************************

# একবার কাকরাইল থেকে ফ্রান্সে গেলো বাংলাদেশী এক তাবলীগ জামাআত। প্রতিদিনের ন্যায় একদিন আসরের নামাযের পর জামাআত উমুমী গাশতে বের হলো। জামাআতের নিয়ম অনুযায়ী সকল সাথী রাস্তার ডান দিকে মাথানত করে চলতে লাগলেন। ঘটনাক্রমে এই দিন জামাআতের সকল সাথীর গায়ে সাদা জোব্বা আর মাথায় পাগড়ী ছিলো। সকলে নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁটছিলেন। এমন সুসংঘটিত লোক আর আজব পোশাকের মানুষ দেখে মটর সাইকেল ড্রাইভরত এক অর্ধ নগ্ন মেয়ে নিজের বাইক থামিয়ে তন্ময় হয়ে তাদের দেখতে থাকলো। অবশেষে মেয়েটি নিজের কৌতুহল থামিয়ে রাখতে না পেরে জামাআতের সামনে গিয়ে বললো,
মেয়েটিঃ ব্রাদার ! আপনারা কী এমন বস্তু হারিয়েছেন যে সকলেই একযোগে তালাশ করছেন?

আমীর সাহেবঃ (মাথা নত রেখে জবাবে বললেন)আমরা ঈমান হারিয়ে ফেলেছি। তাই ঈমান তালাশ করছি।
মেয়েটিঃ ঈমান কী?
আমীর সাহেবঃ ঈমান উভয় জাহানের সফলতার নাম।
মেয়েটিঃ তাহলে আমিও আপনাদের সাথে উভয় জাহানের সফলতা তালাশ করতে চাই।
# মেয়েটির এই কথা শুনে জামাআতের আমীর সাহেব ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত তাবলীগ জামাআতের মাস্তুরাত সেন্টারের ঠিকানা দিয়ে বললেন, “মহিলাদের জন্য এই ঠিকানায় রয়েছে উভয় জাহানের সফলতার মণ্ত্র।” আমীর সাহেবের দেয়া ঠিকানায় সোজা চলে গেলো মেয়েটি।

মাস্তুরাত সেন্টারে গিয়ে পুর্বাপর সব ঘটনা খুলে বললো। সেন্টারে থাকা মাস্তুরাতের মহিলা সাথীরা মেয়েটির সামনে ইসলাম ধর্মের সৌন্দর্য তুলে ধরলেন। আলহামদুলিল্লাহ, মেয়েটি সানন্দে ঈমান গ্রহন করে তার মা-বাবাকে ফোনে জানিয়ে দিলো সে আর বাসায় ফিরবে না। মেয়েটির পারিবারিক নাম ছিলো এলিয়েদা। ইসলাম গ্রহনের পর ফ্রান্সের তাবলীগ জামাআতের আমীর ডক্টর ছানাউল্লাহ সাহেব মেয়েটির নাম রাখেন সাকিনাহ। মাস্তুরাতে সময় লাগিয়ে মেয়েটি আপাদমস্তক দ্বীনের

দ্বায়ী বনে গেলো। দুই বছর পর মেয়েটিকে তাবলীগ জামাতের এক যিম্মাদার সাথী বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী মিলে মাস্তুরাত জামাতের সাথে হজ্ব করতে মক্কায় চলে যান।

# সেখানে অবসরে হজ্জে আগত মহিলাদের কাছে গিয়ে সাকিনাহ তাদেরকে দ্বীনের মেহনতের গুরুত্ব, দায়িত্ব, ফজিলত শুনাতেন আর বলতেন, “প্রিয় বোনেরা ! আপনারা দুনিয়ার আসবাব ও বিলাসিতায় মগ্ন। অথচ ফ্রান্সে বিধর্মী মেয়েরা ঈমান গ্রহন করে নিজেদের ঘর থেকে স্বেচ্ছায় এইসব আসবাব ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করছে।
# মক্কায় সাকিনাহ অবস্থান কালীন চতুর্থ দিনে আসরের নামায পড়তে হেরেম শরীফে গেলেন। হেরেমের বাইরে অগুনিত মহিলা সাকিনার জন্য অপেক্ষা করছিলো। সাকিনাহ হেরেম শরীফ থেকে বের হতে দেরী হচ্ছে দেখে কয়েকজন মহিলা হেরেমের ভিতরে সাকিনাকে খুঁজতে থাকলো।

কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যাচ্ছেনা। এ দিকে মাগরিবের আযানের সময়ও নিকটবর্তী। অবশেষে এক মহিলা গিয়ে দেখেন কা’বা শরীফের একেবারে সামনে সাকিনাহ সিজদারত। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরও যখন সে দেখল, সাকিনাহ সিজদাহ থেকে মাথা উঠাচ্ছেন না তখন এক মহিলা সাকিনার পিঠে হাত দিয়ে নাড়া দিলেন। কিন্তু একি ! সাকিনাহ কিয়ামত পর্যন্ত সময়ের জন্য নিজের মাথা আল্লাহ তাআলার দরবারে সঁপে দিয়েছেন। সিজদারত সাকিনাহ ইন্তেকাল করেছেন। সাকিনাহ আর ইহজগতে নেই। মক্কায় অপেক্ষারত হাজারো মুসলিম মহিলা আর তাঁর প্রানপ্রিয় স্বামীকে শোকসাগরে ভাসিয়ে সাকিনাহ পৌছে গেলেন তাঁর রবের কাছে।
# সুপ্রিয় পাঠক, একবার ভাবুন ! আমরা যারা তাবলীগ জামাআতের বিরোধীতা করি, আমাদের পুরো জীবনেও কি কোনো এলিয়েদাকে সাকিনাহ বানাতে পেরেছি ?

# হে আল্লাহ, আমরা গোনাহগার। আমাদের ক্ষমা কর। তোমার দ্বীনের উপর অটল রেখে ঈমানী অবস্থায় মৃত্যু দিও। আমিন। (সংগৃহিত)

5 thoughts on "[ইসলামিক পোষ্ট] হিদায়াতের এক লোমহর্ষক কাহিনী,পড়ুন শেয়ার করুন।"

  1. Md Khalid Author says:
    kono manusher e birudhta kora Islam support korena, abar kono 1 dol kei righ mone kora taw ekoi , karon er dara onno sobaike obogga kora hoy, Shobai Allahr pothe daken, sobai Valo kajer try kore, Vuk truti sobar ache, je Quran Hadith jototuk mane se tototuk thik, ke valo ke mondo sei bichar Allah korben. amra nijeder bicharook hote hobe
  2. Nazma Akondo Subscriber says:
    বানোয়াট মিথ্যা ঘটনা,আমার মামা কাকরাইল আমির মাও:ওয়শিকুর বলেছেন
  3. shihab Subscriber says:
    তুমি কি ইসলামের নামে বিভ্রান্ত করার চেস্টা করছ…???
  4. MD Asif Khan Contributor says:
    Good post.জিপিতে ফ্রি নেট ১০০% working post করছি post public koren and আমার ৮টি পোষ্ট মানসম্মাত হলে আমাকে টিউনার বানান।

Leave a Reply