রান্না বা সালাদে টমেটো ছাড়া ভাবাই যায় না। নানা রকম মুখরোচক খাবার সাজাতেও টমেটোর জুড়ি নেই। টমেটো শুধু রঙ বাহারি রূপে নয় গুণেও সেরা। এর রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা দিক। আমাদের দেহ নানা রকম রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখতে টমেটো কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দেখে নেয়া যাক টমেটোর অসাধারণ উপকারী কয়েকটি গুণ।
– লাল টমেটোতো খুব বেশি পরিমান লাইকোপিন নামক উপাদান থাকে যা ক্যানসার কোষ বিনষ্টকারী। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেনটের একটি দারুণ উৎস। তাই ক্যানসারের ঝুঁকি রোধে নিয়মিত খাবার তালিকায় বিষমুক্ত টমেটো রাখতে পারেন।
– টমেটোতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যআঁশ, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি। হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে এসব উপাদানের বিকল্প নেই।
– টমেটোতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে দেহের হাড় মজবুত করে এবং ভাঙ্গা হাড়কে দ্রুত জোড়া লাগাতে সাহায্য করে।
– টমেটোর ভিটামিন এ একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। রাতকানা রোগও নিরাময়ে সাহায্য করে।
– নিয়মিত টমেটো খেলে আমাদের চুল পড়া কমে এবং চুলকে মজবুত করে।
– টমেটো কিডনিতে পাথর জমতে দেয় না। এমন অসহ্যকর রোগ থেকে রেহাই পেতে খাবার তালিকায় টমেটোর মতো সুস্বাদু সবজিটি রাখা ভালো।
– যাদের স্থুলতা নিয়ে চিন্তা, তারা এই প্রাকৃতিক খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন। প্রতিদিনের প্রচুর পরিমাণে টমেটো আমাদের দেহের অতিরিক্ত চর্বি দূর করে এবং দেহে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না।
– বাতের ব্যথায় টমেটো বেশ উপকার করে। এটি বাতের ব্যথা অনেকাংশে দূর করতে সক্ষম।
– টমেটোতে প্রচুর পরিমানে বেটা-ক্যারোটিন উপাদান আছে, যা পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
– আমাদের দেহের ত্বককে ক্ষতিকর সূর্যরশ্মি, তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে রক্ষা করতে পারে এই টমেটো।
– টমেটো তে উচ্চমাত্রার আঁশ এবং প্রোটিন থাকে, যা ফুসফুস এবং যকৃতের ক্যানসার এর ঝুঁকি কমায়।
– উচ্চরক্তচাপের সমস্যা দূর করতে টমেটো অনেক বেশি ফলদায়ক।
– গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, প্রতিদিন ২৫ গ্রাম টমেটো খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা অনেক বেশি সহজ হয়। চমৎকারভাবে দেহের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে এই টমেটো।
– দেহের পানিশূন্যতা রোধের জন্য টমেটো হচ্ছে প্রাকৃতিক ওষুধের মতো। দেহে পর্যাপ্ত শক্তি যোগায় এই টমেটো।
One thought on "টমেটোর অসাধারণ উপকারী কয়েকটি গুণ"