রসায়ন শাস্ত্র মুসলিম বিজ্ঞানী পরিশ্রম ও অকৃত্রিম অবদমনের ফলে, রসায়ন শাস্ত্র আজ উন্নতির দিকে উচ্চ শিখরে পৌঁছেছে?

রসায়ন শাস্ত্রে মুসলমানদের অবদান অনেক। আমরা হয়তো অনেকেই জানি না মুসলমানদের, বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া পৃথিবীর বড় বড় কাজকর্মের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এই সম্পর্কে আমরা অনেকেই তেমন কিছু জানি না। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার ন্যায় রসায়ন শাস্ত্রে মুসলমানদের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুসলিম বিজ্ঞানী যেমন জাবির ইবনে হাইয়ান, আল কিন্দি, জুন্নুন মিশরী, ইবনে আব্দুল মালিক আল কাসি অনেক বিশেষ অবদান রাখেন।

তাদের নিরলস পরিশ্রম ও অকৃত্রিম অবদান এর ফলে রসায়ন আজ উন্নতির উচ্চ শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। আমরা মুসলমান হয়েও হয়তো সঠিক ধারণা বা তথ্যটি জানিনা। কেননা এগুলো সম্পর্কে তেমন কোন স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে গুরুত্ব দেয় না। চলুন আজকে আমরা এ বিষয়ে তাদের পরিচয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।

রসায়ন শাস্ত্র আজ উন্নতির উচ্চ শিখরে পৌঁছেছে, অনেক মুসলিম বিজ্ঞানীদের জন্য?

সাধারণত বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার ন্যায় রসায়ন শাস্ত্রে মুসলমানদের অবদান অনেক। যদিও বর্তমান বিশ্বে আমরা এইসব সম্পর্কে খোঁজখবর খুব কম রাখি। আলকেমি অর্থাৎ রসায়ন শাস্ত্রে মুসলিম বিজ্ঞানী যেমনঃ

##জাবির ইবনে হাইয়ান তিনি এই রসায়নশাস্ত্রের বেশ ভালোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

##এমনকি আল কিন্দি নামক একজন মুসলিম বিজ্ঞানী তিনিও রসায়নশাস্ত্রে প্রচুর পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

##তাছাড়া এদিকে জুন্নুন মিশরী নামক আরো একজন মুসলিম বিজ্ঞানী, তিনিও রসায়নশাস্ত্রে অনেক ভূমিকা পালন করেন।

##এমনকি ইবনে আব্দুল মালিক আল কাসি তিনি একজন মুসলিম বিজ্ঞানী, তারও রসায়নশাস্ত্রে গুরুত্ব অনেক অবদান রয়েছে।

প্রিয় বন্ধুরা উপরোক্ত মুসলিম বিজ্ঞানীরা, রসায়নশাস্ত্রে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তবে আপনি হয়তো এ সম্পর্কে কেমন ধারণা রাখেন না তাইনা! এখন আমরা এই 4 জন মুসলিম বিজ্ঞানীদের রসায়ন শাস্ত্রের, জন্য পরিচয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব!

জাবির ইবনে হাইয়ান একজন মুসলিম বিজ্ঞানী?

সাধারণত আবু আব্দুল্লাহ জাবির ইবনে হাইয়ান, দক্ষিণ আরবের আযদ বংশে 722 খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। আর জাবির এর পিতা হাইয়ান তিনি একজন চিকিৎসক ছিলেন। তিনি গণিতশাস্ত্রে শিক্ষালাভ শেষে চিকিৎসাশাস্ত্রে ও শিক্ষা গ্রহণ করেন। তাছাড়া তিনি কুফাই চিকিৎসার জীবন শুরু করলেও তার মধ্যে তিনি

রসায়ন শাস্ত্র, উচ্চতার জ্ঞান অর্জন করেন। তিনি তার গ্রন্থে ধাতুর শোধন, বাষ্পীয় করণ, চুলের কলপ, লেখার কালি ও কাজ ইত্যাদি দ্রব্য প্রস্তুতের, সম্বন্ধে বিস্তারিত বর্ণনা করেন। জাবের ইবনে হাইয়ানকে রসায়ন শাস্ত্রের পরিপূর্ণতা দান করেছেন। বিধায় তাকে এই শাস্ত্রের জনক বলা হয়। জাবির ইবনে হাইয়ান তিনি 815 খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।

আল কিন্দি নামক তিনি একজন মুসলিম বিজ্ঞানী?

