লেখার শুরুতেই একটা গল্প বলি,
একটা ওয়াইফ তার হাজব্যান্ডকে বললো “তুমি আমাকে কতোটা ভালোবাসো তার একটা প্রমাণ দাও” ছেলেটি তো মহাচিন্তাতে পড়ে গেল যে কি প্রমান দেওয়া যায়??!!
সারাদিন চিন্তাতে চিন্তাতে অফিস থেকে ফেরার পথে এক স্টিক রজীনগন্ধা এনে উপহার দিয়ে বললো “এতোটা ভালোবাসি” আর ওয়াইফ মুখ ভার করে বললো “কাল সকালেই এই ফুল তার সুবাস হারাবে তখন তো ভালোবাসাও হারাবে!”
এরপরের দিন হাজব্যান্ড দুপুরে তাকে লাঞ্চ করাতে শেরাটনে নিয়ে গেলে ওয়াইফ বললো “এই খাবার তো রাতেই পেট থেকে হজম হয়ে যাবে তখন আবার খিদে লাগবে, ভালোবাসাও তো এমনি করে একটি সময় পর ফুরিয়ে যাবে”!
এরপর হাজব্যান্ড একে একে তাকে রক্ত দিয়ে লেখা লাভ উইশ লেটার, নেকলেস, আইফোন, নিজের সকল সম্পত্তি উইল করে দিলেও ওয়াইফ তাতে অজুহাত খুজে বের করলো। এরপর একদিন হাজব্যান্ড তাকে নিজের বুক চিড়ে কলিজা বের করে দিয়ে বললো এতোটা ভালোবাসি তোমাকে…..এরপর মারা গেল।
ওয়াইফ কলিজাটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে বললো “একটু পরই তো এটা পচে দূর্গন্ধ বের হবে, ভালোবাসা কি আসলে এমনি পচা?”
হ্যা….আপনি যদি বিলিভ না করেন তবে দুনিয়াতে টেলিকাইনোসিস কেন আবেগ,অনুভূতি,ভালোবাসাও নেই; উইথ আউট বিলিফ দিস ওয়ার্ল্ড ইজ নাথিং লাইক এ বিগ জিরো!
টেলিকাইনোসিস কি?
প্রথাগত সংজ্ঞা মতে টেলিকাইনোসিস হলো মনের শক্তি দিয়ে কোন বস্তুকে(পার্টিকেল) স্পর্শ না করেই এক জায়গা হতে আরেক জায়গায় স্থানান্তর বা মুভ করানো অর্থাৎ মনের শক্তি দিয়ে বস্তুর ওপর প্রভাব বিস্তার করা। এখন এই বস্তু তথা পার্টিকেল যদি মানুষ হয় তবে তাকে স্পর্শ না করেই যদি উপর থেকে তুলে ধরে আছাড় মারা যায় তাহলেও এটা কিন্তু টেলিকাইনোসিস এর ভেতরেই পড়বে, কিন্তু তাকে এমন আছাড় না মেরে যদি তাকে নিজ নিজ সুইসাইড করতে প্ররোচিত করা হয় শুধুমাত্র মনের শক্তি দিয়ে তাহলে সেটা হবে হিপ্নোসিস; টেলিকাইনোসিস আর হিপ্নোসিস এর মাঝে এমনই ওতপ্রোত সম্পর্ক যা আমি টেলিকাইনোসিস বিষয়ক ১ম পোস্টে বিস্তারিত বোঝানোর চেষ্টা করেছি (প্রসঙ্গত উল্লেখ্য টেলিকাইনোসিস এর চেয়ে হিপ্নোসিস অনেক বেশী প্রচলিত ও সহজতর বিদ্যা এবং হিপ্নোসিসের বাস্তব প্রয়োগ অনেক বেশী পরিলক্ষিত হয়)।
টেলিকাইনোসিস এর বাস্তব উদাহরন:
