পৃথিবী থেকে অনন্ত আকাশ পর্যন্ত যদি সরিষার দানা দিয়ে ভরে দেওয়া হয় এবং একটা পাখি যদি ৭০.০০০ বৎসর পর পর একটি করে দানা নিয়ে যায় এমন একটি দিন আসবে এই মহা শূন্যর সরিষার দানা শেষ হয়ে যাবে কিন্তু মৃত্যুর পরে যে জীবন সেই জীবনের আর শেষ নেই। সেই অনন্ত জীবনের জন্য মানব জাতির জন্য রহিয়াছে দুইটি ঠিকানা একটি সুখের ঠিকানা এবং একটি দুঃখের ঠিকানা। সুখের ঠিকানা হবে বেহেশত এবং দুঃখের ঠিকানা হবে দোজখ। সুখের ঠিকানায় বেহেশতবাসী ভোগ করবে অনন্ত জান্নাতের সুখ এবং দুঃখের ঠিকানায় দোজখবাসী ভোগ করবে অনন্তকাল জাহান্নামের যন্ত্রণা তাহার কোন শেষ নেই।
তাই সাধক বলেন, হে মানব জাতি তোমার জীবনের যে সামান্য কয়টি দিন বাকী আছে ইহার ভেতরই তোমাকে করে নিতে হবে পর জগতের সুখের ঠিকানার ব্যবস্থা। অতীতে যা করেছ তোমার হৃদয়ের খাতায় লিপিবদ্ধ আছে। ভাল যা করেছ তাহার জন্য শোকর গুজার কর এবং খারাপ যা করেছ তাহার জন্য অনুশোচনা কর এবং মাবুদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং অশ্রু ঝরাও। ভবিষ্যতের দিনগুলি তোমার ঈমানকে মজবুত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম ও সাধনা কর।
মনে রাখবে ধর্ম বড় কথা নহে কর্মই বড় কথা। তুমি কর্ম দিয়ে তোমার আত্মাকে শুদ্ধি করে নাও এবং ঈমানকে মজবুত করে নাও। মনে রাখবে ইহ জগতে অর্থ যমন তোমার সম্বল। পর জগতের মূল সম্বল তোমার ঈমান। মনে রাখবে মরুভূমি পাড়ি দিতে হলে উট বা ঘোড়া যেমন তোমার সহযোগী পর জগতের সুখের বাগানে পৌঁছাতে হলে ঈমান তোমার সম্বল। তাই হে মানব জাতি তুমি তোমার কর্ম দিয়ে তোমার ঈমানকে মজবুত করে নাও তবেই মুক্তির সাগর পাড়ি দেওয়া সহজ হবে।
প্রত্যেক আসমানী কিতাবই মহান আল্লাহতা আলার বাণী। যেহেতু শেষ কিতাব আল-কোরান এবং ইহাতে লিপিবদ্ধ চুড়ান্ত খবর এবং সৃষ্টির মূল দয়াল নবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) যিনি ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক। সেই ধর্মের অনুসারীগণেরই তো আত্মশুদ্ধি এবং ঈমান মজবুত করা সহজ হওয়ার কথা। তাই আসুন আমরা মানব জাতি সকলেই ইসলামের পতাকা তলে উপনীত হই এবং জীবনের বাকী দিনগুলিকে কাজে লাগাই এবং কর্মের মাধ্যমে আত্মাকে শুদ্ধি করি এবং পরজগতের মূল বাহন ঈমানকে মজবুত করি।
আমাদের ব্লগ→ TechBlogBD.Net
4 thoughts on "মানব জাতির জন্য অবশ্যই করণীয়"