আবু ইয়াকুব ইবনে ইসহাক আল কিন্দি 801 খ্রিস্টাব্দে সাধারনত তিনি কুফায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এরিস্টটলের ধর্মতত্ত্ব আরবিতে অনুবাদ করেন। খলিফা মামুন এর সময়ে জ্যোতির্বিদ, রসায়নবিদ, চিকিৎসক ও দার্শনিক হিসেবে তাঁর সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে যায়। অন্ধ দিক 365 গ্রন্থ রচনা করে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছিলেন।

তার মতে গণিত ছাড়া দর্শনশাস্ত্র অসম্ভব। দর্শন ছাড়াও তিনি চিকিৎসা শাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যা, রসায়ন, গনিত সংগীত বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেন। এবং তার মাতৃভাষা ছিল আরবি, তাছাড়া সংস্কৃত, গ্রিক, সিরীয় ইত্যাদি ভাষায় পন্ডিত ছিলেন। আবু ইয়াকুব ইবনে ইসহাক আল কিন্দি তিনি 874 খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।

জুন্নুন মিশরী তিনিও একজন মুসলিম বিজ্ঞানী?

জুন্নুন মিশরী তার পিতার নাম ইব্রাহিম এবং তার নাম সাওবান। কিন্তু তিনি জুন্নুন মিশরী নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মিশরের আখ মিম নামক স্থানে 796 খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। জুন্নুন মিশরী তিনি সুফি হিসেবে প্রসিদ্ধ হলেও আরব মুসলিম বিজ্ঞানীদের মধ্যে, রসায়ন শাস্ত্রের উপর যারা প্রাথমিক দিকে গবেষণা করেন, তাদের অন্যতম তিনি ছিলেন।

তিনি রসায়ন শাস্ত্রের বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে গবেষণা ও লেখালেখি করতেন। তার লেখায় সোনারূপা সহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থের বর্ণনা পাওয়া যায়। তিনি মিশরীয় সাংকেতিক বর্ণের মর্মার্থ বুঝতেন। জুন্নুন মিশরী তিনি মিশরের আল জিজাহ নামক এক স্থানে 859 খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।

ইবনে আব্দুল মালিক আল কাসি তিনি একজন মুসলিম বিজ্ঞানী?

তার নাম আবুল কাশিম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল মালিক আল খারে জেমি আল কাসি। তিনি সাধারণত একাদশ শতাব্দীতে বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন। এবং তিনি ওই বাগদাদেই অবস্থান করতেন। ইবনে আব্দুল মালিক আল কাসি তার খুবই জনপ্রিয় একটি গ্রন্থ রসায়ন শাস্ত্রের মূল্যবান একটি সংযোজন ছিল।

তিনি এই গ্রন্থে রসায়নের প্রত্যেক প্রয়োজনীয় শাখার সরল ও সহজ পন্থা সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করেছিলেন। যে সকল বস্তু সাদা এবং যে সকল বস্তু লাল এদের ব্যাপারেও পার্থক্য বিস্তারিতভাবে তিনি বর্ণনা করেছিলেন। ইবনে আব্দুল মালিক আল কাসি তিনি কোথায় এবং কত তারিখে, মৃত্যুর তারিখ কি সঠিকভাবে জানা যায়নি।

প্রিয় বন্ধুরা আশাকরি আপনারা আজকের রসায়ন শাস্ত্র বিষয়ক মুসলিম বিজ্ঞানীদের ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত আকারে হলেও বুঝতে পেরেছেন। যদিও বিস্তারিত বললে লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। একারণেই সংক্ষিপ্ত আকারে সবার পরিচয় উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি। আর্টিকেল সম্পর্কিত মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন অগ্রিম সবাইকে ধন্যবাদ।

Leave a Reply