কিভাবে প্রেম করবেন? কেন প্রেম
করবেন ?
মানুষের জীবনে প্রেমের অবদান
কতখানি তা বলে দেয়া মুশকিল।
তবে এটা বলা যায় কেউ তার জীবন
চিন্তা করতে পারেন না প্রেম
ছাড়া। প্রেমের বিস্তর উদাহরণ
আছে, লাইলি মজনু, শিরি ফরহাদ
এসব আদি যুগের প্রেম। কয়েকযুগ
আগের প্রেম বলতে চিঠি পত্র
কিংবা সিনেমায় দেখা কালজয়ী
প্রেম বেঁদের মেয়ে জ্যোৎস্না
এসব। আরো কিছু আছে যা এই
মুহুর্তে মনে পড়ছে না।তবে
“কিভাবে প্রেম করবেন” তা নিয়ে
আগ্রহ জন্মাতে পারে যে কোন
সময়েই।
চলে আসি আধুনিক যুগের এই ২০১৫
সালের প্রেম পরিস্থিতিতে।
পুরনো দিনের ভাল মন্দ আজ আবার
নতুন দিনে ঠিক কী রূপ নিয়েছে
তা জানা আছে সকলের-ই। তবু আজ
প্রেম যে কেমন অস্বাভাবিক রূপ
পেয়েছে তা বিজ্ঞরাই ভাল বলতে
পারেন। আমি শুধু বলতে পারি
স্বাভাবিক ভাবে একজন তরুণ একজন
তরুণীর সাথে কিভাবে প্রেম
করবেন – এই বিষয়ে।
কিভাবে প্রেম করবেন?
প্রেম এমন এক বিশাল
ব্যপার যেটা
টেকনোলজি দিয়ে করে
ফেলা যায় না। কোন
দিন কোন একটি
টেকনিক কাজ করলেও
অন্যদিন তা নাও করতে
পারে। তবে ভাল
প্ল্যান আর পরিশ্রম
করলে এই বিষয়ে
কিছুটা সহজ হয়।
প্রেম কি করতেই হবে?
এই প্রশ্ন জরুরী। আপনি প্রেম কেন
করবেন? প্রেম না করে আপনার
চলে কি না সেটা দেখতে হবে।
যদি ব্যক্তি জীবনে প্রচণ্ড অস্থির
লাগে তবে প্রেম করাই ভাল,
কিছু কাজে সময় ব্যয় করতে চান,
তবে ওসবে গা না ভাসালেও
চলবে। তবে প্রেম করে লাভ যেমন
ক্ষতিও তেমনি। বুঝে শুনে প্রেম
করুন । ক্ষতির দিকটা ভাবুন।
ভেবে বের করুন আপনার ভাল
লাগে কাকে?
প্রেম করার জন্য ভাল লাগাটা
জরুরী। কাকে ভাল লাগে? সে কে?
যে কোন মানুষের আশে পাশে
অনেক মানুষ থাকে। আত্মীয় বন্ধু
বান্ধব এছাড়াও কলেজে জুনিয়র
সিনিয়র কত মানুষ। এর মধ্যে কে
একজন অবশ্যই আছে যাকে অন্য
সবার কাছ থেকে ভিন্ন মনে হয়।
খুঁজে বের করতে হবে কে সে? যদি
এমন হয় যে যাকে ভাল লাগছে সে
আরো একজনের সাথে প্রেম করেই
যাচ্ছে তাহলে এখানেই শেষ করে
ফেলা উচিত।
পছন্দের কারন বের করুন-
যার সাথে প্রেম করবেন বলে ঠিক
করে ফেলেছেন তাকে কেন আপনি
পছন্দ করলেন তার কারন বের করুন।
সে কেন আপনাকে এত আকর্ষন
করে? শারীরিক কাঠামো কিংবা
সৌন্দর্য? যদি শুধু তাই হয় তবে
আরেকবার ভাবুন এই প্রেমের
বাস্তবিকতা পুর্ন হবে কিনা। সে
কি জীবনে খাপ খেয়ে যাবে না
কি আরো বেশি যন্ত্রণাদায়ক
হবে।
তাকে ফলো করুন –
একজন মানুষকে জানার জন্য তার
সাথে কিছু সময় দিতে হয়। যদি
