এক সময় বাংলা কাপানো
নাম মান্না।যিনি
বাংলার
চলচ্চিত্রে অনেক
পরিবর্তনএনেছিলেন।
নব্বই দশকে অশ্লীল
চলচ্চিত্রনির্মাণের
ধারা শুরু হলে যে কজন
প্রথমেইএর প্রতিবাদ
করেছিলেন,তাদের
মধ্যেনায়ক মান্না
ছিলেন অন্যতম। রীতিমতো
যুদ্ধকরেছেন অশ্লীল
চলচ্চিত্রের
বিরুদ্ধে। এসবচলচ্চিত্রের
নির্মাতাদের
সঙ্গে লড়াই করেশেষ পর্যন্ত
জয়ী
হয়েছিলেন।১৯৬৪ সালে
টাঙ্গাইলের
কালিহাতীতেজন্ম নেন
মান্না। তার আসল নাম
এস এম আসলাম তালুকদার।
উচ্চ
মাধ্যমিকপরীক্ষায়পাস
করার পরই ১৯৮৪ সালে
। তিনি ‘নতুনমুখের
সন্ধানে’র মাধ্যমে
চলচ্চিত্রে আসেন।এরপর
থেকে একের
পর এক চলচ্চিত্রে
অভিনয়করে নিজেকে
সেরা নায়ক
হিসেবেপ্রতিষ্ঠিত করেন।
তিনি
২০০ র বেশিচলচ্চিত্রে
ও ২০০৬ সালে“সেরা
অভিনেতা” হিসেবে
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার
লাভ করেন।দাঙ্গা,
লুটতরাজ, তেজী,
আম্মাজান,আব্বাজান
প্রভৃতি
চলচ্চিত্রে চমৎকারঅভিনয়
এর মাধ্যমে
জনপ্রিয়তার
চূড়াছুঁয়েছিলেন মান্না।
তাঁর
অভিনীতআম্মাজান
চলচ্চিত্রটি
বাংলাদেশের
সর্বাধিক ব্যবসা সফল
ওজনপ্রিয়চলচ্চিত্রগুলোর
মধ্যে অন্যতম।
মান্না শুধু চলচ্চিত্র
অভিনেতাই ছিলেন
না,তাঁর
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান
থেকে যতগুলোছবি
প্রযোজনা করেছেন,
প্রতিটি
ছবিব্যবসাসফল হয়েছিল।
তার
উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো
হচ্ছে লুটতরাজ,
লাল বাদশা,আব্বাজান,
স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ, দুই
বধু একস্বামী, মনের সাথে
যুদ্ধ, মান্না ভাই
ওপিতা মাতার
আমানত,তওবা,পাগলী,কাসেম
মালার
প্রেম,দাঙ্গা,চাঁদাবাজত্রাস
,বাংলার
হিরো,আলিবাবা
বিদ্রোহীসালাহউদ্দীন।
চলচ্চিত্র
জগতে তিনি
পেয়েছেন-১জাতীয়
চলচ্চিত্র পুরস্কার –
সেরাঅভিনেতা (২০০৬)২
মেরিল-প্রথম আলো পরষ্কার
– সেরা
অভিনেতা২০০৮ সালের
১৭ই ফেব্রুয়ারি
হৃদরোগেআক্রান্ত হয়ে
মাত্র ৪৪ বছর
বয়সে মান্নামৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুর পর তার
জানাজাএফ’ডিসিতে হয়।
২য় জানাজা
স্মৃতিষৌধেহওয়ার কথা
ছিল, কিন্তু দর্শক
ভক্তকুলের ভিড়ের কারনে
পুরা ঢাকায়
অত্যন্ত জ্যামথাকায় তাকে
সেখানে নিয়ে
যাওয়াসম্ভব হয়নি। নিজ
গ্রামে তাঁকে
সমাহিতকরা
হয়।মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি
বাংলাদেশচলচ্চিত্র
শিল্পী সমিতির সাধারণ
সম্পাদকছিলেন।
you are miss manna