আপনি কিআপনার জীবন মানের উন্নতি ঘটাতে চান? তাহলে আপনাকে প্রতিদিন কিছু ছোট ছোট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। স্বভাব বা অভ্যাস মানুষের জীবন মানের উপর অনেক প্রভাব বিস্তার করে। ৩০ বছর বয়স হচ্ছে একজনমানুষের ভালো অভ্যাস রপ্ত করার সন্ধিক্ষণ। কারণ বয়স বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে মানুষের মধ্যে পরিবর্তিত হওয়ার অনিচ্ছা বাড়তে থাকে। সুস্থ ও পরিপূর্ণ জীবনের জন্য ৩০ বছর বয়সের মধ্যেই যে অভ্যাসগুলো রপ্ত করা প্রয়োজন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।
১। নিজেকে উপহাস করুন
নিজেকে নিয়ে এবং আপনার চারপাশের বাস্তবতাকে নিয়ে উপহাস করুন, খারাপ ও ভালো উভয় পরিস্থিতিতেই হাসতে শিখুন। আপনার সুস্বাস্থ্যও সুখি জীবনের জন্যরসবোধ থাকা অনেক প্রয়োজনীয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা নিজেকে নিয়ে উপহাস করতে পারে তারা অনেক বেশি প্রফুল্ল থাকে।
২। অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করবেন না
হেলথ সাইকোলজি রিভিউ এর করা গবেষণা পর্যালোচনায় জানা যায় যে, নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য প্রভাবিত হয়।আপনার সাফল্য অন্যদের দ্বারা পরিমাপ না করে আপনার নিজের সুখ দ্বারা পরিমাপ করুন। আপনি হয়তো শান্তির জন্য নিজের সাথেই যুদ্ধ করছেন। যদি অন্যের কী আছে তার প্রতি আপনি বেশি খেয়াল করেন তাহলে আপনি যতোই চেষ্টা করুন না কেন কোন লাভ নেই। তার পরিবর্তে নিজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণকরুন এবং কিভাবে তাঅর্জন করবেন সেই সম্পর্কে চিন্তা করুন।
৩। আপনার প্রিয়জনদের ধন্যবাদ দিন
বেশিরভাগ মানুষ ২০ বছর বয়স পর্যন্ত পড়াশোনার প্রতি এবং ক্যারিয়ার শুরু করা নিয়ে মনযোগী থাকে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে পরিবার ও বন্ধু বান্ধবের প্রতি কম গুরুত্ব দিতে দেখা যায়। আপনার বর্তমান সম্পর্কেরপাশাপাশি পুরনো বন্ধুদের সাথে যোগাযোগের উপযুক্তসময় ৩০ বছর বয়সটা। কৃতজ্ঞ হওয়ার মানসিক উপকারিতা অনেক। হারবার্ড হেলথ পাবলিকেশন্স জানায় কৃতজ্ঞতা মানুষকে সত্যিই সুখি করে। তাই আপনার প্রিয়জনকে তার লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করুন, তার সাফল্যে উল্লাস করুন এবং তার ব্যর্থতায় তাকে সান্তনা দিন। তাহলে তাদের কাছ থেকেও একই রকম সহযোগিতা পাবেন আপনি।
৪। অর্থ সঞ্চয় করুন
অর্থ সঞ্চয় করা একটি ভালো গুণ যা আপনি ২০ বছর বয়স থেকেই শুরু করতে পারেন। কিন্তু ৩০ এপৌঁছালে এই অভ্যাসটি গড়ে তোলা অত্যাবশ্যকীয়।তাইআপনার আয়ের তুলনায় ব্যয় কম করুন।
৫। ওজন ঠিক রাখুন
৬। ভুল থেকে শিক্ষানিন
আপনার জীবনে হয়তো ইতিমধ্যেই অনেক ভুল হয়েছে যা হওয়াটাও খুব স্বাভাবিক। ভুল-ভ্রান্তি আপনাকে অভিজ্ঞ হতে সাহায্য করে এবং একজন ব্যক্তিতে পরিণত করে।বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে ভুল করা ও তার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার মাধ্যমে মানুষের বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি পায়।
৭। বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। তাই নিজের লক্ষ্য বড় ও স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা গেছে যে যদি আপনার লক্ষ্যটি আপনি লিখে ফেলতে পারেন তাহলে তা অর্জন করা সহজ হয়। তাই আজই আপনার লক্ষ্য সম্পর্কে লিখে ফেলুন এবং এই লক্ষ্য অর্জনে কতটুকু সময় প্রয়োজন এবং এর জন্য আপনার কী করা উচিৎ তা লিখে ফেলুন। লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করুন তিরিশেই।
আপনার যাপিত জীবনটাই আপনার জন্য একটি মজার গল্প। তাই এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নথিভুক্তকরুন। বিশেষ মুহূর্তের অভিজ্ঞতাগুলো লিখেরাখুন ও ছবি সংরক্ষণ করুন। সাইকোথেরাপি রিসার্চে প্রকাশিতএক সাম্প্রতিক গবেষণায় জানানো হয়েছে যে, রোজনামচাবা ডায়েরী লিখলে শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা পাওয়া যায়। তাছাড়া ইতিবাচক মানুষদের সান্নিধ্যে থাকুন, ঝুঁকি নিতে শিখুন, নিজেকে স্বীকার করুন এবং জ্ঞান অর্জন করুন।
নতুন নতুন টিপস পেতে TipsNice.TK সাইটে আসুন