চীনের কথা বললেই যে শব্দটি মনে প্রথম উঁকি দেয় তা হচ্ছে চীনের মহাপ্রাচীর। এটি মানুষের হাতে তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থাপত্য। কথিত আছে, চাঁদ থেকে নাকি এই স্থাপনা দেখা যায়। বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি। বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হওয়ার পাশাপাশি এটি চীনের জাতীয় প্রতীকও বটে।
প্রায় ২ হাজার ৮০০ বছর আগে এই মহাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজা এই প্রাচীরের বিভিন্ন অংশ তৈরি করেন। তবে ২২০-২০৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রাচীরের সবচেয়ে দীর্ঘ অংশ নির্মাণ করেন চীনের সম্রাট ছিন শি হুয়াং।
প্রাচীরটি কোথাও পাহাড়, কোথাও সমতল, কোথাও গেছে মরুভূমির ওপর দিয়ে। ইট-পাথর দিয়ে তৈরি চীনের এ প্রাচীর প্রায় ৫ থেকে ৮ মিটার উঁচু। এটি চীনের সাংহাই পাস থেকে শুরু হয়ে লোপনুর নামক স্থানে শেষ হয়েছে।
চীনের মহাপ্রাচীরের প্রবেশদ্বারের নাম মুথিয়ানাইয়ু। এ প্রাচীর দেখতে প্রতিদিন এখানে প্রচুর পর্যটক আসে। বছরের চারটি ঋতুতে উপভোগ করা যায় প্রাচীরের চার ধরনের সৌন্দর্য। শীতকালে শুভ্র তুষারে ঢাকা প্রাচীর যেমন মনে এনে দিতে পারে এক ধরনের পবিত্র প্রশান্তি, তেমনি বসন্তের রঙবেরঙের ফুল মনকে করে তোলে উৎফুল্ল। গ্রীষ্মকালে গ্রেট ওয়ালের চারপাশের সবুজ স্নিগ্ধ পরিবেশ আর ঝিরিঝিরি বাতাস প্রশান্ত করে মনকে।
এমনই এক পরিবেশে কয়েকজন মুসলিম পর্যটক চীনের মহাপ্রাচীরে বেড়াতে এসে আজান দিলেন। এমনই একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে।
তবে তাদের এই দৃশ্য কে ভিডিও করেছে তা জানা যায়নি। কিন্তু হাজেম নামক একজন ভিডিওটি প্রথম আপলোড করেন ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর।
ওই তরুণরা ব্রিটেন থেকে বেড়াতে যান চীনে। তারা ফিলিস্তিন ও গাজাবাসীর সহায়তায় একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য কাজ করেন। তাদের পরিচয়ের বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। এটাকেই ধরা হয়ে থাকে চীনের গ্রেট ওয়ালে প্রথম আজানের ঘটনা।
♦♦♦♦Visit My Site .. ♦♦♦