আস্সালামু আলাইকুম, মুল কথা পড়ার আগে প্রথম অংশ বুঝার চেষ্টা করবেন | আমাদের সমাজে কিছু ভুল কথা ভুল বিশ্বাস ও ভুল কাজ অর্থাৎ তিনে মিলে কিছু কু-সংস্কার প্রচলিত আছে | যা বিশ্বাস করা বা পালন করা অত্যান্ত ক্ষতি ও বড় ধরণের পাপের কারণ হতে পারে | অনুগ্রহ করে লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, কারো একটু উপকার হইলে আমার চেষ্টা সার্থক হবে | তবে না পড়ে কমেন্ট করলে আর অপবাদ দিলে পাপী হবেন |
নিচেয় কয়েকটি কুসংস্কার উল্লেখ করা হলোঃ ………………
১. “জীবন বাঁচানো ফরজ” – ঠিক আআছে তবে এটি ভুল কথা | আগে জানতে হবে ফরজ কাকে বলে? ফরজ হলো তাই যা করতে আল্লাহ পাক কুরআনে আদেশ করেছেন | কিন্তু কুরআনে তো কোথাও নাই যে যেখানে মরে মরুক নিজে বাঁচতে হবে | বরং কুরআনে বহু যায়গাতে আছে জীবন দিয়ে ইসলাম বাঁচাও, জীবন দিয়ে দেশ বাঁচাও, মানব উপকারে জীবন কাটাও, আল্লাহর ইবাদতে জীবন পার করো | …… তাহলে কথাটা ঠিক না যে জীবন বাঁচানো ফরজ | মনে করুন আপনার ছোট ভাই বাজারে গিয়েছে | পথিমধ্যে মারামারি লেখেছে বাজারে, বা কুকুর আক্রমন করেছে | আপনি কি নিজের জান বাঁচানো ফরজ ভেবে ঘরে বসে থাকবেন? তাহলে চিন্তা করলেই বুঝা যায় এমন স্বার্থপরতা ইসলাম সমর্থন করেনা | …
…………………
২. “খাবার সময় সালাম দেয়া যাবেনা বা কোন কথা বলা যাবেনা”
– খাবার নিয়ে ও সালাম দেয়া নিয়ে মিশকাত শরীফ, বুখারী, রিয়াদুস সালেহীন থেকে হাদীস শুনুন, তাহলে নিজেই বুঝতে পারবেন উপরের কথাটি হাদীস নয় বরং হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক |
“তোমরা কথা বলার পূর্বে সালাম দাও” অর্থাৎ যখন কারো সাথে সাক্ষাৎ করা বা কথা বলা হয় তা সালাম দিয়ে শুরু করতে বলা হয়েছে |
আর খাবার খাওয়ার ভেতর যদি উত্তর দিতে গিয়ে সমস্যা হয় তাই সালাম না দেয়া উচিৎ বলা হয়েছে | # অত্যান্ত হাস্যকর যে {এক লোক ফোন ধরে বলেঃ কিরে ভাই খাইতাছি তো সালাম দেও কেন?}. কথা বলতে পারে উত্তর দিতে পারেনা ! চা র ভেতর বা পেপার পড়ার ভেতর সালাম না দেয়া উচিৎ কারণ একই সমস্যা | …..
ইমাম মালিক (রঃ) এর হাদীস গ্রন্হ মুয়াত্তা তে আছে, রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন “তোমরা খাবার সময় প্রয়োজনে কথা বলো” অর্থাৎ লবন টা দিন, পানি টা দিন, ভাত লাগবে এসব কথা বলা যাবে | নয়তো খাবার সময় কথাই বলা যাবেনা ভেবে বোবার মত ম ম করলে তো তা কষ্টকর হবে এবং ইসলাম না গোঁড়ামি হবে | বুঝতে চেষ্টা করুন, ইসলাম মানুষকে তাই নিষেধ করে যা ক্ষতিকর. কি সেই ক্ষতি এটা বুঝার দায়িত্ব তো আপনার আমার | ভাত খাওয়া টা সালাম নিষেধের কারণ নয়, মুল কারণ উত্তর দিতে সমস্যা | গলায় ভাত বিঁধতে পারে তাই | … আর পেপার পড়ছে, চা খাচ্ছে বা ফোনে কথা বলছে এমন সময়ো সালাম দেওয়া যায়না। বুঝতে হবে দ্বীন।
……………….
…..
আজানের জবাব দেয়া তো বড় দায়িত্ব যা ওয়াজিব, ইফতারীর দোয়া পড়া শুরু করলে আজানের জবাব দিবেন কখন?…
……..
প্রকৃত উচিৎ হলো, আজান শুরু হলে আজানের জবাব দেয়া, যারা জবাব জানেন না তারা চুপ করে থাকা (পরে শিখে নিবেন) আজান এর দিকে খেয়াল রেখে বিসমিল্লাহি ওয়ালা বারকাতিল্লাহ বলে ও ইফতার করা | -(আল হাদীস)
আবার অন্য সময়ে ৫ ওয়াক্ত নামাজের আযান শুরু সাথে ওযুও শুরু করা হয় যা আলসেমির কারণ এ হয়। উচিৎ হলো – আযানের আগে অযু করে রাখা অথবা আযান শেষে ওযু করা।…
………… আজ এপর্যন্তই | লেখার শুরুতে একটা অনুরোধ করেছিলাম, আশা করি রাখবেন | ওয়া মা তাওফিকি ইল্লাহ বিল্লাহ |
কিন্তু এরম অন্যকে অপবাদ দিয়ে পোস্ট করা ঠিক নয়।
লেখা ভালোই লিখছেন কিন্তু এসব পোস্ট না করলে খুশি হব।
একটু সাবধান!!!!!!!!