আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।
অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদের সাথে হযরত আলি (রা) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।
মুসলিম জাহানের চার খলিফার মধ্যে সবশেষ খলিফা অথাৎ চতুথ খলিফা হলেন হযরত আলি (রা) । তিনি ৬০০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের বনু হাশিম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি মহানবি (স) এর চাচা আবু তালিবের পুত্র ছিলেন । তাঁর ডাকনাম ছিল আবু তোরাব ও আবুল হাসান । বাল্যকাল থেকেই তিনি হযরত মুহাম্মদ (স) এর সাথে থাকতেন । মহানবি (স) এর প্রতি তাঁর অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস ছিল । তাই দশ বছর বয়সেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন । বালকদের মধ্যে তিনিই সবপ্রথম ইসলাম ধম গ্রহণকারী সাহাবি ।
মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) হিজরত করে মদিনা যাওয়ার সময় হযরত আলি (রা) কে আমানতের মালের দায়িত্ব দিয়ে তাঁর বিছানায় রেখে যান । জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তিনি এ দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন করেন । মহানবি (স) এর দায়িত্বের চেয়ে তিনি নিজের জীবনকে তুচ্ছ মনে করেন । আমরাও তাঁর আদশে অনুপ্রাণিত হবো ।
হযরত আলি (রা) ছিলেন অসাধারণ শক্তির অধিকারী । তাঁর নাম শুনলে কাফির মুনাফিকদের মনে ভয়ের সৃষ্টি হতো । বদর যুদ্ধে অসাধারণ বীরত্বের জন্য রাসুল (স) তাঁকে যুলফিকার তরবারি উপহার দেন । তারপর খায়বারে কামুস দুগ জয় করলে হযরত মুহাম্মদ (স) তাঁকে আসাদুল্লাহ বা আল্লাহর সিংহ উপাধি প্রদান করে । এছাড়া হুদায়বিয়া সন্ধিপত্র নিজ হাতে লিখেছিলেন । মক্কা বিজয়ের সময় মুসলিম বাহিনীর পতাকা তাঁর হাতে ছিল ।
হযরত আলি (রা) ছিলেন অসাধারণ মেধার অধিকারী । তিনি সবদা জ্ঞান চচা করতেন । তিনি আরবি সাহিত্যে প্রচুর জ্ঞানচচা করতেন । কথিত আছে যে, “রসুল (স) হলেন জ্ঞানের শহর আর আলি (রা) তার দরজা । তাঁর রচিত ‘দিওয়ানে আলি’ গ্রন্থটি আরবি সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ ।
হযরত আলি (রা) সারাজীবন জ্ঞান সাধনা করার জন্য সম্পদ উপাজন করার সময় পাননি । সবসময় তিনি সহজ সরল জীবনযাপন করতেন । নিজ হাতে কাজ করে উপাজন করেন । তাঁর স্ত্রী ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (স) এর আদরের ছোট মেয়ে হযরত ফাতিমা (রা) । তাঁর স্ত্রী নিজ হাতে জাঁতা পিষে গমের গুরো (আটা) থেকে রুটি তৈরি করতেন । মুসলিম জাহানের খলিফা হওয়ার পরও তিনি বাসায় কোন কাজের লোক রাখেননি ।
তো আজ এতটুকুই ছিল আপনাদের জন্য । সবাইকে ধন্যবাদ । বিদায় ।