আমরা সবাই চাই, যে লোকেরা যেন আমাদেরকে পছন্দ করে। কিন্তু যখনই আপনি কোন নতুন ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করেন। তখন আপনি নার্ভাস হয়ে যান। এবং মনে মনে ভাবেন, যে হয়তো ব্যক্তিটি আমাকে পছন্দ করে না। হয়তো আমি দেখতে ভালো না। আমি কথা বলতে গিয়ে হয়তো কোন কিছু ভুল বলে ফেলেছি। সে আমার ব্যাপারে যে কি ভাবছে।

কোন অচেনা ব্যক্তির সাথে কথা বলতে গিয়ে যদি আপনারা এরকম ভাবনা এসে থাকে। তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য।

প্রায়ই কোন অচেনা ব্যক্তির সাথে কথা বলতে গিয়ে লোকেরা বোকার মতো উল্টোপাল্টা ব্যবহার করা শুরু করে।

উদাহরণস্বরূপ ব্যক্তির নিজের বড়াই করা শুরু করে দেয়। নিজের পলিটিক্স এর ব্যাপারে বলতে শুরু করে দেয়। নিজের ব্যাপারে এসে বড় বড় কথা বলতে শুরু করে থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটা করার ফলে সেই সময়ে সেই ব্যক্তিটি কে অভিমানী দেখায়।

আর এটা মনে রাখবেন যে মানুষ অভিমানী ব্যক্তিকে পছন্দ করে না। লোকেদের পছন্দ হওয়া এবং তাদেরকে আকর্ষণ করা অতটা কঠিন কাজ নয়, এটা খুবই সহজ কাজ। কাউকে অ্যাড করার জন্য আপনাকে উল্টোপাল্টা কাজ করতে হবে না।

আপনি শুধু মাত্র আজকের এই ৬টা টিপস কে ফলো করুন। যেটাকে আমি আপনাকে এখন বলতে চলেছি।

আর যদি আপনি এই ৬টি টিপসকে ফলো করে করোও সাথে কথা বলেন। তাহলে আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি যে লোকেরা আপনাকে পছন্দ করতে শুরু করবে। তো চলুন শুরু করি।

আপনি বলুন তাদেরকে, যে আপনি তাদেরকে পছন্দ করেন। মনে করুন একটি ব্যক্তি আছে। যে পৃথিবীর বেস্ট একজন ব্যক্তি। তার মধ্যে অনেক ভালো কোয়ালিটির এবং গুণ রয়েছে।

কিন্তু আনফরচুনেটলি সে আপনাকে একেবারেই পছন্দ করে না। তো এবার আপনি বলুন যে আপনি কি তাকে লাইক করবেন? নিশ্চয়ই না। আমরা তাদেরকেই পছন্দ করি। যারা আমাদেরকে পছন্দ করে।

যদি আপনি কারও পছন্দের ব্যক্তি হয়ে উঠতে চান। তো সবথেকে প্রথমে আপনাকে তাদেরকে পছন্দ করা শিখতে হবে। আপনি তাদেরকে বলুন। যে, আপনি তাদেরকে পছন্দ করেন। তাদের কেয়ার করেন। তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করুন।

তো প্রশ্ন হলো কিভাবে পছন্দ করব ডাইরেক্ট গিয়ে তো বলতে পারব না। যে আমি তোমাকে খুব লাইক করি, চলো তুমিও এবার আমাকে লাইক করতে শুরু করে।

এতে তো আপনার গাল লাল হয়ে যাবে। তাই না? তো দুটি দারুণ টেকনিক রয়েছে। যার সাহায্যে আপনি সামনের কোন মানুষের সাথে সুন্দর করে কথা বলতে পারবেন।

আপনি তাকে লাইক করেন। প্রথম স্মাইল করুন। অবশ্যই রিয়েল স্মাইল করুন।

যদি আপনি কারও সাথে একগাল হাসি নিয়ে কথা বলেন। তো সামনের ব্যক্তির কাছে মনে হবে, যে আপনি তাকে পছন্দ করেন। আয়নার সামনে আপনি নিজেকে দেখুন। দেখুন যে আপনি হাসলে আপনাকে কেমন দেখায়।

রেগে থাকলে আপনাকে কেমন দেখায়। সিরিয়াস থাকলে কেমন দেখায়। তো সামনের লোকটিকে যে আপনি পছন্দ করেন। তাকে সেটা বলার প্রথম স্টেপ হলো। এই যে আপনি তার সামনে একটি রিয়েল স্মাইল দিয়ে কথা শুরু করুন।

এবং সেকেন্ড আপনি তার জেনুইন সুনাম করুন। এখানে মিথ্যে বলা চলবে না। আপনি তার জেনুইন করুন। যেভাবে আপনার সাথে কথা বলতে বলতে যদি কেউ আপনার মিথ্যে সুনাম করে।

