রমযানের ২৯/৩০টি রোযা রাখার পর শাওয়াল মাসের যেকোন ছয়দিন রোযা রাখলেই এক বছর অর্থাৎ, পুরো ৩৬০ দিন রোযা রাখার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
“যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখবে, অতঃপর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা পালন করবে, সে যেন সারা বছর রোজা রাখল।”
সহীহ মুসলিমঃ ১১৬৪।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ইরশাদ করেছেন,
“যে ব্যক্তি রমজানের রোজা শেষ করে ছয় দিন রোজা রাখবে সেটা তার জন্য পুরো বছর রোজা রাখার সমতুল্য।”
মহান আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “যে কোন সৎকাজ নিয়ে এসেছে, তার জন্য প্রতিদান হবে তার দশগুণ (সুরা আনআ’মঃ ১৬০)।”
এছাড়াও আছে মুসনাদে আহমদঃ ৫/২৮০, সুনানে দারেমিঃ ১৭৫৫।
সুতরাং, প্রিয় দ্বিনি ভাই ও বোনেরা! প্রস্তুতি নিন, রমযানের রোযার পর সামান্য আজরে বিরাট সওয়াব অর্জন করার জন্য। আল্লাহ আমাদের সকলকে তোওফিক দান করুন, আমিন।
বিঃদ্রঃ এই রোযা রাখার বিশেষ কোন নিয়ম নেই, শাওয়াল মাসের যেকোন ছয় দিনই রাখা যায়। ইচ্ছা হলে একবারে ছয়টি, ইচ্ছা হলে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বিরতি দিয়ে রাখতে পারবেন। বোনদের জন্য বা যাদের ভাংতি রোযা আছে, তাদের জন্য নিয়ম হচ্ছে, আগে কাযা রোয়া দ্রুত রেখে এরপর শাওয়ালের রোযাগুলো রাখা শুরু করবেন।
কারণ হাদীসে আগে রমযানের রোযা রেখে এরপর শাওয়ালের রোযা রাখার কথা বলা হয়েছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে রমজানের রোজা রাখবে অর্থাৎ পুরোপুরি…।”
আর যার ওপর কাজা রয়ে গেছে সে তো রোজা পুরা করেছে বলে গণ্য হবেনা যতক্ষণ ওই রোজাগুলোর কাজা আদায় না করে।
আল-মুগনিঃ ৪/৪৪০।
এ কারণে শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসায়মিনের ফতোয়া হচ্ছেঃ “নারীদের জন্য বা যাদের রোযা কাযা আছে, তারা শাওয়ালের সওয়াব পেতে হলে আগে কাযা রোযা রেখে এর পরে শাওয়ালের রোযা রাখা শুরু করতে হবে।” ফাতওয়া আরকানুল ইসলাম।
♥ ঢাকায় আজ সাহরীর শেষ সময় ৩ঃ৫৩
♥ আর আগামীকাল ইফতারী শুরু ৬ঃ৫০ মিনিটে।
————————————-
===== প্রশ্নোত্তর ======
♦ >> Md Zaman Abdur Rahman
এই ছয় রোজা একবার রাখা শুরু করলে কি সারা জীবন পালন করা বাধ্য মূলক হয়ে যাবে ? আমাদের দেশের অনেক মানুষ এরকম মনে করে ।
>> ANSWER:
নাহ, এই রোযা রাখা নফল, মুস্তাহাব, (কেউ সুন্নাত ও বলেছেন). কিন্তু এটা রাখলে কখনোই ফরয হয়না.
♦ >> Dina Nusrat
Ei roja guli rakhar somoi o ki tarabeeh namaz porte hoi?
>> ANSWER:
নাহ, তারাবীহ পড়তে হয় না। তবে সারা বছরের মতো তাহাজ্জুদ নামায পড়া নফল.
♦ >> Dipshikha Shikha
নিয়ত কি একই,নাকি আলাদা নিয়ত আছে?
>> ANSWERE:
নিয়ত এক হয় কেমনে?? আপনি কি বাজারে যান স্কুলে যে নিয়তে যান সেই নিয়তে? পড়ার নিয়তে? স্কুল কলেজে যান বাজারের নিয়তে? নিয়ত অর্থ ইচ্ছা করা, ঠিক করা, সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য লক্ষ্যস্থির করা। ফরজ পড়বেন? নাকি নফল? যোহর নাকি আসর? ২ রাকাত নাকি ৪ রাকাত এটা ঠিক করে কাজ শুরু করাই নিয়ত । নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া বলে কোন কিছু হাদীসে নাই, লাগবেওনা ।
নিয়ত নিয়ে প্রশ্নের উত্তর= লিংকটি সমস্যার কারণে এই লেখা থেকে সরানো হয়েছে, পরে দেয়া হবে।
♦ >> শারমিনার জাহান পিংকি
ছয় রোযার আর ফরয রোযার নিয়ত একসাথে করা যাবে না????
>> ANSWER :
নাহ। শাওয়ালের রোযা রাখতে চাইলে রমজানের যতগুলো রোজা রাখতে পারেন নি ঐই গুলো আগে পালন করে.. নিয়ত “আমি রমজান মাসের ফরজের কাজা আদায় করছি”.
তারপর শাওয়ালের নিয়ত “আমি শাওয়ালের রোজা রাখছি” মনের মধ্যে ঠিক করে রোজা রাখবেন। ভিন্ন কাজের নিয়ত একত্রে হয়না।.
♦ >> Jahan Akhi
Ai 6 din ki ektana roja rakhte hobe?
>> ANSWER:
♦ >> Mantasha Tasmin
osusthotar Jonno roja Kortea na parlea Kaja roja ki gap dia kora jai?
>> ANSWER:
হ্যা, ইচ্ছা হলে একসাথে ইচ্ছা হলে ভেঙ্গে ভেঙ্গে রাখা যায়, তবে দ্রুত করে ফেলা ভালো
♦ >> Mohidul Islam Shuvro
আমার 4টা রাখতে হবে তারপর শাওয়াল এর রোজা রাখবো, আমার প্রশ্ন টা হচ্ছে শাওয়াল এর রোজা শুরু আর শেষ কোন তারিখ?
>> ANSWER:
ঈদ উল ফিতরের পরদিন থেকে শাওয়াল মাসের রোজার সময় শুরু, আর তা জিলক্বদ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়া পর্যন্ত শেষ সময় ২৯/৩০ দিন।
—– ধন্যবাদ |
কমেন্ট ও প্রশ্ন ফেসবুকের একটি পেজ থেকে সংগৃহীত ও কিছুটা এডিটেড |
6 thoughts on "শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা রাখার নিয়ম ও তার ফযীলত ; সংশ্লিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর"