আসসালামু আলাইকুম

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন আশা করি সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছেনআর আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি

প্রথমে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করি যে মহান রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে এই মহামারী থেকে হেফাজত করেছেন আল্লাহ তায়ালার মায়া দয়া এবং রহমত ছাড়া আমরা এই পৃথিবীতে এক মুহূর্তের জন্য বাঁচতে পারব না আর তাই সেই মহান রব্বুল আলামীন সেই দয়াময় আল্লাহর কিতাব সম্পর্কে অর্থাৎ আল-কোরআন সম্পর্কে আজকে কিছু কথা বলব আল্লাহ আমাদেরকে তৌফিক দান করুন তো বেশি কথা না বলে চলুন মূল পোস্টে চলে যায়

আল্লাহ তা‘আলার অশেষ মেহেরবানী যে, তিনি আমাদের কে দয়া মায়া করে আমাদের উপর কুরআন অবতীর্ণ করেছেন। আল কুরআন হল এমন একটি কিতাব যার মাধ্যমে আরবের সেই জাহেলী জাতি সৌভাগ্যবান জাতিতে পরিণত হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআন এর আইন দিয়েই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ তৈরি করেছিলেন। এতো গুরুত্বপূর্ণ কিতাব আল কুরআন এর শিক্ষা আজ অবহেলিত হচ্ছে। দিন দিন আমরা আল কুরআন এর শিক্ষা থেকে আমরা অনেক দূরে সরে যাচ্ছি। একজন মুসলিম হিসাবে আল কুরআন শিক্ষার গুরুত্বও যথাযথভাবে অনুধাবন করতে পারছি না। সেজন্য আমাদেরকে কুরআন শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে। নিচে সংক্ষিপ্তভাবে আল কোরআন এর পরিচয় তুলে ধরা হলো

আল কুরআন এর পরিচয় :


কুরআন শব্দের অর্থ: পাঠ করা, যা পাঠ করা হয়। আল্লাহ তা‘আলা জিবরাঈল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে সুদীর্ঘ ২৩ বছরে মানব জাতির হেদায়াত হিসাবে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর যে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন তার নাম আল কুরআন। নিম্নে আল কুরআনের পরিচয় তুলে ধরা হলো:

১. আল কুরআন আল্লাহর কিতাব :
আল্লাহ তা‘আলা যুগে যুগে মানব জাতির হেদায়েতের জন্য যেসব কিতাব অবতীর্ণ করেছেন সেগুলোকে আসমানী কিতাব বলা হয়। আল কুরআন হলো সর্বশেষ আসমানী কিতাব, যা বিশ্বমানবতার জন্য অবতীর্ণ করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :

﴿ وَإِنَّهُۥ لَتَنزِيلُ رَبِّ ٱلعَٰلَمِينَ﴾ [الشعراء : ١٩٢]

অর্থ: ‘‘নিশ্চয় এ কুরআন বিশ্ব জাহানের রবের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ করা হয়েছে’’ [সূরা আশ-শু‘আরা-১৯২]।

২. আল কুরআন সংরক্ষণ করার দায়িত্ব আল্লাহ তা‘আলার :
কুরআন যাবতীয় বিকৃতি থেকে মুক্ত। কেননা আল্লাহ তা‘আলা এর সংরক্ষণ করবেন। কুরআনে বলা হয়েছে:

﴿ إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ٩ ﴾ [الحجر: ٩]

অর্থ: ‘নিশ্চয় আমি উপদেশ বাণী তথা কুরআন নাজিল করেছি এবং নিঃসন্দেহে এর হেফাজতকারী আমি নিজেই’ [সূরা আল-হিজর-৯]।

৩. আল কুরআন হলো নুর বা আলো :
অন্ধকারে নিমজ্জিত জাতিকে সত্যিকার আলোর দিকে নিয়ে আসার জন্য আল-কুরআন হলো আলো বা নুর। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :

﴿ قَدۡ جَآءَكُم مِّنَ ٱللَّهِ نُورٞ وَكِتَٰبٞ مُّبِينٞ ١٥ يَهۡدِي بِهِ ٱللَّهُ مَنِ ٱتَّبَعَ رِضۡوَٰنَهُۥ سُبُلَ ٱلسَّلَٰمِ وَيُخۡرِجُهُم مِّنَ ٱلظُّلُمَٰتِ إِلَى ٱلنُّورِ بِإِذۡنِهِۦ وَيَهۡدِيهِمۡ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ ١٦ ﴾ [المائ‍دة: ١٥، ١٦]