তো আপনি ইন্সট্যান্টলি তার মিথ্যে সুনামকে ধরে ফেলতে পারেন। কারণ আপনি নিজেই এটা খুব ভালোভাবে জানেন।

যে আপনি কতটা ভালো এবং কতটা খারাপ। সেম যখন আপনি কারও মিথ্যে সুনাম করেন। তখন সেও এটা ইন্সট্যান্টলি ধরে ফেলে। আর এতে লোকেরা আপনাকে স্বার্থবাদী মনে করা শুরু করবে।

কিন্তু সত্য এবং জেনুইন সুনাম করলে। তারা আপনাকে পছন্দ করতে শুরু করবে। আর আপনাকে একজন সৎ এবং বুদ্ধিমান ব্যক্তি ও মনে করবে।

তাদেরকে সেটা দেখান। যে তারা আপনার জন্য কতটা ইম্পরট্যান্ট। আর এটা করার সবথেকে কার্যকরী টেকনিক হলো, এই যে আপনি তাদের কাছ থেকে কোনো কিছুর ব্যাপারে এডভাইস নিন।

যে কোনো ছোটমোটো একটি প্রবলেম কে তাদেরকে বলুন। এবং তাদের কাছ থেকে সেই প্রবলেমের সলিউশন এডভাইস নিন। যে আমি এই জবটি করতে চাই। বাহির সাবজেক্ট কেমিস্ট্রি ফিল্ডে চেঞ্জ করতে চাই। আমি বিজনেস করতে চাই। আপনার কি মনে হয় এটা কি ঠিক হবে।

আপনি যে কোনো প্রকারেই এডভাইস তার কাছ থেকে নিতে পারেন। যেটাকে বলতে কি না আপনি তার কাছে কমফোর্ট ফিল করেন। যখন কেউ আমাদের কাছ থেকে এডভাইস নেয়।

তখন আমাদের মনে হয়, যে তার কাছে বোধহয় আমাদের ওপেন ইওর ম্যাটার করে। আমি বোধহয় সেই ব্যাক্তিটির কাছে ইম্পর্টেন্ট নয়।

কেন আমার কাছে এডভান্স? তাই সামনের ব্যক্তির কাছ থেকে এডভান্সমেন্ট লজ্জা একেবারেই করবেন না।

আর হ্যাঁ, অ্যাডভান্স নেওয়ার পর তাকে থ্যাংকস অবশ্যই বলবেন। এই ছোট থ্যাংকস শব্দটি আপনাকে তার কাছে আরও প্রিয় করে তুলবে।

তাদের নাম রিপিট করুন। মানুষের কাছেই পৃথিবীর সবথেকে সুইটেস্ট সাউন্ড হলো তার নিজের নাম। সাক্ষাতের প্রথম 10 মিনিটে কমপক্ষে তিনবার যদি আপনি সামনের ব্যক্তির নাম রিপিট করেন।

তো তার আমাদেরকে পছন্দ করার চান্স শতাংশ বেড়ে যায়। তার মানে এই নয়, যে আপনি তার কাছে গিয়ে এটাই বলতে থাকবেন। যে টুম্পা এস টুম্পা এস টুম্পা সোনা এমনটা নয়। ডোন্ট মাইন্ড আমি জাস্ট বোঝানোর জন্য বললাম।

আপনাকে তার নাম এমনভাবে রিপিট করতে হবে। যে তারা যেন জানতে না পারে যে আপনি তার নাম বারবার রিপিট করছেন।

মানে আপনি হাই বলার পরিবর্তে হাই টুম্পা বলুন। থ্যাংকস বলার পরিবর্তে থ্যাংক ইউ টুম্পা বলুন। যখনই আপনি কারো সঙ্গে 10 মিনিট কথা বলবেন। তখন তার নাম উল্লেখ করার বহু চান্স আপনি পেয়ে যাবেন।

আপনি তাদের ইন্টারেস্টে নিজেরও ইন্টারেস্ট দেখান। মানে, মনে করুন আপনি যার সাথে সাক্ষাৎ করতে চলেছেন। তাকে গান ভালো লাগে।

কিন্তু আপনার ক্রিকেট ভালো লাগে। তো এখানে আপনি তার সাথে ক্রিকেট মানে নিজের হবে এর ব্যাপারে কথা বলবেন না। আপনি তার সাথে তার ব্যাপারে গল্প করুন। যদি আপনি তাদের ইন্টারেস্ট কে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের ইন্টারেস্ট এর ব্যাপারে কথা বলেন।

তোর সামনে বিয়েতে বোর হয়ে যাবে। এবং সে আপনাকে ইগনোর করার চেষ্টা করবে। এতে সে আপনার সাথে কানেক্ট হতে পারবে না।

