জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চায় মুসলমানদের অবদান অনেক বেশি। শুধু সাধারণ জ্ঞান নয় জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মুসলমানগন সমান দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এই প্রচেষ্টা ও অবদানের উপর ভিত্তি করে মুসলমানগন এক সময়ে সারা বিশ্বের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
আধুনিক যুগে জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অনেক শাখা মুসলমানদের জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিই ফসল। এই সকল মুসলিম মনীষীর অনেক অনেক। তার ভিতরে চিকিৎসাশাস্ত্র মুসলমানদের অবদান অবিস্মরণীয়। মূলত আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সাধারণত চিকিৎসা শাস্ত্রে মুসলমানদের অবদান অবিস্মরণীয়,
এই বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করব। চিকিৎসা শাস্ত্রে মুসলমানদের অবদান প্রচুর পরিমাণে ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছিল। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির মূলে রয়েছে মুসলমানদের অবদান। দুর্ভাগ্যবশত আমরা হয়তো এ বিষয়ে খুব কম খোঁজ খবর রাখি। কিন্তু বাস্তবে যে মুসলমানদের অবদান কত বেশি সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারবোনা।
জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মুসলমানদের অবদান?
সাধারণ জ্ঞান নয় জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মুসলমানগন সমান দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। একসময় মুসলমানদের হাতে সকল বিশ্বের ক্ষমতা ছিল। কিন্তু বর্তমানে মুসলমানদের হাতে কোন ধরনের ক্ষমতার কিছুই নেই। এই প্রচেষ্টা ও অবদানের উপর ভিত্তি করে মুসলমানগন এক সময় সারা বিশ্বে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
শুধু সাধারণ জ্ঞান জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মুসলমানদের সমান দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। আধুনিক যুগের জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অনেক শাখা মুসলমানদের জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফসল। এই সকল মুসলিম মনীষীর মধ্যে কয়েকজন সম্পর্কে চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে আমরা জানব। কারণ চিকিৎসা শাস্ত্রে মুসলমানদের অগণিত পরিশ্রম ও অবদান অবিস্মরণীয়।
চিকিৎসা শাস্ত্রে মুসলমানদের অগণিত পরিশ্রম অবদান অবিস্মরণীয়?
চিকিৎসা শাস্ত্রে মুসলমানদের অবদান অবিস্মরণীয়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির মূলে রয়েছে শুধুমাত্র মুসলমানদের অবদান। অনেক মুসলিম মনীষীর প্রচেষ্টা ও অবদানের উপর ভিত্তি করে, মুসলমানগন এক সময় সারা বিশ্বের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
যাদের অবদানের কারণে চিকিৎসাশাস্ত্র উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে। অনেক মুসলিম মনীষীদের ভিতর চিকিৎসাশাস্ত্রে, মুসলিম মনীষীদের অবদান ব্যাপক পরিমাণে রয়েছে। উল্লেখযোগ্য তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম নিম্নে দেওয়া হল।
#আবু বকর আল রাযি।
#আল বিরুনি।
#ইবনে সিনা।
#ইবনে রুশদ প্রমুখ।
উপরোক্ত মনীষীরা, চিকিৎসাশাস্ত্র জ্ঞানচর্চার অধিকারী ছিলেন। এবং তাদের জন্যই আজ আমরা এই ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল চিকিৎসা শাস্ত্র দেখতে সক্ষম হয়েছি। অনেকেই আমরা ভুল ধারণা রাখি যে মনীষী মুসলিম, জ্ঞানচর্চা সহ জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তি চর্চায় কোন অবদান রাখে নি। মূলত উপরোক্ত চারজন মুসলিম মনীষী চিকিৎসাশাস্ত্রে অনেক অবদান অবিস্মরণীয়।
আবুবকর মুহাম্মাদ ইবনে জাকারিয়া আল রাযি, চিকিৎসাশাস্ত্রে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন?
চিকিৎসাশাস্ত্রঃ মুসলিম মনীষীর অন্যতম একজন তার নাম মোহাম্মদ উপনাম আবুবকর এবং সাধারণত তার পিতার নাম ছিল জাকারিয়া। তিনি সাধারণত আল্ল রাযি নামে পরিচিত ছিলেন। আবু বকর আল রাযি 865 খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসাবিজ্ঞানে ও শল্যচিকিৎসাবিদ ছিলেন। তার কাছে পশ্চিম এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপ থেকে অনেক রোগী। তাছাড়া শল্যচিকিৎসায় আল রাযি ছিলেন তৎকাল এর শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। তিনি এই বিষয় সহ আরো অনেক গ্রন্থ লিখেছিলেন। এবং চিকিৎসাশাস্ত্র আবু বকর আল রাযি তিনি 925 খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।
আল বিরুনি তিনি চিকিৎসাশাস্ত্রে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম একজন?
