শীতের মিষ্টি রোদ কার না ভালো লাগে? উষ্ণ গরম পানিতে গোসল করার পরেও বাইরে বের হলে রোদের আদুরে পরশ নিতে মন চায়। অথচ শীতের রোদে ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাব বেশি থাকে। ত্বকের সঙ্গে দেহের জটিল সমস্যা সৃষ্টি করতে সে রোদ খুবই পারদর্শী। ত্বকের সুরক্ষায় সব সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করা হয়ে ওঠে না। তাই একটা ছাতা থাকলেই মোটামুটি নিরাপদ। এসময় বৃষ্টির ধাক্কা সামলাতে হয় না বলে নকশাদার ফেন্সি ছাতা ব্যবহার করা যায় অনায়াসে। পোশাকের সঙ্গে রঙ মিলিয়ে রুচির প্রকাশও ঘটাতে পারেন সেসব ছাতায়।

এসময় সাধারণত হালকা রঙের ছাতা কেনা ভালো। নীল, বেগুনী, গোলাপি বা হলুদ রঙের ছাতা কিনতে পারেন। একরঙা ছাতার ওপর পড়া উজ্জ্বল রঙের রোদের ছটা আপনার চেহারাকে আরও উজ্জ্বর দেখায়। কেউ কেউ প্রিন্টের ছাতা বেছে নেন। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি মানিয়ে যায় সেসব ছাতায়। তবে ছেলেরা কালো, সিলভার, আকাশী বা নেভিব্লু রঙের ছাতা ব্যবহার করতে পারেন।

যারা ফ্যাশনেবল লুককে বেশি প্রাধান্য দেন তারা পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে ছাতা কিনতে পারেন। তবে ছাতা কেনার সময় সহজে বহনযোগ্য কিনা অবশ্যই দেখে নিতে হবে। বাজারে টু ফোল্ড বা থ্রি ফোল্ড ছাতাগুলো বহন করার জন্য খুবই ভালো। হ্যান্ডব্যাগের মধ্যে এসব ছাতা সহজেই বহন করা যায়। শিশু ও বয়স্কদের জন্য লম্বা ধরনের ছাতাই ভালো। শিশু কিশোরদের জন্যও পাওয়া যাচ্ছে কার্টুন আঁকা ছাতা। সেই সঙ্গে রয়েছে নানা আকৃতির ছাতা। লম্বা হাতলওয়ালা ছাতা ছাড়াও দেশি ভাঁজ করা ফোল্ডিং ছাতা রয়েছে। সুইচযুক্ত ছাতা না কিনে ম্যানুয়াল ছাতা কেনা ভালো। কারণ সুইচযুক্ত ছাতা ভেঙে গেলে সহজে মেরামত করা যায় না। কেনার সময় ছাতা খুলে ও বন্ধ করে পরীক্ষা করে নিতে ভুলবেন না।

বাজারে সাধারণ ছাতার পাশাপাশি বিশেষ ধরনের রোদ প্রতিরোধক ছাতাও পাওয়া যায়। এই ছাতা আপনাকে সরাসরি সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে বাঁচাবে। যাদের ত্বক স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সংবেদনশীল তাদের জন্য এই ছাতা উপকারী হবে।

ছাতার দরদাম

নানা রঙ ও নকশার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এবং ভিন্ন দরদামে ছাতা পাওয়া যায় বাজারে। দেশি ছাতার মধ্যে শরীফ ও এটলাসের ছাতার জনপ্রিয়তা বেশি। এ ছাড়া রহমান, ফিলিপস, চেরি, র‌্যালি ব্রাদার্স, মার্টিন, স্ট্যামফোর্ড, দত্ত, মুন, অ্যাপেক্স, নওয়াব, গোল্ডফিশ ইত্যাদি ব্র্যান্ডের ছাতা পাওয়া যায়। বাজারে দুই রকমের শরীফ ছাতা পাওয়া যায়। বড় কালো ছাতা ১৫০ টাকা, এবং ভাঁজযুক্ত ছাতার দাম ২৩০ টাকা। এই ছাতাগুলো বেশ টেকসই। এটলাস তৈরি করে বড় ছাতা ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং ভাঁজযুক্ত ছাতার দাম পড়বে ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শিশুদের জন্য উজ্জ্বল রং ও নকশার ছাতা রয়েছে, দাম ৯০ থেকে ২৫০ টাকা। তরুণীদের কাছে চেরি ছাতার জনপ্রিয়তা বেশি। ফ্যাশনেবল এই ছাতার দাম পড়বে ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা। ডোভ ছাতার চাহিদাও রয়েছে। বাইরে রঙিন হলেও ভেতরে রুপালি প্রলেপ দেওয়া দুই রঙা এই ছাতা রোদ-বৃষ্টি থেকে সুরক্ষা দেয়। রহমান ছাতার দাম পড়বে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এর কালো ও রঙিন দুই ধরনের ছাতা পাবেন। নওয়াব ছাতা কলকাতা থেকে এলেও সারা দেশে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নওয়াবের বড় ছাতা ১০০ থেকে ২৫০ টাকা, দুই ভাঁজের দাম পড়বে ১২০ থেকে ৩৫০ টাকা, তিন ভাঁজ ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং টিপ বা অটো ছাতা পাবেন ১২০ টাকায়। বাচ্চাদের ছাতার দাম ৯০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে।

কোথায় পাবেন

ঢাকার গুলিস্তান, নিউমার্কেট, বায়তুল মোকাররম, মিরপুর ১ ও ২ নম্বর, ফ্যাশন হাউস বিবি প্রোডাকশনস, বনানীর ফ্যাশন হাউস চন্দনসহ ছোট-বড় সব বাজারে দেশি-বিদেশি এসব ছাতা পাওয়া যায়। তবে ঢাকার চকবাজারের ইমামগঞ্জ, চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজার, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লার চান্দিনা, বগুড়ার চাঁদনী বাজারে পাইকারি ছাতা বিক্রি হয়। যে জায়গা থেকেই ছাতা কেনেন না কেন, অপেক্ষাকৃত ভালো ব্র্যান্ডের ছাতা কেনা ভালো।

সতর্কতা

– ছাতার ওপরের দিক রঙিন হলেও নিচের দিক যেন সাদা বা ধূসর হয়। কারণ এটি তাপ ও বৃষ্টি রোধ করে।

– আট শিকের ছাতা না কিনে ১০ শিকের ছাতা কেনা ভালো। এধরনের ছাতা দীর্ঘস্থায়ী হয়।

– অ্যালুমিনিয়াম শিকের ছাতায় সহজে মরিচা পড়েনা।

– ভেজা ছাতা ভালো ভাবে শুকিয়ে ভাঁজ করে রাখা উচিৎ। এতে অনেকদিন ছাতা ব্যবহার করা যায়।

– ছাতা এলোমেলো ভাবে ভাঁজ করে রাখলে ছাতার কাপড় দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।

New All Tips Visited my siite LikeSmsBD.Ga

2 thoughts on "[লাইফ স্টাইল] শীতের রোদে চাই নকশাদার ছাতা"

  1. md nasim uddin Author says:
    এই সব থেকে কেউ কিছু বুঝে নাই
    SO এসব পোষ্ট তেকে বিরত থাকুন

Leave a Reply