আপনি ইউটিউবে টেলিকাইনোসিস লিখে সার্চ করুন তাহলে শত শত ভিডিও পাবেন যেখানে দেখা যাবে একটা মানুষ কতে সহজে টেলিকাইনোসিস প্র্যাকটিস করছে অথচ সেগুলির মাধ্যে প্রায় সবগুলোই থাকে মিথ্যা-কারসাজী যা ভিউ বাড়ানোর জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত আপলোড করা হয়।
আচ্ছা আপনি কখনো লুডু খেলেছেন তা তাস খেলেছেন? প্রায় প্রতিটি লুডু বা তাসের আসরে এমন ২/১ জন পাওয়া যায় যাদের লুডুর গুটিতে ছক্কা খুব বেশী পড়ে কিংবা বেশী বেশী রং কার্ড (কলব্রীজ খেলা বিবেচনা করলাম) আসে…এটাই কিন্তু অবচেতন টেলিকাইনোসিস যা আমরা নিয়ত চোখের সামনে দেখেও সচরাচর বিধায় এড়িয়ে যায়।
এমনকি অনেক গাধা টাইপের স্টুডেন্টরা পরীক্ষার হলে অবজেক্টিভ (যেটাকে টিক বলা হতো) কিছু না জেনেও আন্দাজে মন যেটা চায় সেটা দিয়েও সঠিক এ্যানসারে লেগে যায় (এমন উদাহরণ আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে আর আপনার ক্লাসে খুজলেই পাবেন) এটাও এক প্রকার টেলিকাইনোসিস।
আসলে এমন ছোট ছোট টেলিকাইনোসিস পাওয়ার আমাদের সবার ভেতরেই কমবেশী আছে; টেলিকাইনোসিস মানেই যে আপনার মনের শক্তিতে আকাশের প্লেইন মাটিতে নামিয়ে এমনটি নয়!
টেলিকাইনোসিস এর গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা
সবার প্রথমেই বলে নিই যে টেলিকাইনোসিস’কে এখনো সায়েন্স পূর্ন অনুমোদন দোয়নি (যদিওবা টেলিকাইনোসিস নিয়ে প্যারাসাইকোলজি অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে) তাই টেলিকাইনোসিস নিয়ে যতোই মিষ্টি মধুর ব্যাখ্যা দিইনা কেন সেটা আপনার সন্দেহপ্রবন সহজাত মনে সত্য মিথ্যার বিচারে কখনোই জিততে পারবে না….এটাই স্বাভাবিক!
আপনি একটা পদার্থ ভাঙ্গতে থাকুন এভাবে পদার্থ> অনু > পরমাণু > ইলেক্ট্রোন, প্রোটন, নিউট্রন > ফোটন।
কিন্তু ফোটনকে ভাঙ্গলে কি পাবেন? ফোটন হলো শক্তির আধার একক যেটা শক্তির প্যাকেট বা প্যাকেজ আকারে বিদ্যমান। এখন কোন বস্তু যেমন এই ফোটন দিয়ে গঠিত তেমনি আপনার শরীরও এই ফোটন দিয়ে গঠিত আর সেই শক্তিকে একটি অবস্থায় ক্রিয়াশীল করার মতোন মানসিকতা হলো টেলিকাইনোসিস ( জেনে রাখুন পদার্থ তথা অণু বা পরমাণু স্বাভাবিক অবস্থাতে স্বাধীনভাবে এরা প্রত্যকেই চার্জ শূন্য তথা নিউট্রাল কিন্তু আদতে একটু সূক্ষ চিন্তা করলে দেখা যায় যে পৃথিবীর কোন কিছুই ১০০% নিউট্রাল হয় না। যেমন পারমানবিক দিক থেকে চিন্তা করলে একটা পরমাণু সাম্যকভাবে চার্জ শূন্য হলেও তাতে কিছুটা + বা – চার্জ তাদের ধাতব ধর্ম থেকে থাকে যেমন সোডিয়াম পরমানুতে থাকে তীব্র পজেটিভ ধর্ম এবং ক্লোরিন পরমাণুতে থাকে তীব্র নেগেটিভ ধর্ম যা তাদের ইলেকট্রোন বিন্যাস থেকে ব্যখ্যা করা যায়। এখানে এই দুইটা পরমানুর এমন বিপরীত ও সমান ধাতব্য ধর্মের জন্যই তারা একসাথে মিলে আয়োনিক বন্ডের দ্বারা সোডিয়ান ক্লোরাইড তৈরী অণু তৈরী করে।