যার ফলে আপনাকে লাইক করার কথা তো অনেক দূরের কথা। নেক্সট টাইম সে নিজেই আপনাকে ইগনোর করবে।

তাই সবসময় লোকেদের ইন্টারেস্টে নিজেরও ইন্টারেস্ট শুকরান। এতে লোকেরা মনে করা শুরু করে। যে সে আপনার জন্য ইম্পরট্যান্ট।

আপনি তাদেরকে আপনার একটি ছোট কাজকে করে দিতে বলুন। এটাকে বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন এফেক্ট বলা হয়।

এটি একটি সাইকোলজিকাল ফেনোমেনন। যে, যখন কোন ব্যক্তি আমাদের জন্য কোন কাজ করে। তখন সে আমাদেরকে পছন্দ করতে শুরু করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি ডিনার টেবিলে বসে আছেন।

তো এখানে আপনি সেই ব্যক্তি কে জলবা লবণ কে পাস করতে বলতে পারেন। আপনি আপনার ছোট একটি কাজকে তাকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন।

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন তার বায়োগ্রাফি কে লিখেছিলেন। যে যখন কোন ব্যক্তি আপনার প্রতি কাহিনী বা দয়ালু ভাব দেখায়।

পতো সেই ব্যক্তি ফিউচারে আপনার জন্য আপনার প্রতি আরো বেশি দয়ালু হয়ে যায়। জল দেওয়া বাস করে দেওয়া এগুলি তো ছোট ছোট কাজ। তাই না? আপনি তাদেরকে নিজের দুর্বলতা গুলিকে বলুন।

একচুয়ালি হয় একই ব্যক্তি ইম্প্রেশ বানানোর চক্করে নিজেকে পারফেক্ট দেখানোর চেষ্টা করে। আপনি হয়তো জানেন না। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ উল্টো রিয়াকশন ঘটে।

যখনই আপনি লোকেদেরকে এটা দেখানোর চেষ্টা করবেন। যে আপনি একদম পারফেক্ট। আপনার মধ্যে কোন দোষ নেই। ততই লোকেরা আপনার কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করবে। এবনগ কিছু লোকেরা আপনাকে দেখে হিংসা ও করা শুরু করবে।

কিন্তু যখন আপনি নিজের দুর্বলতা গুলিকে লোকেদের সামনে তুলে ধরবেন। যখন আপনি এটা তাদের সামনে এসে করবেন।

যে ভুল আপনিও করেন। আপনার লাইফের সবকিছু হান্ডেট পার্সেন্ট ঠিক ভাবে নেই। তখন সামনের ব্যক্তি ভাবা শুরু করে যে, আরে ও তো আমার মতই ঠিক। তেমনি যেমন ভোটের আগে কোন নেতা নিজেকে লোকেদের সামনে এনে তাদের সাথে মেলামেশা করে।

এবং নিজের গল্প শেয়ার করে নিজের ভুল অন্যের বোন আপনার ভুলগুলো কে দেখিয়ে ভোট নিয়ে যায়। ঠিক একই রকমভাবে আপনার ছোট ছোট ভুলগুলি আপনাকে লোকেদের কাছে অ্যাট্রাক্টিভ করে তোলে। মনে রাখবেন যে পারফেক্ট লোকেদের কেউ পছন্দ করেনা।

আপনি চাইলে ছেলে মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ দেখতে পারেন আমার ব্লগ সাইটে। দেখুনঃ স দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ

আমাদের শেষ কথা

আশাকরি আজকের এই টিপসগুলো ফলো করে। আপনি সহজেই কোনো ব্যক্তি বা কোন গ্রুপের কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে পারবেন। এবং লোকেদের কাছে অ্যাট্রাক্টিভ হয়ে উঠতে পারবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

5 thoughts on "অচেনা মানুষের সাথে গুছিয়ে কথা বলার উপায়"

  1. Tushar Ahmed Author says:
    টিপসগুলা ভালোই কিন্তু সমস্যা হচ্ছে গুছিয়ে লিখতে পারেন নি। তাছাড়া অসংখ্য বানান ভুলও রয়েছে।
    গুছিয়ে নির্ভুলভাবে লিখলে পড়তে সুবিধা হয়।
    1. Farhan Ahmed Author Post Creator says:
      দুঃখিত ভাই! Voice Typing করে এই পোস্টটা লিখেছি, তাই একটু এরকম হয়েছে।
  2. Abubokor Rio Contributor says:
    দাড়ি-কমা’র যথোপযুক্ত ব্যবহার শিখতে হবে।
    1. Farhan Ahmed Author Post Creator says:
      দুঃখিত! Voice Typing করে এই পোস্টটা লিখেছি, তাই একটু এরকম হয়েছে।
    2. Russell_Khan Contributor says:
      একদম

Leave a Reply