সৃষ্টিটাই এমন যে পুরুষের চোখে
নারীরা সব সময়েই বেশ আকর্ষণীয়।
বিপরীত লিঙ্গের প্রতি এই আকর্ষণ
স্বাভাবিকই বটে। কিন্তু এই
স্বাভাবিক বিষয়টি খাটে না
কিন্তু ব্যক্তিগত কাজ এবং স্বভাবের
কারণে। একজন মানুষের কাজ, স্বভাব
এবং আচার আচরণ কিন্তু অনেক কিছুই
প্রকাশ করে মানুষটি সম্পর্কে। আর
সে কারণেই মানুষটি আসলে কেমন
তাও জানা যায় তার কাজে।
নারীরা পুরুষের চোখে আকর্ষণীয়
হলেও নারীর কিছু কাজ পুরুষের
চোখে তাকে চরম বিরক্তিকর মানুষ
হিসেবে উপস্থাপন করতে পারে।
স্বভাবগুলি এবার দেখে নেয়া
যাক।
কখন কী বলা উচিত:
সব কথারই একটি সঠিক সময় থাকে।
মনোবিজ্ঞানীরা জানান,
প্রত্যেক পুরুষই চান, যে তার সঙ্গিনী
কোন সময় কী বলা উচিত, সে সম্বন্ধে
ওয়াকিবহাল থাকুন। না হলে, দিনের
পর দিন এরকম চললে, সঙ্গিনীর প্রতি
পুরুষদের বিতৃষ্ণা জন্মায়। যেমন-
ফোনে কথা বলার সময় কিংবা
টিভি দেখার সময় মহিলারা কথা
বললে পুরুষরা খুবই বিরক্ত হয়।
পাশাপাশি অফিস থেকে বাসায়
ফিরতেই স্ত্রীর কোনও নালিশ
শুনতে একেবারেই অপছন্দ করে
পুরুষরা। তাই সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক
মজবুত রাখতে এই স্বভাবগুলি
মহিলাদের পরিবর্তন করা উচিত।
সব কিছুতে বাধা দেয়া:
সব কিছুতেই গার্লফ্রেন্ড বা স্ত্রীর
খবরদারি একেবারেই পছন্দ করে না
কোনও ছেলে। যেমন- আপনার সঙ্গী
হয়তো ভিডিও গেমস খেলতে
ভালোবাসেন, কিংবা
স্মার্টফোনের নিত্যনতুন ফিচার
ব্যবহার করতে পছন্দ করেন বা খেলা

দেখতে ভালোবাসেন। পুরুষদের
পছন্দে মহিলারা যদি খবরদারি বা
বাধা দিতে শুরু করেন, তাহলে মনে
মনে ক্ষুব্ধ হয় পুরুষরা। হয়তো অশান্তি
এড়াতে তখন কিছু বলল না, কিন্তু এর
থেকেই তৈরি হয় তিক্ততা। এমনকি
বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় বার
বার ফোন করে খবর নেয়াকেও খুব
অপছন্দ করে ছেলেরা।
পুরুষদের পার্টনার হওয়া উচিত:
পুরুষরা সব সময়ই মহিলাকে নিজের
মতো করে পেতে চান। এটা ঠিক যে,
সেটা সব সময় সম্ভব নয়। কিন্তু যতটা
সম্ভব বুঝে চলা উচিত। চেষ্টা করুন,
আপনার সঙ্গীর বন্ধু হওয়ার। যাতে
আপনার সঙ্গে সব কিছু শেয়ার করতে
পারেন আপনার স্বামী বা
বয়ফ্রেন্ড।
সব সময় হুল্লোড়:
মহিলারা অনেক সময়ই স্বামী বা
বয়ফ্রেন্ডকে নিজের বন্ধুদের সঙ্গে
জোর করে দেখা করান। পুরুষরা না
চাইলেও, বন্ধুদের বাড়িতে ডেকে
সঙ্গীর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন।
প্রায়ই বাড়িতে পার্টির আয়োজন
করেন। এগুলি পুরুষরা একেবারেই
পছন্দ করেন না। নিজের জগতের
বাইরে গিয়ে হুল্লোড়ে মাততে
পারেন না বহু পুরুষই। সেটা বোঝা
দরকার।
রান্নায় মন জয়:
কথায় বলে, পেটের রাস্তা ধরেই
মনের দরজায় পৌঁছতে হয়। সুখাদ্য মন
ভালো করে দেয়। তাই পুরুষদের মন জয়
করতে মাঝেমধ্যে ভালো
রেসিপির জুড়ি নেই। বেশির ভাগ
পুরুষই খাওয়ার ব্যাপারে সৌখিন
হলেও, খাবার তৈরি করতে গেলেই
গায়ে জ্বর আসে। প্রতিদিন না
হোক, মাঝে মাঝে আপনি যদি
কোনও ভালো রেসিপি রান্না
করেন, তাহলে পুরুষদের মেজাজ
ভালো হয়ে যায়।
শপিংয়ে অ্যালার্জি:
বেশির ভাগ পুরুষেরই শপিংয়ে ঘোর
অনীহা থাকে। অনেকক্ষণ ধরে
বাজারে ঘোরা। একের পর এক
জিনিস কেনা। একই জিনিসের জন্য
গোটা দশেক দোকানে ঘোরা। এই
বিষয়গুলি একেবারেই অপছন্দ
ছেলেদের। পুরুষরা ফল, সবজি
কিনতে বেশি পছন্দ করেন। কারণ
এগুলির জন্য বেশি ঘুরতে হয় না। তাই
শপিং করার সময় পুরুষদের জোর করে
না নিয়ে যাওয়াই ভালো।
আমাকে কেমন দেখাচ্ছে:
সহজ ও অতিসাধারণ প্রশ্ন। কিন্তু
পুরুষদের জন্য বিরক্তিকর। কিন্তু
মহিলারা যাতে মন খারাপ না
করেন, তাই অনেক সময়ই মিথ্যে বলে
এড়িয়ে যান বহু ছেলে। তাছাড়া
রোজই একই প্রশ্নের উত্তর দিতেও
বীতশ্রদ্ধ হয়ে যায় বহু পুরুষ। তাই এই
বিষয়টিতে সব সময় আবেগ দিয়ে না
ভেবে, মহিলারা যদি একটু বুদ্ধি
দিয়ে ভাবেন, তাহলে ‘আমাকে
কেমন লাগছে’ প্রশ্নটি করা বন্ধ করুন
মহিলারা।
সব কিছুতেই ফোন:
অনেক মহিলা কারণে-অকারণে
ফোন করেন। এই অভ্যাসটি অবিলম্বে
ত্যাগ করা উচিত। দিনের সব সময়
স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ডের ফোন
পুরুষদের কাছে বিরক্তিকর। অনেক
মহিলার কাছে হয়তো বিষয়টির
সঙ্গে তীব্র ভালোবাসা জড়িয়ে
থাকে, কিন্তু মনে রাখতে হবে,
ভালোবাসার অত্যাচারও খুব কষ্টকর।

ভাইয়া দয়াকরে গরীব এর সাইট থেকে যদি একটু ঘুরে আসতেন অনেক খুশি হতাম প্লিজ আসবেন > PostMaza.Com <<

Leave a Reply