জামে মসজিদে
বৃষ্টির জন্য দু’আ।
ﺑَﺎﺏُ ﺍﻧْﺘِﻘَﺎﻡِ ﺍﻟﺮَّﺏِّ
ﺟَﻞَّ ﻭَﻋَﺰَّ ﻣِﻦْ ﺧَﻠْﻘِﻪِ
ﺑِﺎﻟْﻘَﺤْﻂِ ﺇِﺫَﺍ ﺍﻧْﺘُﻬِﻚَ
ﻣَﺤَﺎﺭِﻡُ ﺍﻟﻠَّﻪِ
৬৩৯. অনুচ্ছেদঃ আল্লাহ্র
মাখলুকের মধ্য থেকে কেউ
তাঁর মর্যাদাপূর্ণ বিধানসমূহের
সীমালঙ্ঘন করলে মহিমময়
প্রতিপালক কর্তৃক দুর্ভিক্ষ
দিয়ে শাস্তি প্রদান।
৯৫৮ মুহাম্মদ (রহঃ) … আনাস ইবনু
মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি
জুমু’আর দিন মিম্বারের
সোজাসুজি দরজা দিয়ে
মসজিদে প্রবেশ করল। রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তখন দাঁড়িয়ে
খুৎবা দিচ্ছিলেন। সে রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর সম্মুখে
দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া
রাসূলাল্লাহ! গবাদি পশু
ধ্বংস হয়ে গেল এবং
রাস্তাগুলোর চলাচল বন্ধ হয়ে
গেল। সুতরাং আপনি আল্লাহর
আমাদের বৃষ্টি দেন।
বর্ণনাকারী বলেন, রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তখন উভয় হাত
তুলে দু’আ করলেন, হে আল্লাহ!
বৃষ্টি দিন, হে আল্লাহ! বৃষ্টি
দিন, হে আল্লাহ! বৃষ্টি দিন,
আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর
কসম! আমরা তখন আকাশে
মেঘমালা, মেঘের চিহ্ন বা
কিছুই দেখতে পাইনি। অথচ
সাল’আ পর্বত ও আমাদের মধ্যে
কোন ঘর বাড়ী ছিল না।
আনাস (রাঃ) বলেন, হঠাৎ
সাল’আ পর্বতের পেছন থেকে
ঢালের মত মেঘ বেরিয়ে এল
এবং তা মধ্য আকাশে পৌঁছে
বিস্তৃত হয়ে পড়ল। তারপর বর্ষণ
শুরু হল। তিনি বলেন, আল্লাহর
কসম! আমরা ছয়দিন সুর্য দেখতে
পাইনি।
তারপর একব্যাক্তি পরবর্তী
জুমু’আর দিন সে দরজা দিয়ে
প্রবেশ করল। রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তখন তখন
দাঁড়িয়ে খুৎবা দিচ্ছিলেন।
লোকটি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া
রাসূলাল্লাহ! ধন-সম্পদ নষ্ট হয়ে
গেল এবং রাস্তাঘাটও
বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। কাজেই
বন্ধের জন্য দু’আ করুন। আনাস
(রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তাঁর উভয় হাত
তুলে দু’আ করলেন, হে আল্লাহ!
আমাদের আশে পাশে,
আমাদের উপর নয়, টিলা,
পাহাড়, উচ্চভূমি, মালভূমি,
উপত্যকা এবং বনাঞ্চলে বর্ষণ
করুন। আনাস (রাঃ) বলেন, এতে
বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেল এবং
আমরা (মসজিদ থেকে
বেরিয়ে) রোদে চলতে
লাগলাম।
শরীক (রহঃ) (বর্ণনাকারী)
বলেন, আমি আনাস (রাঃ) কে
জিজ্ঞাসা করলাম, এ
লোকটি কি আগের সে লোক?
তিনি বললেন, আমি
জানিনা।