স্মার্ট কথাটির বাংলা প্রতিশব্দ আমরা অনেকেই জানিনা !
স্মার্ট বলতে আমরা সাধারণত এমন কাউকে বোঝায়,
জীবনের সর্বক্ষেত্রে যথাযথ ভারসাম্য রক্ষা
করে যে চলতে পারে।
এখন আমরা জানব স্মার্ট হতে হলে যে ১০ টি কাজ কখনওই করবেন না
১। অতীতকে বর্তমানের চেয়ে
বেশি প্রাধান্য কখনও দেবেন না:
অতীত সেটাই যা চলে গিয়েছে। সে নিয়ে
ভেবে আপনার বর্তমান জীবনকে
ভারাক্রান্ত করার কোনও মানে হয় না।
অতীতকে একটা বিগত বিষয় বলে ভেবে
হালকাভাবে নিতে শিখুন।
২। নেতিবাদী চিন্তাকে কখনও
গুরুত্ব দেবেন না:
যে স্বপ্ন আপনি দেখতে পারেন তাকে সফল
করার ক্ষমতাও আপনার রয়েছে এমনভাবেই
ভাবুন। কখনও নিজের সীমাবদ্ধতাগুলোকে বড়
করে দেখবেন না।
৩। জীবনের সমস্যাগুলোকে
এড়িয়ে যাবেন না:
সমস্যা প্রত্যেকের জীবনে রয়েছে। আপনি
যদি সত্যিই স্মার্ট হতে চান তাহলে
সমস্যাগুলোকে এড়িয়ে যাবেন না। বরং
সমস্যার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ঠাণ্ডা মাথায়
তার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করুন।
৪। অন্যরা আপনার সম্পর্কে কী
ভাবছে তা নিয়ে মাথা ঘামাবেন
না:
আপনার সমস্যা আপনাকেই সমাধান করতে
হবে। আপনার সাফল্য বা ব্যর্থতার ভার
আপনাকেই বহন করতে হবে। তাহলে খামোখা
অন্যরা আপনার সম্পর্কে কী ভাবছে, তা
নিয়ে আপনি বিচলিত হতে যাবেন কেন!
৫। ৫. সময় নষ্ট করবেন না:
স্মার্ট হতে চাইলে সময়ের কাজ সময়ে করুন।
পাশাপাশি কর্মবহুল জীবনযাপনের অভ্যাস
গড়ে তুলুন। অবসরটাকেও কাজে লাগান। নিছক
শুয়ে-বসে না থেকে অবসর সময় এমন কোনও
কাজ করুন যার দ্বারা আপনি উপকৃত হবেন।
৬। তাৎক্ষণিক সাফল্যকে বেশি
গুরুত্ব দেবেন না:
আমরা যে সময় ও সমাজে বাস করি সেখানে
অবশ্য হাতে হাতে সাফল্যকেই বেশি বড় করে
দেখা হয়। কিন্তু আপনাকে এই প্রবণতার
বাইরে বেরোতে হবে। সবসময় ভাবুন যে,
আপনার কাজের বৃহত্তর একটা লক্ষ্য রয়েছে।
সেদিকে নজর রেখে এগোন। ছোট ছোট
সাফল্য বা ব্যর্থতাগুলো সেক্ষেত্রে মূল্যহীন
হয়ে যাবে।
৭। যে বিষয়গুলি আপনার হাতের
বাইরে সেগুলো নিয়ে বেশি
ভাববেন না:
পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র কেমন হবে সে নিয়ে
ভেবে লাভ আছে কি কিছু? বরং আপনি ভাবুন
আপনার প্রস্তুতি নিয়ে। কারণ সেটা আপনার
নিয়ন্ত্রণাধীন বিষয়।
৮। এমন মানুষের সঙ্গে বেশি সময়
কাটাবেন না যারা আপনাকে
সম্মান করেন না:
আঘাত হানে। যারা আপনার
অক্ষমতাগুলোকে বড় করে দেখে বা
হাসিমস্করা করে আপনাকে নিয়ে তাদের
নির্দ্বিধায় এড়িয়ে চলুন।
৯। অহঙ্কার করবেন না:
অহঙ্কার এমন একটা বিষয় যা অন্য মানুষদের
থেকে আপনার দূরত্ব বাড়িয়ে দেয়। অথচ
ভেবে দেখুন, অন্য মানুষের সাহায্য ছাড়া
একা একা আপনার পক্ষে জীবনের পথে চলাও
তো সম্ভব নয়। কাজেই অহঙ্কার ত্যাগ করে
বিনয়ী হতে শিখুন।
১০। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে
ভুলবেন না:
যাঁরা আপনাকে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য
করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
করতে কুণ্ঠিত হবেন না, অন্তর থেকে ধন্যবাদ
জানান তাঁদের। এতে শুধু তাঁরা খুশি হবেন তা
নয়, দেখবেন, আপনারও ভাল লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। R সব সময়ই ট্রিকবিডির সঙ্গে থাকবেন।
ফেসবুকে আমি