হযরত হামজা (রাঃ) কে হত্যাকারী হযরত
ওয়াহশী (রাঃ) ইসলাম গ্রহনের পুর্বে
রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট চিঠি লিখলেন
যে,আমি মুসলমান হতে চাই,কিন্তু এ
আয়াতখানা আমার ইসলাম গ্রহনের ক্ষেত্রে
প্রতিবন্ধক –
ﻭﺍﻟﺬﻳﻦ ﻻ ﻳﺪﻋﻮﻥ ﻣﻊ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻬﺎ ﺍﺧﺮ ﻭﻻﻳﻘﺘﻠﻮﻥ ﺍﻟﻨﻔﺲ ﺍﻟﺘﻲ ﺣﺮﻡ ﺍﻟﻠﻪ
ﺍﻻ ﺑﺎﻟﺤﻖ ﻭﻻ ﻳﺰﻧﻮﻥ ﻭﻣﻦ ﻳﻔﻌﻞ ﺫﺍﻟﻚ ﻳﻠﻖ ﺍﺛﺎﻣﺎ
،، আর যারা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে মা’বুদ
মানেনা,কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেনা,
এবং যিনা করে না।আর যে ব্যক্তি এ কাজ
করেছে,সে গুনাহগার।”
আমি এ তিনটি কাজই করেছি,তাহলে কি
আমার জন্যে তওবা করার অবকাশ আছে?
এ প্রেক্ষিতে এ আয়াত শরীফ নাযিল হয় –
ﺍﻻ ﻣﻦ ﺗﺎﺏ ﻭﺍﻣﻦ ﻭﻋﻤﻞ ﺻﺎﻟﺤﺎ
،، কিন্তু যে ব্যক্তি তাওবা করে নিয়েছে এবং
ঈমান এনেছে ও নেক আমল করেছে। ”

হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া
সাল্লাম হযরত ওয়াহশী (রাঃ)-কে জবাবে এই
আয়াতই লিখে পাঠিয়ে দিলেন।ওয়াহশী
(রাঃ)আবার লিখলেন যে,আয়াত শরীফে নেক
আমল করার শর্ত আরোপ করা আছে, কিন্তু
আমারতো জানা নেই যে,নেক আমল করতে
পারবো কি না?
এ প্রেক্ষিতে আবার এ আয়াত শরীফ নাযিল
হলো –
ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻻ ﻳﻐﻔﺮ ﺍﻥ ﻳﺸﺮﻙ ﺑﻪ ﻭﻳﻐﻔﺮ ﻣﺎ ﺩﻭﻥ ﺫﺍﻟﻚ ﻟﻤﻦ ﻳﺸﺎﺀ
،، নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা শিরক এর গুনাহ মাফ
করবেন না,আর এছাড়া যাকে ইচ্ছে (তাকেই)
মাফ করে দেবেন। “হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু
তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ আয়াত -ও
লিখে হযরত ওয়াহশী (রাঃ) কে পাঠিয়ে
দিলেন।
ওয়াহশী (রাঃ) আবার লিখলেন যে এতে
আল্লাহর ইচ্ছার শর্ত আছে,না জানি আল্লাহর
ইচ্ছে হয় কিনা?
অতঃপর এ আয়াত নাযিল হয়-
ﻗﻞ ﻳﺎ ﻋﺒﺎﺩﻱ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺍﺳﺮﻓﻮ ﻋﻠﻰ ﺍﻧﻔﺴﻬﻢ ﻻ ﺗﻘﻨﻄﻮﺍ ﻣﻦ ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ
ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﻐﻔﺮ ﺍﻟﺬﻧﻮﺏ ﺟﻤﻴﻌﺎ ﺍﻧﻪ ﻫﻮ ﺍﻟﻐﻔﻮﺭ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
،، হে আমার গুনাহগার বান্দাগণ!আল্লাহ’র রহমত
থেকে নিরাশ হয়ো না,নিশ্চয়ই আল্লাহ
তা’আলা সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবেন, নিশ্চয়ই
তিনি বড়ই ক্ষমাশীল অত্যন্ত মেহেরবান। ”
তারপর হযরত ওয়াহশী (রাঃ) মদীনায় হাজির
হয়ে ইসলাম কবুল করে নিলেন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে তওবায়ে
নসুহা করার তাওফিক দান করুন।।
আমিন!!!

প্রকাশিত ও প্রচারেঃFuturebd24.Com

4 thoughts on "হযরত ওয়াহশী (রাঃ) ইসলাম গ্রহনের ঘটনা।"

  1. ? Khairul ? Author says:
    Rubel Vi naki.???
    1. Rubel Tapon Author Post Creator says:
      Khairul na
    2. Rubel Tapon Author Post Creator says:
      খায়রুল ইসলামিক পোস্ট এইটা আমি করবো
    3. ? Khairul ? Author says:
      Ji vi……..

Leave a Reply