আপনি কি ভূত বিশ্বাস করেন?”- এই প্রশ্নটির মুখোমুখি কম বেশি সবাইকেই হতে হয়। ভূত বিশ্বাস করেন বা না করেন ভূতের গল্পের প্রতি প্রতিটি মানুষের রয়েছে অদ্ভুত আকর্ষণ, অদ্ভুত ভালো লাগা। ছোটবেলায় ভূতের গল্প শোনেন নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার! পৃথিবীতে এমন কিছু স্থান রয়েছে যেগুলো নিয়ে প্রচলিত আছে গল্প কথা, প্রচলিতআছে ভূতের কাহিনী। অদ্ভুত হলেও এই গল্পগুলো অনেক ক্ষেত্রেই সত্য। এই স্থানগুলো আজও মানুষের কাছে এই রহস্য। এমনি কিছু রহস্য ঘেরা ভূতুড়ে স্থানের সাথে আপনাদের কে পরিচয় করিয়ে দেব।

১। Aokigahara Forest -(The Suicide Forest)

জাপানের মাউণ্ট ফুজি নামক স্থানে অবস্থিত এই জঙ্গলটি। এই জঙ্গলটিকে বিশ্বের দ্বিতীয় আত্নহত্যার স্থান বলা হয়।প্রতি বছর ১০০ এর বেশি মানুষএই জঙ্গলে ঘুরতে যান এবং তারা আর ফিরে আসেননা।বছরে পর বছর মৃত্যদেহগুলো এখানে পড়ে থাকে। এইখানে মৃত্যুর সংখ্যা এত বেড়েছে যে, এই জঙ্গলে ঢোকার আগে গেটে নানা সাবধান বাণী দেখতে পাবেন।

২। The Door to Hell

তুর্কমেনিস্তানে অবস্থিত জাহান্নামের দরজা! এটি মূলত একটি একটি গ্যাস ক্ষেত্র ছিল। সোভিয়াত বিজ্ঞানীরা এতে ৪০ বছর ধরে আগুণ জ্বালিয়েছিল। নরকের দরজার সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হল, এই স্থানটি মাকড়শারা বেশ পছন্দ করে। এমন ধারণা করা হয়যে এখানে হাজার খানেক মাকড়শা বসবাস করে।

। La isla de la Muñecas or The Island of Dolls

মেক্সিকোর একটি মানুষহীন দ্বীপ এটি। এই দ্বীপের প্রায় প্রতিটি গাছে অদ্ভুত কিছু পুতুল ঝুলতে দেখা যায়।প্রায় ৫০ বছর আগে ডন জুলিয়ান সানটানা নামক ব্যক্তিতার স্ত্রী কন্যাকে রেখে এই দ্বীপে একা বসবাসের জন্য আসেন।তিনি হঠাৎ একদিন খালে একটি মেয়ের লাশ ভাসমান অবস্থায় পেয়ে যান। ডন জুলিয়ান ভেবেছিলেন এই মেয়েটিরআত্মা ভূতুড়ে কোন শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছে। আর সেই ভাবনা থেকেই তার আত্নার জন্য তিনি অদ্ভুত সব পুতুল সংগ্রহ করা শুরু করেছিলেন এবং তা দিয়ে সম্পূর্ণ গ্রামটিকে সাজানো হল। সে যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন পুতুল সংগ্রহ করেছেন।

৪। Union Cemetery – Connecticut, USA

ইউনিয়ন সমাধিস্থান এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভয়ংকর এবং রহস্যজনক সমাধিস্থল। “হোয়াইট লেডি” নামক একটি ভূতের দেখা অনেকেই পেয়েছেন এই স্থানে। এটি সাধারণত চলমান গাড়ির সামনে হঠাৎ চলে আসে। অনেক ফটোগ্রাফারের ক্যামেরায় ধরা পড়ে এই হোয়াইট লেডি!

৫। The Tower of London

লন্ডনের ভৌতিক স্থানগুলোর মধ্যে এটিঅন্যতম।১৫৩৬ সালে রাজা হেনরি VIII তার স্ত্রীকে শিরচ্ছেদ করেন এই টাওয়ারে। তারপর থেকে তার আত্না বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায়। মাঝে মাঝে তার নিজের খন্ডিত মাথা হাতে নিয়ে টাওয়ার গ্রীন এবং টাওয়ার চাপেল রয়েলে হাঁটতে দেখা যেত!

সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আসসালামু আলাইকুম।

8 thoughts on "পৃথিবীর ৫টি ভয়ংকর ভূতুড়ে স্থান ছবি সহ দেওয়া আছে। একবার হলেও দেখে নিন।"

    1. Fahim Contributor Post Creator says:
      thanks…
    1. Fahim Contributor Post Creator says:
      thank u…
  1. Prince pappu Contributor says:
    ভালই লাগলো…
    আমাদের দেশেও কিন্তু অনেক ভূতুরে স্থান আছে
    1. Fahim Contributor Post Creator says:
      hnmm pappu
  2. SK Sani Chowdhury Contributor says:
    Excellent Bro
    1. Fahim Contributor Post Creator says:
      tnxz…

Leave a Reply