আধুনিক যুগে যাকাতের পরিমাপঃ
—–
তোলা এবং ভরীর পরিমাণ একই। যদি সোনা/রূপা তোলা বা ভরীর পরিবর্তে গ্রামে পরিমাপ করা হয়, তাই সবার সুবিধার্থে তোলা/ভরীর ওজনকে গ্রামে পরিবর্তন করে দেয়া হল। ৭.৫ তোলা = ৮৫ গ্রাম। ৫২.৫ তোলা/ভরি = ৫৯৫ গ্রাম। বাংলাদেশে রূপার বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী তা ঠিক করতে হবে।

* ধরুন যাকাতের নিসাব পরিমান হচ্ছে ৪৫,৯১৬/- টাকা (১ গ্রাম রুপার দাম ধরুন ৭৭.১৭ টাকা। তাহলে ৭৭.১৭ টাকা হিসেবে ৫২.৫× ৭৭.১৭ = ৪৫,৯১৬/-)।
সোনা, রুপা অথবা নগদ অর্থ মিলিয়ে কারো কাছে যদি নুন্যতম ৪৫,৯১৬/- টাকা এক বছর সঞ্চিত থাকে তবে তাকে তাঁর সকল তরল সম্পদের (সোনা/রূপা/টাকা) উপর ২.৫% হারে যাকাত দিতে হবে।
# শুধু স্বর্ণ থাকলে স্বর্ণের, রুপা থাকলে রুপার, ও শুধু টাকা থাকলে রুপার দাম অনুযায়ী যাকাত দিতে হবে।

বিঃ দ্রঃ সোনা, রূপার চলমান বাজারদর অনুযায়ী যাকাতের নিসাব পরিমাণ নির্ধারণ করে নিতে হবে।

যাকাত কি কি খাতে ব্যবহার করা যাবে বা কাদের দেয়া যাবেঃ
——-

যাকাত বন্টনের কিছু নির্দিষ্ট খাত আছে। এই খাতগুলো সরাসরি পবিত্র কুরআনের আয়াত দ্বারা নির্দ্দিষ্ট (সুরা তাওবাহ, আয়াত ৬০),

যেহেতু তা আল্লাহ’র নির্দেশ, তাই এর বাইরে যাকাত বন্টন করলে ইসলামী শরিয়তসম্মত হয় না।

আর যাকাতের টাকা শুধু গরিব মিসকিন দের হক। জাকাতের টাকা দিয়ে মসজিদ করা যাবেনা, অন্যান্য কোন কাজেও লাগাতে দেওয়া যাবেনা, নেশাখোর দের যাকাত দেয়া যাবেনা। আমাদের দেশে ব্যাবস্থা নাই তাই এগুলো আমাদেরই দেখতে হবে। মুলত নিয়ম সরকারী ভাবে যাকাত আদায় ও বন্টন,এরকম হইলে ঝামেলা ছিলোনা।

সংক্ষেপে যাকাত প্রদানের খাত সমুহঃ
————
১। মুসলমান ফকির (যার কিছুই নেই)।
২। মুসলমান মিসকীন (যার নিসাব পরিমাণ সম্পদ নেই)
৩। যাকাত আদায়ে নিযুক্ত কর্মচারী (যার অন্য জীবিকা নেই)।
৪। ইসলামের দিকে মানুষের মন আকৃষ্ট করার জন্য।
৫। ক্রীতদাস (দাসত্ব থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে)।
৬। ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি (যার মালিকানায় অপ্রয়োজনীয় এবং বিলাসী পণ্য নেই)।
৭। আল্লাহর পথে দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্যে।
৮। মুসাফির (যিনি ভ্রমণকালে অভাবে পতিত)।

এদের কেউ যদি আত্মীয় হয়, তবে তাকে দিলে দ্বিগুণ সাওয়াব। ১, যাকাত আদায়, ২, আত্মীয়তার হক আদায় । – Al Hadith.

—— আত্মীয়দের দিতে গেলে।বলার দরকার নেই যে {যাকাত দিলাম/ যাকাতের টাকা}, কস্ট পাবে নিশ্চিত, মনে মনে ঠিক করে দিলেই আদায়হয়ে যাবে…….।।

To be Continued….

Leave a Reply