আসসালামু আলাইকুম


আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন ।আজকের টপিক হল

আসুন জেনে নিন মুসলমানদের শরিয়তের আহকাম সংক্রান্ত পরিভাষা (ফরজ , সুন্নত ইত্যাদি ) সর্ম্পকে বিস্তারিত

তো চলুন শুরু করি :

পরিভাষা কি জিনিস তা আপনারা জানেন সেটা আর না বলি আজকে ।আপনারা জানতে চাইলে কমেন্ট এ বলে দিবেন জানানোর চেষ্টা করব ।প্রতেকটি বিষয়ের কিছু পরিভাষা থাকে ।শরিয়তেরও বেশ কিছু পরিভাষা আছে ।তার মধ্যে আমাদের অতি পরিচিত হল -ফরজ , ওয়াজিব , সুন্নত , মুস্তাহাব , মুবাহ ।আজ এগুলোই নিয়ে আলোচনা করব ।

ফরজ

ফরজ অর্থ অবশ্য পালনীয় । শরিয়তের ভাষায় যেসব বিধান কুরআন , সুন্নার অকাট্য দলিল দ্বারা অবশ্য কর্তব্য ও অলঙ্গনীয় বলে প্রমাণিত তাকে ফরজ বলে ।এটি করতেই হবে ।কোনো অবস্থায় এটি ছাড়া যাবে না ।এটি অস্বীকার করলে আপনি কাফির এ পরিণত হবেন ।ফরজ দুই প্রকার ।প্রথমটি হল ফরজে আইন ।এটি মানে হল যেসব কাজ প্রতিটি ব্যক্তিকে নিজে নিজে আদায় করতে হয় ।উদাহরণ সরূপ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ , রমজানে রজা এরকম ।
আর দ্বিতীয়টি হল ফরজে কিফায়া ।এটি মানে হল যে কাজটি সমাজের কয়েকজন মুসলমান করলে সকলে সকলের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে ।কিন্তু কেউ না করলে সবাই পাপি হয়ে যাবে ।জানামার নামাজ এর একটি স্পষ্ট উদাহরণ

ওয়াজিব

এর অর্থ অবশ্য পালনীয় ।শরিয়তের এমন কিছু বিধান রয়েছে যা পালান করা কর্তব্য ।ফরজের সাথে এর পার্থক্য হল এটি না করলে কেউ কাফির হবে না ।তবে বিনা কারণে তা ত্যাগ করলে বিরাট শাস্তি ভোগ করতে হবে ।যেমন : দুই ঈদের সালাত , বিতরের নামাজ ।নামাজের মধ্যেও অনেক ওয়াজিব আছে সেগুলো ছাড়া গেলে সাহু সিসদা করতে হবে না করলে নামাজ হবে না ।

সুন্নত

সুন্নত অর্থ পথ , পন্থা , রীতি ইত্যাদি ।ইসলামের ভাষায় মহানবি (স.)থেকে যে সমস্ত কাজ ইসলামে বিধান হিসেবে নির্ধরিত হয়েছে সেগুলোকে বলা হয় সুন্নত ।সুন্নত দুই প্রকার ।প্রথমত সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ
যে সকল কাজ মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) নিজে সর্বদাই পালন করতেন , অন্যদের তা পালন করতে তাগিদ অর্থাৎ আদেশ দিতেন তাকে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ বলে ।যেমন – আযান ও ইকামত দেওয়া , ফজরের ফরজের পূর্বে ২ রাকাত নামাজ পড়া , ও যোহরে ফরজের পূর্বে চার রাকাত ও পরে দুই রাকাত , মাগরিব ও এশার ফরজের পর দুই রাকাত নামায আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ ।এগুলো পালন করা কর্তব্য ।অবহেলা করে এগুলো না করলে গুনাহ হয় ।
২।সুন্নতে যায়িদাহ
এটির অর্থ হলো অতিরিক্ত সুন্নত ।যেসকল কাজ আমাদের নবী করছেন কিন্তু সব সময় বা প্রতিদিন তা করতেন না এসব কাজকে সুন্নতে যায়িদাহ বলে ।আমাদের নবী এসব কাজ করার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন তবে তাগিদ করেন নি ।আপনারা হয়ত দেখেছেন যে আমরা জানি এশারের আগে ও আসরের আগে সুন্নত নামাজ পড়তে হয় ।কিন্তু অনেকে পড়ে না ।কারণ এগুলো সুন্নতে যায়িদাহ।একে সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদাহও বলা হয় ।এটি না করলে কোনো গুনা নাই তবে করলে অনেক সাওয়াব আছে ।

মুস্তাহাব

এর অর্থ পছন্দনীয় ।যেসকল কাজের প্রতি আমাদের নবী উম্মতকে উৎসাহ করেছেন তাকে মুস্তাহাব বলে ।অর্থাৎ নফল কাজ গুলো ।সকল ভালো কাজ এর অর্ন্তভুক্ত ।এটি করলে অনেক নেকি পাওয়া যাবে ।

মুবাহ

যেসকল কাজ করলে কোনোরূপ সাওয়াব নেই , আবার না করলেও কোনোরূপ গুনাহও হয় না এরূপ কাজকে মুবাহ বলা হয় ।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন ।অনেকে বলবেন যে আমরা তো এগুলো জানাই ।হ্যা আপনি জানেন কিন্তু মেনে চলেন কি ।নামাজ আমাদের ফরজ কাজ কিন্তু আমরা অনেকেই নামাজ পড়ি না কেন ? এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে কি হবে তা আপনারা জানেন ।তাই সকলের কাছে অনুরোধ নামাজ পড়া শুরু করেন ।

আল্লাহ তায়ালা আপনাদের জীবনকে খুশিতে ভরে দুক এবং আপনাদের ও আমাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সহিত পড়ার তৌফিক দোক এ দোয়া করে শেস করছি ।

ধন্যবাদ

6 thoughts on "আসুন জেনে নিন মুসলমানদের শরিয়তের আহকাম সংক্রান্ত পরিভাষা (ফরজ , সুন্নত ইত্যাদি ) সর্ম্পকে বিস্তারিত"

    1. The Ordinary One Author Post Creator says:
      Thnx
    1. The Ordinary One Author Post Creator says:
      Amin
  1. god servant Contributor says:
    মুবাহ এর ক্নো উদাহরণ দিলেন না কেন?

Leave a Reply