অর্থ: ‘অবশ্যই তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে আলো ও সুস্পষ্ট গ্রন্থ এসেছে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাদেরকে শান্তির পথ দেখান, যারা তাঁর সন্তুষ্টির অনুসরণ করে এবং তাঁর অনুমতিতে তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করেন। আর তাদেরকে সরল পথের দিকে হিদায়াত দেন’ [সূরা মায়িদাহ-১৫,১৬]।

৪. আল কুরআন মানবজাতির জন্য হেদায়াত :
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবন কীভাবে পরিচালিত হবে, তার প্রতিটি বিষয় কুরআনে বর্ণনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :

﴿ وَنَزَّلۡنَا عَلَيۡكَ ٱلۡكِتَٰبَ تِبۡيَٰنٗا لِّكُلِّ شَيۡءٖ وَهُدٗى وَرَحۡمَةٗ وَبُشۡرَىٰ لِلۡمُسۡلِمِينَ ٨٩ ﴾ [النحل: ٨٩]
অর্থ: ‘আমি তোমার নিকট কিতাবটি নাজিল করেছি। এটি এমন যে তা সবকিছুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, আর এটা হেদায়াত, রহমত ও মুসলিমদের জন্য সুসংবাদ স্বরূপ’ [সূরা আননাহল: ৮৯]।

৫.কুরআন রমাদান মাসে অবতীর্ণ হয়েছে :
আল কুরআন রমাদান মাসে লাইলাতুল ক্বদরে অবতীর্ণ করা হয়েছে। আল কুরআনে বলা হয়েছে :

﴿ شَهۡرُ رَمَضَانَ ٱلَّذِيٓ أُنزِلَ فِيهِ ٱلۡقُرۡءَانُ هُدٗى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَٰتٖ مِّنَ ٱلۡهُدَىٰ وَٱلۡفُرۡقَانِ٨٥ ﴾ [البقرة: ١٨٥]

অর্থ: ‘রমযান এমন মাস যাতে নাজিল হয়েছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। যা বিশ্ব মানবতার জন্য হেদায়েতও সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা এবং হক ও বাতিলের মধ্যকার পার্থক্য বিধান কারী’ [সূরা আলবাকারাহ:১৮৫]।

৬. আল কুরআন জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস :
কুরআন মাজীদ সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস। এবং কুরআন যে নির্দেশনা দিয়েছে তা নির্ভুল ও বাস্তবভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কুরআনে এরশাদ হচ্ছে,

﴿ يسٓ ١ وَٱلۡقُرۡءَانِ ٱلۡحَكِيمِ ٢ ﴾ [يس: ١، ٢]

অর্থ: ‘ইয়া-সীন। বিজ্ঞানময় কুরআনের শপথ’ [সূরা ইয়াছিন:১-২]।

৭. আল কুরআন মুমিনদের জন্য রহমত :
কুরআন বিশ্ববাসীর জন্য রহমাত হিসাবে নাযিল করা হয়েছে। যারা এ কুরআন পড়বে, তা অনুযায়ী আমল করবে তারা আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :

﴿وَنُنَزِّلُ مِنَ ٱلۡقُرۡءَانِ مَا هُوَ شِفَآءٞ وَرَحۡمَةٞ لِّلۡمُؤۡمِنِينَ وَلَا يَزِيدُ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا خَسَارٗا﴾ [الاسراء: ٨٢]

অর্থ: ‘আর আমি কুরআন নাযিল করি যা মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত, কিন্তু তা যালিমদের ক্ষতিই বাড়িয়ে দেয়’ [সূরা বনি ঈসরাইল:৮২]।

৮. আল কুরআনের বেশ কিছু নাম রয়েছে :
আল কুরআনের বেশ কিছু নাম রয়েছে
যেমন, হুদা-পথনির্দেশক, যিকর-উপদেশ বাণী, ফুরকান-সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী,নুর-আলো ইত্যাদি। যেমন আল কুরআনে এসেছে,
﴿ تَبَارَكَ ٱلَّذِي نَزَّلَ ٱلۡفُرۡقَانَ عَلَىٰ عَبۡدِهِۦ لِيَكُونَ لِلۡعَٰلَمِينَ نَذِيرًا ١ ﴾ [الفرقان: ١]

অর্থ: তিনি বরকতময় যিনি তাঁর বান্দার উপর ফুরকান (সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী) নাযিল করেছেন যেন সে জগতবাসীর জন্য সতর্ককারী হতে পারে। [সূরা আলফুরকান:১]

৯. আল কুরআন বিশ্ববাসীর জন্য চ্যালেঞ্জ :
আল কুরআনের মত কোন কিতাব মানুষ বা কারো পক্ষে বানানো কোন ভাবেই সম্ভব নয়। প্রায় ১৪০০ বছর আগের চ্যলেঞ্জ এ পর্যন্ত কেও মুকাবেলা করতে পারেনি। আর কিয়ামাত পর্যন্ত তা কোনদিন সম্ভবও হবে না। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :

﴿ قُل لَّئِنِ ٱجۡتَمَعَتِ ٱلۡإِنسُ وَٱلۡجِنُّ عَلَىٰٓ أَن يَأۡتُواْ بِمِثۡلِ هَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانِ لَا يَأۡتُونَ بِمِثۡلِهِۦ وَلَوۡ كَانَ بَعۡضُهُمۡ لِبَعۡضٖ ظَهِيرٗا ٨٨ ﴾ [الاسراء: ٨٨]

অর্থ: ‘বল, যদি মানব ও জ্বিন জাতি সবাই মিলে একত্রিত হয় যে, তারা এ কুরআন অনুরূপ কিছু আনয়ন করবে, তারা এ কুরআনের অনুরূপ কিছুই আনয়ন করতে পারবে না, যদিও তারা একে অপরের সাহায্যকারী হয়’ [সূরা বনি ঈসরাইল: ৮৮]।

১০. কুরআন শিক্ষা সহজ‍‌ :
যারা কুরআন শিক্ষা করতে চান বা শিক্ষা দিতে চান, তাদের জন্য আল্লাহ তা‘আলা সহজ করে দিয়েছেন। বুঝমান যেকোন বয়সের মানুষ তা শিখতে পারবে। কুরআনে ঘোষণা:

﴿ وَلَقَدۡ يَسَّرۡنَا ٱلۡقُرۡءَانَ لِلذِّكۡرِ فَهَلۡ مِن مُّدَّكِرٖ ١٧ ﴾ [القمر: ١٧]
অর্থ: ‘আর আমি তো কুরআন শেখার জন্য সহজ করে দিয়েছি। অতএব কোন উপদেশ গ্রহণকারী আছে কি’? [সূরা আল-ক্বামার:১৭]

পরিশেষে সকলের কাছে একটা অনুরোধ আমরা যারা নামাজ পড়তেছি না ইনশাআল্লাহ আমরা এখন থেকে নামাজ পড়বো এবং নিয়মিত আল কোরআন তেলাওয়াত করবো আর যারা আল কুরআন পড়তে জানি না আল কোরআন শিখার চেষ্টা করব ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত অনুসরণ করার চেষ্টা করব তাহলেই আমরা দুনিয়া এবং আখিরাতে কামিয়াব হব

আজকে এ পর্যন্তই ইনশাআল্লাহ নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হবো সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন

12 thoughts on "এখনি জেনে নিন আল কোরআন এর পরিচয় সকল মুসলিম নর-নারীদের জানা অতি প্রয়োজন"

    1. Md Rumon Mahmud Author Post Creator says:
      এটা চুরি হলে কিভাবে এগুলোতো হাদিসের কথা আপনি কি হাদিসের কথা পরিবর্তন করে আপনি নিজে নিজে হাদিস লিখতে পারবেন
    2. Abdus Sobhan Author says:
      concept content to apni nijer moto kore sajate parten original ar moto same to same a-z korlen kano?
    1. Md Rumon Mahmud Author Post Creator says:
      ভাই কুরআনের পরিচয় কোন মানুষ দিতে পারবে না কোরআনের পরিচয় আল্লাহ তায়ালা কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে বলেছেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা দিয়েছেন
    2. Md Rumon Mahmud Author Post Creator says:
      ইসলাম নিয়ে নিজ থেকে কোন পোস্ট বা কোন কিছু করতে পারবে না সকল কিছু কোরআনের মাধ্যমে দিতে হবে কারণ ইসলামের সকল কিছু কোরআন এবং হাদিসের মধ্যে রয়েছে
    3. Abdus Sobhan Author says:
      o vhai content to nije likhte parten
    4. Abdus Sobhan Author says:
      vhaloi jukti dekhalen kintu je bakkha gulo asol writer likhechen sevabe to apnio sundor kore likhte parten jodi na paren to kano ai topic a post korben
    5. Abdus Sobhan Author says:
      islame churi halal na ata to janen asa kori?
    6. Md Rumon Mahmud Author Post Creator says:
      এটা চুরি হলে কিভাবে এগুলোতো হাদিসের কথা আপনি কি হাদিসের কথা পরিবর্তন করে আপনি নিজে নিজে হাদিস লিখতে পারবেন
  1. Trickbd Support Moderator says:
    কপি পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।
    অন্য সাইটের কন্টেন্ট পোস্ট করলে সেটা কপি হিসেবে গণ্য হবে।
    আর বারবার কপি পেস্ট প্রমাণিত হলে একশন নেয়া হবে।

Leave a Reply