বোঝা যায় সে আপনাকে নয় অন্য
কোন কারণে খুব বেশি ব্যস্ত তবে
সিদ্ধান্ত বদলে ফেলুন। প্রেম
করবেন আর এই সুবিধাটা নিবেন
না? তাই খুব চিন্তা ভাবনা করে
বের করুন কিভাবে আপনি তার
সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন। না
জানলে পরে পস্তাবেন।
রেস্পেক্ট –
প্রেমের জন্য নয় জীবনের জন্যই
যদি কোন বন্ধুও দরকার হয় তবে মনে
রাখবেন যার সাথে সম্পর্ক হচ্ছে
সে আপনাকে রেস্পেক্ট করে কি
না। কিভাবে প্রেম করবেন তা
কিভাবে বুঝবেন তিনি আপনাকে
রেস্পেক্ট করে কি-না ।
প্রস্তাবনা
প্রেম করার ক্ষেত্রে কাউকে না
কাউকে আগে এগিয়ে আসতে হয়।
দুজনেই যদি লজ্জা পেয়ে বসে
থাকেন তবে কোন দিন প্রেম হবেই
না। কেউ কেউ মনে করেন মেয়েরা
প্রস্তাব দিলে জাত যায়। আজকাল
অনেকই জাত পাত সবই হারাচ্ছেন
অযথাই। তাই মেয়েরা কিছুটা
টেকনিক অনুসরণ করে ছেলেদের
দিয়েই প্রস্তাব করাতে পারেন।
এক্ষেত্রে বেশি বেশি বন্ধুত্বপুর্ন
আচরণ কিংবা হেল্প কিংবা
ব্যক্তিগত বিষয়ে জানাশোনা।
এসব কিছুই হতে পারে হাত্যার।
তবে সাবধান। কখনো ছেলেদের
কঠিন চরম দাবি মানতে যাবেন
না। সতর্ক থাকুন এটা ২০১৫ সালে
কেউ অত বোকা নেই।
ছেলেরা অবশ্যই মেয়েদের আগে
থেকে প্রস্তাব দিতে পারেন।
কিন্তু মাথায় রাখবেন আজকাল
অনেক মেয়েই আন্ডারগ্রাউন্ড
কর্মী। তাই যত পারেন বাজিয়ে
নিন। প্রেম করুন কিন্তু না জেনে
একটুও এগোবেন না। আজকাল অনেক
ঘটনাই ঘটে যাচ্ছে টাকা আত্মসাৎ
সহ অনেক কিছু।
আজকাল বেশিরভাগ দেখা যায়
পরকীয়া হচ্ছে। ব্যপারটা খুব
বাড়াবাড়ি পর্যায়ের দিকে
এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বাস আর
মূল্যবোধ কিছুই থাকছে না। তাই
এই বিষয়ে আরো সতর্ক থাকা
জরুরী।
সোহাগ —— আল্লাহ বানাইছেন ঠিক আছে যেমন একটা কোম্পানী আপনাকে তার অফিসের কাজে নিয়োগ দিলো, আপনি কাজ করলেন অন্য কোম্পানীর। এখন আগের কোম্পানীর এক সহকর্মী আপনাকে জিজ্ঞাসা করলো – আপনাকে নিয়োগ দিছে কে? আপ্নি বললেন – যে নিয়োগ দিতে পারে সে। বিষোয় হলো আল্লাহ আওনাকে অথর করার সুযোগ দিয়েছে একথা যেমন ঠিক ১০০%, রেমনি তার সেই আমানত আপনি রাখতে পেরেছেন কুতটুকু, কি প্রচার করা উচিত ছিলো আর কি করলেন তা ভাবুন। না বুঝলে আমাকে বলুন আমি আল্লাহ কথা সম্বলীত বই থেকে আপনাকে জানাবো।
সোহাগ
Life Style আছে জন্য কী সব life Style আপনাক শিখাইতে হবে।
বলা যায় না, Next দিন হয়তো D*gy Style, Cre*mpie নিয়ে পোষ্ট করে বলবেন তাইলে Life Style কেন রাখছে। যত্তসব।