এখন অণু হবার পরও যে তারা পুরোপুরি ১০০% শক্তিশূন্য হয় এমনটা নয় বরং তারা তাদের মাঝে থাকা এই সামান্যতম চার্জ নিঃশেষ করতে পরস্পর যুক্ত হয়ে মলিকুলার বন্ড তৈরী করে যেমন পানির অণু তাদের পোলারিটির জন্য পরস্পর যুক্ত হয়। এখন এমন অনুতে অনুতে বন্ধন তৈরি করার পরও তারা যে ১০০% নিউট্রাল এমন নয় বরং পানির প্রতি লবণের আকর্ষন কিংবা ইমবাইবিশন রসায়ন আর সাইকোলজির মাঝেও একটা সেতুবন্ধন তৈরী করে দিতে সক্ষম যেখানে এটা মেনে নিতে বাধ্য যে পৃথিবীর কোন কিছুই শতভাগ নিউট্রাল নয় বরং শক্তির সামান্যতম নিঃস্বরণ বা উদগীরণ প্রত্যেকটা বস্তু হতেই বের হয় যেটা ফিল করার মতোন ফিলিংস আর কাজে খাটানোর মতোন এবিলিটি থাকাটাই আসল কথা)!
লেজার বীম থিওরি হতেও এই টেলিকাইনোসিস এর ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
আপনি কখনো টর্চলাইট দেখেছেন? একটা সাধারণ টর্চ লাইটের আলো কিছুদূর পৌছানোর পর বিক্ষিপ্ত হয়ে যায় অর্থাৎ লাইটের ফোকাস ক্ষমতা কম থাকে (যেটার সাথে টর্চের বাল্বের সম্পর্ক নেই বরং রিফলেকটর মিরর এর জন্য দায়ী) অপরদিকে একটা লেজার লাইটের আলো বহুদূর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে (লেজার লাইটের সকল আলেক রশ্মি একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে ফেকাস করা হয় তাই এমনটা হয়)।
একইরূপ আপনার সকল ইচ্ছাশক্তি বা মনের শক্তি যদি একটি নির্দিষ্ট বস্তুর ওপর নিক্ষেপ করা হয় তবে সেটি আপনার দেওয়া কমান্ড মতোই চলবে।
এখন এটা একটা বিরাট প্রশ্ন যে আলোকশক্তি আর মনের শক্তি কি এক নাকি?
এটার ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবো না (কেননা ফোটন যে শক্তির প্যাকেজ এটা তো স্বীকার্য তবে মনের শক্তি যে আদতেই এমন এক প্রকার এনার্জি কিংবা সেটা আদতেই কি এমন ফোটনের মতোন প্যাকেট/প্যাকেজ আকারে থাকে কিনা সেটার থিসিস আমি দিতে ব্যর্থ… আমি সরি)।
আমি হয়তো থিসিস দিতে পারছি কিন্তু আপনাকে প্রমান বা কিছু দৃষ্টান্ত দিয়ে এই বিষয়টারর সত্যতা দেখিয়ে দিচ্ছি……..সো লেটস গো!
