অতি সাধারণ একটি খাবারের নাম ভুট্টা। সহজে চাষযোগ্য ভুট্টার ফলন হয় উল্লেখ করার মতো। ভুট্টার বহুবিধ ব্যবহার আমাদের চোখে পড়ে।

শীতের এই সময়ে বেবিকর্ণ বা ছোট ভুট্টা সৌখিন অনেক খাবারে ব্যবহার হয়। পরিপক্ক কাঁচা ভুট্টা পুড়িয়ে খাওয়াসহ ভুট্টার আটা নানা সুস্বাদু রান্নায় ব্যবহার হয়। ভুট্টার আটার রুটি খাওয়ার প্রচলন আছে অনেক জায়গায়। অবসরে বা বিকেলে বন্ধুদের আড্ডায় ভুট্টার খই বেশ সঙ্গ দেয়। উচ্চ মাত্রায় পুষ্টি সমৃদ্ধ এ খাবারের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি। তবু আজ জেনে নেব সুলভ ভুট্টার মূল্যবান পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।

– ভুট্টা উচ্চ শর্করা সমৃদ্ধ। সকালের নাস্তায় ভুট্টাজাত খাবার খেলে সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টির যোগান নিশ্চিত হয়।

– ভুট্টাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ খনিজ ও ভিটানের উৎস হিসেবেও ধরা হয়। এতে আছে উচ্চমাত্রার আয়রণ ও ম্যাঙ্গানিজ। আপনার দেহে অনাকাঙ্ক্ষিত জীবানু প্রবেশে বাধা দিয়ে শরীরকে রাখে সুস্থ-সবল।

– ভুট্টার তেলে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এই তেলে পশু চর্বির মতো কোনো প্রকার ক্ষতিকারক দিক নেই। দেহের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভুট্টার তেলের তুলনা হয় না।

– এককাপ রান্না করা ভুট্টায় পাবেন ১৭৮ কিলো ক্যালরি শক্তি। দিনভর সবল থাকতে প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন ভুট্টা জাত খাবার।

– ভুট্টা পটাশিয়ামের একটি আদর্শ উৎস, অন্যদিকে উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধিকারী সোডিয়ামের পরিমাণ আছে খুবই কম পরিমাণ।

– এতে থাকা পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন- কে বয়স্ক নারীদের কোমরের হাড় ক্ষয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।

– ভুট্টায় ভিটামিন বি১২ রয়েছে যা নতুন রক্তকোষ তৈরিতে সাহায্য করে। এতে রক্তস্বল্পতা দূর হয়।

– ভুট্টার ভিটামিন ‘এ’ চুলের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া দৃষ্টিশক্তি প্রখর করতেও সাহায্য করে।

– ভিটামিন এ, সি ও লাইকোপিন ত্বককে উজ্জ্বল করে। ত্বকের নানা রোগ এবং স্কিন ক্যানসার পর্যন্ত রুখতে সাহায্য করে।

– ভুট্টায় থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যআঁশ হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

.
.

সবার প্রথমে এই পোস্টটি এখানে শেয়ার হয়ে ছিল
.
.

.
.

LikeSmsBD.Ga

.
.
এই সাইট টি বিক্রি করা হবে!

.
.
.

[b] যোগাযোগ Facebook

Leave a Reply