ডেভিড ওয়ার্নার ও যুবরাজ সিংয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের ধারায় ফিরেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রোববার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মাঠে স্বাগতিকদেরকে ৭ উইকেটে হারিয়েছেন মুস্তাফিজরা। সেই সঙ্গে প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ ম্যাচ অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলেছেন তারা।

এদিন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান হাশিম আমলার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান সংগ্রহ করেছিল টসজয়ী পাঞ্জাব। কিন্তু ওয়ার্নারের পর শেষ দিকে যুবরাজের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেট হারিয়ে ২ বল হাতে থাকতে ১৮০ রান করে হায়দরাবাদ।

এই ম্যাচে জয়ের ফলে আইপিএল-এ পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান মজবুত করল হায়দরাবাদ। ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা। কলকাতা ও গুজরাট সমান ১৪ পয়েন্ট করে নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে ১২ পয়েন্ট করে অর্জন করা দিল্লি ও মুম্বাই। গ্রুপ পর্বে একেকটি দল ১৪টি করে ম্যাচ খেলবে। ফলে কঠিন সমীকরণ থাকলেও সানরাইজার্স প্লে-অফ অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলেছে।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন ওয়ার্নার ও ধাওয়ান। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৮ রান সংগ্রহ করেন তারা। ধাওয়ান ২৫ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়েন। তবে ওয়ার্নার হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। কিন্তু দলীয় স্কোর শতরানের পৌঁছানোর আগে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৪১ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৫১ রান করেন তিনি।

শেষের দিকে ২৪ বলে অপরাজিত ৪২ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন যুবরাজ সিং। তার সঙ্গে ১১ বলে ১৮ রান নিয়ে খেলা শেষ করেন কাটিং। আর ওয়ানডাউনে মাঠে নামা দীপক হুদা ২২ বলে ৩৪ রান করে আউট হয়েছেন।

এর আগে টসে হেরে শুরুতে বল করতে নেমেছে মুস্তাফিজের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বল হাতে শুরুটা ভালো করতে পারেননি ভুবনেশ্বর কুমার ও আশিষ নেহরা। তাদেরকে বেধড়ক পিটিয়েছেন হাশিম আমলা। ভুবি নিজের দ্বিতীয় ওভারে ঘুরে দাঁড়ালেও নেহরা প্রথম দুই ওভারে দিয়েছেন ২৩ রান।

ডেভিড ওয়ার্নার তাই এদিন পাওয়ার প্লের পঞ্চম ওভারেই মুস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন। দ্বিতীয় বলেই অধিনায়কের মান রাখলেন তিনি। প্রথম বলে কোনো রান নিতে পারেননি ব্যাটসম্যান মুরালি বিজয়। দ্বিতীয় বল তিনি বুঝে ওঠার আগেই সহজ ক্যাচ তুলে দেন। ওয়ার্নার সেটি তালুবন্দী করেন। শেষ পর্যন্ত নিজের প্রথম ওভারে ৪ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেন সাতক্ষীরা সায়ানাইড।

দ্বিতীয় ওভারেও ভালোই বল করেছিলেন। কোনো উইকেট না পেলেও মাত্র ৬ রান দিয়েছিলেন তিনি। ডেথ ওভারের বিশেষজ্ঞের তকমা পাওয়া এই কাটার মাস্টার এদিন আমলার কাছে পরাস্ত হলেন। তার তৃতীয় ওভারে আমলা তিনটি চার মারেন। ফলে এই ওভারেই মুস্তাফিজ দেন মোট ১৪ রান।

ইনিংস শেষ হওয়ার আগের ওভারে শেষবারের মতো বল করতে আসেন মুস্তাফিজ। এবার দেন ৮ রান। ফলে ৪ ওভারে মটো ৩২ রান দিয়ে ১ উইকেট পান তিনি। আর উইকেট না পেলেও একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন কাটার মাস্টার। টি২০ ক্যারিয়ারে মোট ৫০ উইকেট শিকার করলেন তিনি।

আমলা শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যান। কিন্তু চার রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো তাকে। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ভুবনেশ্বরের শিকারে পরিণত হন তিনি। ওয়ার্নারের তালুবন্দী হওয়ার আগে ৫৬ বলে ১৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৯৬ রান করেন তিনি। এতে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান দক্ষিণ আফ্রিকান।

এছাড়া পাঞ্জাবের ঋদ্ধিমান সাহা ২৩ বলে ২৭, গুরকিরাত সিং ২০ বলে ২৭ ও ডেভিড মিলার ৯ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন।

মুস্তাফিজের মতো ভুবনেশ্বরও ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে এক উইকেট পান। তাদের দু’জনের চেয়ে শুধু কম রান তেন করণ শর্মা। ৪ ওভারে কোনো উইকেট না পেলেও ২৬ রান দেন তিনি।
___________________________________________________________
ভাল ভাল টিপস পেতে আমার সাইটে ঘুরে আসবেন TipsaLL24.com

Leave a Reply