Real Feel VS Actual Temperature
সূচনা:
দেশে একপ্রকার হিট ওয়েভ চলছে।চারিদিকে হাহাকার অবস্থা।আমরা ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে দিন শেষে হালকা বৃষ্টির আশায় বা তামপাত্র জানতে গুগল এ সার্চ করি,”temparature today”! তখন তাপমাত্রার নিচে অন্য একটা তাপমাত্রা দেয়া থাকে”Feels like 42°”। আসলে এটা কি?এই ব্যাপারেই আজকে আলোচনা করবো। আশা করি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ফিলস লাইক তাপমাত্রা বা অনুভূত তাপমাত্রা সম্পর্কে জানতে হলে আগে জলীয় বাষ্প ও আদ্রতা সম্পর্কে জানতে হবে।
জলীয় বাষ্প হলো পানি বা পানির বায়বীয় রূপ।সহজ কথায়,বাতাসে অবস্থিত পানিকেই জলীয় বাষ্প বলে।
আর কোনো নির্দিষ্ট স্থানের আর্দ্রতা হলো সেই স্থানের বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের পরিমাণ অর্থাৎ বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের ঘনমাত্রা।সাধারণত বায়ুর প্রতি ঘন মিটার আয়তনে অবস্থিত জলীয়বাষ্প এর পরিমাণ দ্বারা জলীয় বাষ্পের ঘণমাত্র বা আদ্রতা নির্ণয় করা হয়
।যদিও একে শতকরা পরিমাণে রূপান্তর করা হয় যেমন —40%,50%,90%
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গনাইজেশন এর মতে মানব শরীরের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা ১৮° সেলসিয়াস।তাপমাত্রা যখন এর থেকে বেড়ে যায়,আমাদের শরীর ঘাম নিশ্রীত করে,সেই ঘাম বাতাসে শুকিয়ে যায়,শুকানোর জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা আমাদের শরীর থেকে নেয়া হয়(সুপ্ত তাপ;একই পদ্ধতিতে প্রচণ্ড গরমেও মাটির কলসী তে পানি ঠান্ডা থাকে)।এতে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় এবং আমাদের আরাম অনুভূত হয়।এভাবেই মানব শরীর নিজেকে ঠান্ডা রাখে।কিন্তু বাতাসে আদ্রতা বেশি হয়ে গেলে এ প্রক্রিয়া ঠিক মত কাজ করতে পরে না এবং ধীর গতির হয় যায়।কারণ বাতাসে আগে থেকেই অতিরিক্ত পানির/জলীয় বাষ্পের অবস্থান থাকে তাই ঘামের পানি শুকিয়ে সেখানে মিশ্রিত হওয়ার জায়গা থাকে না,থাকলেও কম(অনেক্টা পরিপূর্ণ গ্লাসে জল ঢালার মতো)।এজন্যই আমাদের শরীর ঠাণ্ডা হতে বেশি সময় নেয় এবং আমার অস্বস্থি বোধ করি।যেমন:
২৭ এপ্রিল ২০২৪,কক্সবাজার এ তাপমাত্রা ছিল ৩২°সি কিন্তু ফিলস্ লাইক ৪৪°সি,পার্থক্য ১২°সি।আবার একইদিনে ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪০°সি কিন্তু ফিলস্ লাইক ৪৭°সি,পার্থক্য ৭° সি।পার্থক্যের এতো তফাৎ হওয়ার কারণ কি?কারণ একটাই,আদ্রতা।সেই দিন কক্সবাজারে আদ্রতা ছিল ৮৪% এবং ঢাকায় ছিল ৫০%।সমুদ্র পৃষ্ঠের কাছে অবস্থান করার কারণে কক্সবাজারে আদ্রতা বেশি থাকে তাই অন্যান্য জায়গার তুলনায় কক্সবাজারে তাপমাত্রা কম থাকলেও অনুভূত বেশি হয়।
অতিরিক্ত আদ্রতা = অতিরিক্ত অনুভূত তাপমাত্রা
You must be logged in to post a comment.
You are legend trust me ♥ you have cleared my doubt. Take love bro ♥
ব্রো ঠোট ফাটার কারনটাও ব্যাখ্যা করে বলে দেন। যেমন শীতেও ঠোট ফাটে আবার অতিরিক্ত গরমেও ঠোট ফাটে, আবার গরমে ঠোট নাও ফাটতে পারে।
আর আদ্রতা (৮৪%) বেশী হলে যদি গা ঘামে বেশি, তাহলে আদ্রতা ১৩% হলে গা কম ঘামবে? কোন ক্ষেত্রে গরম বেশি লাগবে?