আইএস গুলশান এটাকের আগে টুইট করেছিল ঢাকায়
ডিপ্লোম্যাটিক এরিয়াতে এটাক করবে।তখন সেটা
আমলে নেওয়া হয়নি।
এবার তারা টুইট করেছে যমুনা ফিউচার পার্ক ২০ জুলাই
এটাক করবে।মজার ব্যাপার হল ওইদিন যমুনা ফিউচার
পার্ক অফ থাকে।
সো?
এবার একটু পিছিয়ে আসি।মুম্বাই হামলার আগে জংগীরা
টুইট করেছিল তারা দিল্লী আক্রমণ করবে।আল্টিমেটলি
গোল খাইয়ে তারা মুম্বাই এটাক করে।
তার মানে এবার যমুনা বলে তারা শপিং মলটাই হয়তো
বুঝালো।তাই ২০ জুলাই যেকোন শপিং মলে সাবধানে
যাবেন।আরেকটা গুলশান কান্ড চাই না আমরা।
দেশটা আমাদের,বেচে থাকার উপায়টাও আমাদের
দেখতে হবে।আশাকরি নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়বে।তবু
সুইসাইড স্কোয়াড থেকে বাচতে আমাদেরও সচেতন হতে
হবে।কোথাও কিছু সন্দেহজনক মনে হলে নিকটস্থ থানায়
জানাবেন।মনে রাখবেন এসব জম্বিরা আমাদের পাশের
মানুষই।
স্টে সেইফ।
রাষ্ট্র ও জনগনের জন্য হুমকি স্বরূপ
terrorism বিষয়ে যে কোন ধরণের সন্দেহজনক ও
উস্কানিমূলক অনলাইন কর্মকাণ্ড, Social media তে কোন
সন্দেহজনক পোস্ট, আইডি ,লিঙ্ক বা cyber terrorism
কোন information থাকলে সাথে সাথে e-mail করুন –
[email protected] এই ঠিকানায়
(সবাইকে এটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করা হল)
উপরের ঘোষণাটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের। কি কি
জিনিস ইমেইল করবেন আরেকটু ডিটেইলস বলিঃ
এক) জঙ্গী ভাবাদর্শ প্রচার করে এমন একাউন্ট লিঙ্ক।
দুই) কমেন্টে জঙ্গী ভাবাদর্শ সমর্থন করে এমন লোকদের
একাউন্ট লিঙ্ক।
তিন) এরকম কারো সাথে ইনবক্সে চ্যাট হয়ে থাকলে সেই
চ্যাটলগ।
চার) জঙ্গী মতাদর্শ প্রচার করে এমন যে কোন ব্লগ সাইট,
পেইজ।
পাঁচ) জঙ্গী মতাদর্শের একাউন্ট/স্ট্যাটাস শেয়ার করে
এমন একাউন্ট।
ছয়) আপনার বাসার ছাদে, বেজমেন্টে ধর্মশিক্ষার নামে
উগ্রবাদ প্রচার করে এরকম সন্দেহভাজন লোকজনের
বিস্তারিত তথ্য।
সাত) এই মর্মান্তিক আক্রমণকে প্রকাশ্যে/অপ্রকাশ্যে
সমর্থন করে এমন লোকজনের তথ্য ( প্রমাণ সহ)
আট) জঙ্গী মতাদর্শের প্রোফাইল মুছে ফেলার আগেই
সেটির লিঙ্ক, স্ক্রিনশট ইত্যাদি।
নয়) জঙ্গী লিফলেট, পোস্টার বিতরণ করার সময় দেখলে
এদের পরিচয়।
দশ) মসজিদে নিরীহ মানুষ হত্যার সপক্ষে ওকালতি করা
জঙ্গী মতাদর্শী মানুষের নাম ও পরিচয় ( রেকর্ডিং সহ)।
এগার) স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসের ভেতরে
জঙ্গী মতাদর্শ প্রচার করা শিক্ষকদের বিস্তারিত তথ্য
আপনাদের পাঠানো তথ্য যাচাই বাছাই করা হবে এবং
আপনাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। কোন অবস্থাতেই
শত্রুতাবশতঃ কারো বিরূদ্ধে তথ্য দেবেন না, তাহলে
আপনার বিরূদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শান্তিপ্রিয়, ধর্মপ্রাণ মানুষ মানেই জঙ্গী না, তবে
সরাসরি বা ইনিয়ে বিনিয়ে নিরীহ মানুষ মারা সমর্থন
করা মানুষগুলো অতি অবশ্যই জঙ্গী সমর্থক। এদের তথ্যও
প্রদান করুন।
এই দেশটাকে এই ইবলিশের দল জাহান্নাম বানাতে চায়,
এই আপনার সুযোগ এদেরকে ধরিয়ে বিচারের মুখোমুখি
করার।
জঙ্গী আপনার আপন ভাই হলেও ধরিয়ে দিন- যাতে সে বড়
ধরণের ভুল করার আগেই শুধরাতে পারে।
ধন্যবাদ।
ইমেইল পাঠানোর ঠিকানাঃ
[email protected]
8 thoughts on "______জনস্বার্থে_একটি_সতর্কবার্তা______"