চুল পড়া সাধারণ একটি বিষয়। পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। প্রতিদিন সবার কমপক্ষে ১০০ টিরও বেশি চুল পড়ে থাকে। কিন্তু সে পরিমাণে চুল গজায় না। এজন্য অনেকের মাথায় টাক পড়ে যায়।

তবে চুল পড়ার একক কোন কারণ নেই। খাদ্যাভ্যাস, আবহাওয়া, বেশিসময় ধরে হেলমেট ও ক্যাপ পরা ইত্যাদি চুল পড়ার প্রধান কারণ। সম্প্রতি একদল গবেষক বলছেন, এসব কারণকে সহজে এড়িয়ে চলা যায়। তাদের মতে ২০ টি উপায় অবলম্বন করলে চুল পড়া বন্ধ করা যায়।

১. প্রতিদিন হালকাভাবে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করতে পারেন। তাতে আপনার মাথা পরিষ্কার থাকবে।

২. শুধু শরীর সুস্থ্য রাখার জন্যে নয়, চুল পড়া বন্ধের জন্যেও বেশি বেশি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এক্ষেত্রে ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘ই’ আছে এমন খাদ্য বেশি সুফল বয়ে আনবে।

৩. এছাড়া খাবার তালিকায় আমিষ জাতীয় খাদ্যের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ বেশি করে খেতে হবে।

৪. নিয়মিত প্রয়োজনীয় তেল দিয়ে মাথা ম্যাসেজ করতে পারেন। তিলের তেল এক্ষেত্রে অনেক উপকারী।

৫. পেয়াজ, রসুন ও আদার রস দিয়ে মাথা ম্যাসেজ করলেও উপকার পাবেন।

৬. তাছাড়া ভেজা চুল আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকুন। ভেজা চুল আঁচড়ালে বেশি পমিাণে চুল পড়ে।

৭. চুলের গোড়া শক্ত করতে বেশি পরিমাণে পানি খাওয়া উচিৎ। পানি শুধু চুলের জন্য নয় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্যেও অত্যাবশ্যকীয় ।

৮. সবুজ চা অর্থাৎ চায়ের সবুজ পাতা প্রতিদিন আপনার মাথায় ঘষলে চুল পড়া বন্ধ হবে।

৯. ভিজা চুল টাওয়েল বা শক্ত কাপড় দিয়ে কখনো মুছবেন না।

১০. মদ চুলের প্রধান শত্রু। সব সময় মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।

১১. ধূমপান শুধু স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর। সঠিক রক্ত সঞ্চালনের ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি করে। ধূমপানের কারণে অত্যাধিক পরিমাণে চুল পড়ে।

১২. মানসিকভাবে আপনি কখনো চাপে থাকবেন না। মানসিক চাপ কমানোর জন্যে মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম করতে পারেন।

১৩. প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। এজন্য সাঁতার কাটতে পারেন অথবা হাঁটাহাটি করতে পারেন। ব্যায়াম করলে হরমোনাল ব্যালান্স ঠিক থাকে।

১৪. অনেককে দেখা যায়, চুল শুকানোর জন্যে বা চুলে স্টাইল করার জন্যে অনেকেই চুলে হিট দিয়ে থাকে। এ থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।

১৫. চুল যাতে ঘেমে ভিজে না যায় বা ঘেমে গেলেও যাতে বেশি সময় না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

১৬. যদি বেশি পরিমাণে চুল পড়তে থাকে তাহলে অবশ্যই সব সময় মাথা আলগা রাখবেন। বেশি ঢেকে রাখার চেষ্টা করবেন না।

১৭. সবসময় শরীরের যত্ন নিন। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের সাথে চুলের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। শরীর দূর্বলতা বা দীর্ঘ সময়ের জন্যে জ্বরে ভুগলে তার প্রভাব চুলের ওপর পড়তে পারে।

১৮. অনেক সময় দেখা যায়, কোন রোগের কারণে ঔষধ খেলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল পড়ে যায়। এজন্য ঔষধ নেয়ার সময় অবশ্যই চিকিৎকের কাছে পরামর্শ নিতে হবে।

১৯. বর্তমান সময়ে অনেকে চুলে কালার (রং) করে থাকে। এটিও চুল পড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২০. সর্বশেষ পরামর্শ হচ্ছে নিয়মিত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। কারণ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ দূর্বল হয়ে পড়লে তা চুলের ওপর প্রভাব ফেলে।

চুল পুরুষ মানুষের সৌন্দর্যের প্রতীক। এজন্য নিয়মিত শরীরের খোঁজ খবর রাখতে হবে। তা না হলে নিজের অজান্তেই মাথার চুল হারিয়ে যেতে পারে।

4 thoughts on "পুরুষের চুল পড়া বন্ধের ২০ উপায়"

  1. tatabd Contributor says:
    tatabd.com এ টিউনার দরকার চাইলে যে
    কেউ হতে পারেন
  2. Md Khalid Author says:
    sooooob tik ache maga মানসিক চাপ কমানোর জন্যে মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম করতে পারেন। ei 2 ta kaj e SHIROK (kaj ta shirok na but ete jodi addhattik kichur chinta thake,jemon Allah ke pawa jay, mone shanti ashe etc uddesse korle shirok)……………., tai eta kete dile apni beche jaben ekta pap theke because eta ekhon somajer ekta beadhi,apn ba ami keno ta pagol der mone korea deo bolen?

Leave a Reply