আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ!
তোমাদের কোন সম্প্রদায় যেন অপর
কোন সম্প্রদায়কে নিন্দা না করে।
হতে পারে তারা তাদের চাইতে
উত্তম। নারীরা যেন অন্য কোন
নারীকে ঠাট্টা না করে। হতে পারে
তারা তার চেয়ে উত্তম। তোমরা
পরস্পরের পিছনে বদনাম কর না এবং
তোমরা পরস্পরকে মন্দ লকবে ডেকো
না।
একজন মানুষের নাম শুধুমাত্র তার
পরিচয় বহন করে না পাশাপাশি
নামের মধ্যদিয়ে তার পরিবার,
সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ ফুটে উঠে। যে
কারনে নাম সুন্দর ও সুন্দর অর্থবহ
হওয়া জরুরী। প্রত্যেক ব্যাক্তিই তার
নামকে সবচেয়ে বেশী ভালবাসে যে
কারনে সে কখনই চায় না তার কেও
বিকৃত বা ব্যাঙ্গাত্বক ভাবে ডাকুক।
নাম বিকৃত করার ফলে অধিকাংশ
সময় নামের আসল অর্থ পরিবর্তন হয়ে
যায় এবং নামের অর্থ বিকৃত হয়ে
অনেক সময় বিপরীত অর্থ ধারণ করে।
শব্দ বা উচ্চারণের বিকৃতি নামের
শ্রুতিমধুরতা কে বিনষ্ট করে করে।
নামের মালিককে সবার কাছে
হাস্যকর ভাবে উপস্থাপন করা,
বিকৃতি করা , হাসি ঠাট্টা করার
জন্য উপনাম দেয়া ব্যাক্তির হক নষ্ট
করার নামন্তর।
মানুষকে অপমান করা বা ঠাট্টা

মসকরা করার জন্য তার নাম বিকৃত
করা কবীরা গুনাহ এবং তা গীবতের
শামিল। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মাখলুক
মানুষের নামকে ভেংচিয়ে,
বিদ্রুপাত্বক ভাবে, অথবা নাম
পরিবর্তন করে অন্য নামে ডাকা বড়
ধরনের গুনাহের কাজ।
আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ!
তোমাদের কোন সম্প্রদায় যেন অপর
কোন সম্প্রদায়কে নিন্দা না করে।
হতে পারে তারা তাদের চাইতে
উত্তম। নারীরা যেন অন্য কোন
নারীকে ঠাট্টা না করে। হতে পারে
তারা তার চেয়ে উত্তম। তোমরা
পরস্পরের পিছনে বদনাম কর না এবং
তোমরা পরস্পরকে মন্দ লকবে ডেকো
না।
ঈমানের পরে ফাসেকী কতই না মন্দ
নাম! যারা এসব থেকে তওবা করে না
তারাই হল যালিম’ বান্দার হক নষ্ট
করার ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা
কুরআনে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারন
করেছেন। এটা এমন একটা অপরাধ যা
আল্লাহ ক্ষমা করবেন না, যা ক্ষমা
পেতে হলে বান্দার কাছেই উপস্থিত
হয়ে ক্ষমা নিতে হবে। হাদিসে রাসুল
সা. এই ধরনের কাজকে তিরস্কৃত
করেছেন এবং এ কাজকে মারাত্মক
গুনাহর কাজ বলেছেন ।
কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন
ইরশাদ করেন, সুন্দরতম নাম সমূহের
অধিকারী আল্লাহ, অতএব তোমরা
সেসব নাম ধরে তাঁকে ডাকো। যারা
তাঁর নাম বিকৃত করে তাদেরকে বর্জন
করো, তাদের কৃত কর্মের ফল
তাদেরকে দেয়া হবে। আল্লাহ
তায়ালা কোরআনে কোনো মানুষকে
বিদ্রুপাত্মক নামে ডাকতে নিষেধ
করেছেন এবং অন্যত্র প্রত্যেককে
তাদের পিতার নামানুসারে ডাকতে
নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষকে
ভিন্ননামে ডাকা, কটূক্তি করার
মানে হলো তার কাছে ঋণী থাকা।
অনেক সময় বন্ধু-বান্ধব বা কাছের
আত্বীয়রা মজা করতে যেয়ে একে
অপরকে উপনাম অথবা বিকৃত নামে
ডেকে থাকে। মজা করতে যেয়েও এই
ধরনের উপনাম অথবা বিকৃত নামে
কাউকে ডাকা উচিত নয়। কারন মজা
করার জন্য হলেও কোনো মানুষের
অবচেতন মন এটাকে ভাল জিনিস
হিসেবে গ্রহণ করে না।
এই বিকৃত মজা নিতে যেয়ে কাউকে
উপনাম অথবা বিকৃত নামে ডাকলে
আসলে তা নিজের ব্যক্তিত্বের
আকর্ষনটাই নষ্ট করে। কাজেই
সাময়িক আনন্দ লাভের জন্য, একটু
হাসি-মশকরার জন্য অন্যায়ভাবে
কাউকে ডেকে গুনাহের পাল্লা
ভারি করবোনা। ভুল হলে ক্ষমা করবেন
Make your payza Account….Paza.com/sin up

My fb Id

8 thoughts on "{Islamic}~কাউকে বিকৃত নামে ডাকলে , কি শাস্তি হতে পরে জানেন?"

  1. Google Boy Contributor says:
    কিরে তুই কিসের মধ্যে কি দিলি,
    ইসলামিক পোষ্ট লিখে,
    আবার সেটা নিচে তুই তোর payza Account রেপারেন্চ লিংক দিয়েছিস কেন????
    1. MD,Saifur Rahman Contributor Post Creator says:
      Taw tik. Kunu problem bro?.
  2. Google Boy Contributor says:
    দেখো ইসলামিক কোন কিছু সেয়ার করলে নিঃস্বার্থতে ভাবে সেয়ার করতে হয়,
    কোনো বিনিময়ের জন্য করা ঠিক না,
    তুমি তোমার স্বার্থের জন্য পোষ্টি সেয়ার করেছো নাকি??
    1. MD,Saifur Rahman Contributor Post Creator says:
      Aker bitor sob…..
    2. MD,Saifur Rahman Contributor Post Creator says:
      islamic post. Nisarto babe… Korte hoy.. Seta to ami post korlam… Nijer kaj nije koren… Post. Poren. Onnhoder. Udthsho din…amar kunu lov nei. Trickbd te…
  3. Md Khalid Author says:
    ধন্যবাদ ভাই, Saifur Rahman — এটা আমাদের সমাজে খুবই দরকারি এখন
    1. MD,Saifur Rahman Contributor Post Creator says:
      Thnx. For you.. Comment.

Leave a Reply