চিকিৎসাশাস্ত্রঃ বুরহান উল হক আবু রায়হান মুহাম্মদ ইবনে হামদ আল বিরুনি। এটি তার সম্পূর্ণ নাম তিনি সাধারণত আল-বিরুনী নামে পরিচিত ছিলেন তৎকালীন সময়ে। আল বিরুনি মুসলিম মনীষী তিনি 973 খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন, খাওয়ারিজম এর নিকটবর্তী আল-বিরুন নামক এক স্থানে।
তিনি মধ্যযুগীয় শ্রেষ্ঠ মুসলিম পন্ডিত মহাজ্ঞানী ও নিষ্ঠাবান গবেষক। গণিত জ্যোতিষ শাস্ত্র পদার্থ রসায়ন ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে আল-বিরুনী মুসলিম বিজ্ঞানী পারদর্শী ছিলেন। আল বিরুনি তিনি প্রথম প্রমাণ করলেন যে পৃথিবী গোলাকার। পৃথিবীর গোলাকার মানচিত্র তার রচিত। আল-বিরুনী তিনি 1048 খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
ইবনে সিনা তিনি মুসলিম বিশ্বের অন্যতম একজন ব্যক্তি চিকিৎসাশাস্ত্রে, তার অনেক অবদান রয়েছে?
সাধারণত তার পুরো নাম আবু আলী আল হুসাইন ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে সিনা। তিনি সাধারণত বুখারায় নিকটবর্তী অফ শানা নামক গ্রামে 980 খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। 10 বছর বয়সে পবিত্র কুরআন হিফজ ইবনে সিনা করেন। তার একটি সুনাম গ্রন্থ ছিল। যেটা কিনা এখনো পর্যন্ত আধুনিক বিশ্বে ও তার গ্রন্থটি বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে,
চিকিৎসাবিজ্ঞানে পাঠদান করা হচ্ছে। চিকিৎসার সম্বন্ধনীয় যাবতীয় তথ্যের আশ্চর্য রকম সমাবেশ থাকার কারণে, গ্রন্থটি কে চিকিৎসাশাস্ত্রের বৃহৎ সংগ্রহ বলা হয়। তাছাড়া তার আরো অনেক বিজ্ঞান ও সর্ব বিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। চিকিৎসক গণিত চর্চা জ্যোতিষবিদ এবং মুসলিম জগতের একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও ও সর্ব বিদ্যায় পারদর্শী তিনি। ইবনে সিনা তিনি 1037 খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।
ইবনে রুশদ তিনিও চিকিৎসাশাস্ত্রে অনেক অবদান রেখেছিলেন?
সাধারণত তার পুরো নাম ছিল আবু ওয়ালিদ মুহাম্মদ মুহাম্মদ ইবনে রুশদ। তিনি স্পেনের কর্ডোভায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সাধারণত মধ্য যুগে মুসলমানদের মধ্যে যারা জ্ঞান-বিজ্ঞানের খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, তিনি তাদের মধ্যে একজন ছিলেন। এই ক্ষণজন্মা পুরুষ শুধু এক বিষয়ে জ্ঞানী ছিলেন না, তিনি জ্ঞানের সকল শাখায় বিচরণ করেছিলেন।
তাছাড়া দর্শন পদার্থ রসায়ন জ্যোতিষ বিদ্যা ও চিকিৎসা শাস্ত্রে এই সকল শাখায়, ইবনে রুশদ খেতি অর্জন করেছিলেন। তাছাড়া তার রচিত অনেক গ্রন্থ ছিল। ইবনে রুশদ তাঁর রচিত গ্রন্থসমূহ ল্যাটিন ও হিব্রু ভাষায় অনুবাদ করা। চিকিৎসা শাস্ত্রে তার লেখা গ্রন্থের নাম হল কুল্লিয়াত। এদের এই অবদান না থাকলে আজকে চিকিৎসাবিজ্ঞান এতদূর আসতে পারত না। তিনি কত তারিখে ইন্তেকাল করেন সেটা সঠিকভাবে জানা যায়নি।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা, চিকিৎসাশাস্ত্র বিষয়ে মুসলিম মনীষী কয়েকজনের পরিচয় সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। যদিও হয়তোবা অনেকেই এদের সম্পর্কে কিছুই জানেনা। জ্ঞান-বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছিল মুসলমান মানুষেরা। তাই আমাদের সকালের এ বিষয়ে সঠিক ধারণা থাকা জরুরি। আশাকরি আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে, আর্টিকেলটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।