আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।

অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদের সাথে হযরত আবু বকর (রা) সংক্ষিপ্ত জীবনী আলোচনা করতে যাচ্ছি । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।



ইসলামে চারজন খলিফা রয়েছে । এদেরকে খুলাফায়ে রাশিদিন বলা হয় । এই চারজন খলিফা হলেন- হযরত আবু বকর (রা),হযরত উমর (রা),হযরত উসমান (রা) এবং হযরত আলি (রা) । তাঁরা সবাই মহানবি হযরত মোহাম্মদ (স) এর কাছ থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছেন । তাঁরা সবাই আমাদেরকে পথ দেখিয়েছেন । আমরা তাদেরকে অনুসরণ করব ।

হযরত আবু বকর (রা) ছিলেন ইসলামের প্রথম খলিফা । তিনি ৫৭৩ খ্রিষ্টাব্দে মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশের তায়িম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর নাম আব্দুল্লাহ এবং তাঁর উপাধি সিদ্দিক ও আতিক । ছোটকাল থেকেই মহানবি (স) এর সাথে তাঁর গভীর বন্ধুত্ব ছিল । বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে তিনি প্রথম ইসলাম ধম গ্রহণ করেন ।


তাবুক যুদ্ধের সময় তিনি তাঁর সম্পত্তি আল্লাহর পথে ব্যায় করেন । এছাড়া সকল ভালো কাজে তিনি নিজের সকল সম্পদ ব্যায় করেছেন ।

মহানবি (স) এর প্রতি তাঁর ছিল অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা । তিনি রসুল (স) এর মুখে মি’রাজের ঘটনা শোনামাত্রই তা বিশ্বাস করে নেন । এজন্য তাঁকে সিদ্দিক বা মহাসত্যবাদি উপাধি দেওয়া হয় । এসময় আরবের অনেক লোক তাদেরকে অবিশ্বাস করতে শুরু করে ।

মহানবি (স) এর ইন্তিকালের পর খলিফা নিবাচন, রসুল (স) এর ওফাতের পর দাফন ও রাসুলের উত্তরাধিকারীর বিষয়টি তাঁর বণনা করা হাদিস থেকে সমাধান করা হয় । ফলে মুসলমানরা এক বড় বিশৃঙ্খলা থেকে রক্ষা পায় ।

খলিফা নিবাচিত হওয়ার পর তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, “যতদিন আমি আল্লাহকে ও তাঁর রাসুলকে অনুসরণ করি ততদিন তোমরা আমাকে অনুসরণ করবে এবং আমাকে সাহায্য করবে । আর ভুল পথে চললে আমাকে সঙ্গে সঙ্গে ধরিয়ে দিবে । তোমাদের মধ্যে যারা দুবল তাদের হক আদায় না করা পযন্ত তারা আমার নিকট শক্তিশালী । আর যারা সবল তাদের নিকট থেকে পাওনাদারের হক আদায় না করা পযন্ত তারা আমার নিকট দুবল ।”

ইয়ামামার যুদ্ধে কুরআনের অনেক হাফিয শাহাদাৎ বরণ করেন । এতে পবিত্র কুরআন বিলুপ্তির আশঙ্কা দেখা দেয় । এর তিনি পবিত্র কুরআনকে একত্র করে গ্রন্থাগারে প্রকাশ করে । এজন্য তাঁকে ইসলামের ত্রাণকতা বলা হয় ।

খলিফা নিবাচিত হওয়ার পর তিনি ব্যাবসা করতেন । নিজ হাতে উপাজন করতেন । পরবতীতে মুসলমানদের দাবির মুখে তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে সামান্যমাত্র ভাতা নিতেন ।

তো আজ এতটুকুই ছিল । সবাইকে ধন্যবাদ । বিদায় ।

Leave a Reply