আসসালামুআলাইকুম, । আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো,যে সব কারনে রোযা ভাঙ্গে না। সামনে আসছে পবিত্র মাহে রমযান।তাই আমাদের সবার প্রস্তুতি নেয় উচিৎ। আমাদের সবার উচিৎ সব কয়টি রোযা রাখা৷
একটি হাদিসঃ
হযরত সাহ্ল ইবনে সা’দ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (সা.) এরশাদ করেছেন, বেহেশতের আটটি দরজা রয়েছে। এর মধ্যে একটি দরজার নাম রাইয়ান।
রোযাদার ব্যতিত আর কেউ ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারী, মুসলিম)
রোযার মাসে আমাদের সবার পাচ ওয়াক্ত নামায আদায় করতে হবে এবং এই মাসে আল্লাহর ইবাদত বন্দগী বেশি করতে হবে। এই রমযান মাস থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিৎ।
এমন কিছু কাজ রয়েছে যেটার কারনে রোযা ভাঙ্গে না৷ অনেকে জানে না, আজকে আমি আপনাদের এমন কিছু কাজ জানাব, যে গুলো হয়ে গেলে বা করলে রোযা ভাঙ্গবে না। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাকঃ
১) অনিইচ্ছায় পানি পান করলেঃ
রোযা থেকে অনেক সময় অনিচ্ছায় পানি পান করলে রোযা ভাঙ্গবে না। অনেক সময় এটা হয়ে থাকে। তবে ইচ্ছা করে পানি পান করলে রোযা ভাঙ্গবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
২) শরীর ও মাথায় তেল ব্যাবহারঃ
রোযা রেখে মাথায় ও শরীরে তেল ব্যাবহার করলে সাধারণত রোযা ভাঙ্গবে না।
৩) অনিইচ্ছায় মুখের ভিতর ধুলাবালি,মশা,মাছি ঢুকে গেলেঃ
অনেক সময় অনিচ্ছায় মুখের ভিতর মশা,মাছি বা ধোয়া, ধুলাবালি প্রবেশ করলে রোযা ভাঙ্গবে না৷ কারন আপনি তো ইচ্ছা করে করেন নি। তাই অনিচ্ছায় এমন হলে রোযা ভাঙ্গবে না।
৪) সুগন্ধি ব্যাবহার করাঃ
সুগন্ধি ব্যাবহার করলে রোযা ভাঙ্গবে না।সাধারণত আতর ও অন্যান্য সুগন্ধি আছে যেগুলো ব্যাবহার করা সুন্নাত। এগুলো সুগন্ধি ব্যাবহার করলে রোযা ভাঙ্গবে না।
৫) অনিচ্ছায় কানে পানি প্রবেশ করাঃ
অনেক সময় গোসল দেয়ার সময় আপনার অনিচ্ছায় কানে পানি প্রবেশ করে। অনিচ্ছায় কানে পানি ঢুকলে রোযা ভাঙ্গবে না।
৬) ভুলক্রমে আহার করাঃ
অনেক সময় ভুলে সাধারণত অনেকে আহার করে থাকে। এক্ষেত্রে রোযা ভাঙ্গবে না।
৭) চোখে ঔষুধ ব্যাবহার করাঃ
অনেক সময় যাদের চোখে সমস্যা আছে,তাদের চোখে ড্রপ বা ঔষুধ ব্যাবহার করতে হয়। রোযা রেখে চোখে ঔষুধ ব্যাবহার করলে রোযা ভাঙ্গবে না।
৮) মুখের থুথু বা কফ গলাধঃকরনঃ
অনেক সময় মুখের কফ বা থুথু গলাতে চলে যায়,এক্ষেত্রে রোযা ভাঙ্গবে না।
৯) অনিচ্ছায় অল্প বমি করাঃ
অনেক সময় অনিচ্ছায় অল্প পরিমান বমি হয়ে থাকে,এক্ষেত্রে রোযা ভাঙ্গে না।
১০) দাতের ফাকে গোসত আটকে থাকাঃ
অনেক সময় সেহরি খাওয়ার পর, সেহরির সময় শেষ হওয়ার পরে দাতের ফাকে গোসত আটকে থাকলে এটা খেয়ে ফেললে রোযা ভাঙ্গবে না। ( যদি গোসত এর পরিমান কম থাকে)।
১১) মেসওয়াক করার সময় দাত থেকে রক্ত বের হলেঃ
অনেক সময় মেসওয়াক করার সময় দাত এর গোড়া থেকে রক্ত বের হয়৷ যদি রক্ত গলার ভিতর না যায়,তবে রোযা ভাঙ্গবে না।
টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ
আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী আর্টিক্যাল এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।
যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon
ধন্যবাদ
3 thoughts on "যে সব কারনে রোযা ভাঙ্গে না, মুসলিম সবার জানা উচিৎ।"