এমন কোন হাদীস পৃথিবীতেই নাই।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
“খবরদার! তোমরা আমার নামে বেশি বেশি হাদীস বলা থেকে বিরত থাকবে। যে আমার নামে কিছু বলবে সে যেন সঠিক কথা বলে। আর যেই আমার নামে এমন কথা বলবে যা আমি বলিনি তাকে জাহান্নামে বসবাস করতে হবে।”[ইবনু মাজাহ, আস-সুনান১/১৪;আলবানী, সহীহ সুনান ইবনি মাজাহ ১/২৯; দারিমী, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান(২৫৫হি), আস-সুনান১/৮২,হাকিম, আল মুসতাদরাক১/১৯৪।]
হযরত আলী (রা) বলেন, রাসুলউল্লাহ (সা)বলেছেন :
“তোমরা আমার নামে মিথ্যা বলবে না; কারণ যে ব্যক্তি আমার নামে মিথ্যা বলবে তাকে জাহান্নামে যেতে হবে”। [বুখারী, মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (২৫৬হি), আস-সহিহ১/৫২ ;ইবনু হাজার আসকালানী,আহমদ ইবনু আলী(৮৫২হি) ফাতহুল বারী ১/১৯৯;মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ (২৬১),আস-সহীহ১/৯]
আরও এরশাদ হয়েছে , রাসুল (সা) বলেছেন : “যে ব্যক্তি আমার নামে মিথ্যা বলবে তার আবাসস্থল হবে জাহান্নাম। ”(বুখারী আস-সহীহ১/৫২]
“আমি যা বলিনি সেই কথা যে আমার নামে বলবে তার আবাস্থল হবে জাহান্নাম। ”(বুখারী আস-সহীহ১/৫২]
এভাবে ’আশরায়ে মুবাশশারাহ’’-সহ প্রায় ১০০জন সাহাবী এই মর্মে রাসুলউল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাবধান বাণী বর্ণনা করেছেন। আর কোন হাদীস এত বেশি সংখ্যক সাহবি থেকে বর্ণিত হয়নি।[ নববী, ইয়াহইয়া ইবনু শরাফ {৬৭৬হি), শারহু সাহীহ মুসলিম ১/৬৮, ইবনুল জাউযী,আল-মাউযু’আত ২৮-৫৬।]
রাসুলউল্লাহ (সা) বলেছেন “তোমরা আমার থেকে হাদীস বর্ণনা পরিহার করবে, শুধু মাত্র তোমরা যা জান তা ছাড়া। ”[তিরমিযী, আস-সুনান৫/১৮৩]
অনত্র এরশাদ হয়েছে : “তোমরা আল্লাহর কিতাব সুদৃঢ়ভাবে আকঁড়ে ধরে থাকবে ও অনুসরণ করবে। আর অচিরেই তোমরা এমন সম্প্রদায়ের নিকট গমন করবে যারা আমার নামে হাদীস বলতে ভালবাসে । যদি কারো কোন কিছু মুখস্থ থাকে তাহলে সেই তা বলতে পারে। আর যে ব্যক্তি আমার নামে এমন কিছু বলবে যা আমি বলিনি তাকে জাহান্নামে তার আবাসস্থল গ্রহণ করতে হবে”[ আহমদ ইবনু হাম্বল (২৪১হি] , আল- -মুসনাদ ৪/৩৩৪ ; হাকিম, আল-মুসতাদরক ১/১৯৬;হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ১ /১৪৪।]
নিজের পক্ষ থেকে যেমন হাদিস বানানো যেমন নিষিদ্ধ তেমনি অন্যের বানানো কথা গ্রহণ করাও নিষিদ্ধ ।
রাসুল (সা) বলেন -রাসুল (সা) বলেন -“ শেষ যুগে আমার উম্মতের কিছু মানুষ তোমাদেরকে এমন সব হাদীস বলবে যা তোমরা বা তোমাদের পিতা-মাতাগন কখনো শুনেনি। খবরদার !তোমরা তাদের থেকে সাবধান থাকবে, তাদের থেকে দুরে থাকবে। [মুসলিম আস- সহিহ ১/১২]
“কেয়ামতের পূর্বেই শয়তান বাজার -সমাবেশে ঘুরে ঘূরে হাদীস বর্ণনা করে বলবেঃআমাকে অমুকের ছেলে অমুক এই এই বিষয়ে এই হাদিস বলেছে”। [ ইবনু আদী, আহমদ, আল-কামিল ফী দুয়াফাইর রিজাল১/১১৫]
সন্দেহযুক্ত বা অনির্ভর যোগ্য বর্ণনা গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা :- রাসুলউল্লাহ (সা) যাচাই না করে হাদীস গ্রহণ ও বর্ণনা করতে নিষেধ করেছেন। যেমন—“একজন মানুষের পাপী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনবে তাই বর্ণনা করবে।”[মুসলিম, আস—সহীহ ১/১০]
“যে ব্যক্তি আমার নামে কোনো হাদীস বলবে এবং তার মনে সন্দেহ হবে যে, হাদীসটি মিথ্যা , সেও একজন মিথ্যাবাদী।”[মুসলিম, আস-সহীহ১/৯]
😉