আমি কোন একসময় ইউটিউবে দেখেছিলাম একজন মানুষ প্লেইন ক্রাশ হওয়ার পর যাত্রীদের বাঁচাতে নিজে এক হাতে গোটা প্লেইনের ব্রোকেন বডি উচু করে তাদের জীবন বাঁচিয়েছিলো(আমি দুঃখিত যে রেফারেন্স হিসেবে লিংকটি অনেক খুজেও দিতে পারিনি) এখানে কাজ করেছিলো তার মনের ভেতরে থাকা ইমোশন আর জিদ।
আচ্ছা মনে করুন আপনার সন্তান তিনতলা বাড়ির ছাদে খেলা করতে করতে দূর্ঘটনাবশত কার্নিশের সাথে ঝুলে আছে তাহলে আপনি কি করবেন? নিশ্চিত তখন আপনিও সাহসিকতার সাথে যেভাবেই হউক আপনার সন্তানকে বাঁচাবেন বা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন তাতে তখন আপনি একহাতে এতোটাও শক্তি পেয়ে যেতে পারেন যে তাতে আপনার সন্তান’কে টেনে তুলতে পারছেন…. এখানে আপনার মাসলের শক্তিতে বিবর্ধিত করতে আপনার মনের শক্তিই প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে; এমন শত শত রিয়েল লাইফ সুপার হিউম্যানের শক্তির পেছনে আসল রহস্য কিন্তু শুধুই মনের শক্তি!
আপনিও শিখুন টেলিকাইনোসিস, হয়ে উঠুন সুপার হিউম্যান!
আচ্ছা এবার সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং একটা প্রশ্ন হলো যে আপনি কি টেলিকাইনোসিস শিখতে পারবেন? আমি আবারো বলছি যে সবার মাঝেই কমবেশি এমন টেলিকাইনোসিস ক্ষমতা আছে, কেউবা সেটা অনুধাবন করতে পারেন আর কেউবা সেটা অনুধাবন করতে পারেন না, এইটাই হলো তফাত।
টেলিকাইনোসিস শেখার ৩টি স্টেপ আছে আগে সেগুলি ফলোআপ করার চেষ্টা করুন….
(১) ফ্রেশ বেইন (২) কনসানট্রেশন (৩) ফোকাস
সবার শুরুতেই আপনার ব্রেইনটাকে ফ্রেশ করতে হবে অর্থাৎ নিজের মস্তিষ্ক’কে নিশ্চল নির্ভার করে দিতে হবে, কোন বাহ্যিক চিন্তা থাকতে পারবে না। এই যে আমরা অনেকেই নামাযে দাড়িয়ে যতোই চিন্তা করি যে মাথাতে অন্য চিন্তা ঢুকাবো না ততোই রাজ্যের যতোসব চিন্তা মাথাতে চলে আসে(আল্লাহ মাফ করুন) এমন ব্রেইন হলে হবেনা, আপনার ব্রেইনটাকে একদম কুল এন্ড ফ্রেশ রাখতে হবে এটাই সবচেয়ে টেলিকাইনোসিস প্রাথমিক এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন অংশ। এমন ফ্রেশ ব্রেইন করতে আপনি রাতের খোলা আকাশ কিংবা ভোরের আবহাওয়া ইত্যাদিকে কাজে লাগাতে পারেন।
আপনাকে কনসানট্রেট করা জানতে হবে, প্রায় সময় আমরা বিভিন্ন কাজ করি শুধুমাত্র অবচেতন মনেই রেগুলার এক্টিভিটি হিসেবে। যেমন প্রায় আমরা বিশেষত পাঠ্যবই পড়ি কেবলমাত্র চোখে দেখে ঠোটে উচ্চারণ মাত্র তাতে কনসানট্রেশন থাকে না…এমনি মন হলে হবেনা বরং আপনালে শতভাগ নিরবিচ্ছিন্ন মনোযোগী হতে হবে।
ফোকাস হলো টেলিকাইনোসিস এর মূল পার্ট যেখানে আপনার মনের যাবতীয় শক্তিকে Eye/hand হতে নির্গত করতে হবে (নিশ্চয়ই এইকথা শুনে হাসছেন তাইনা…. ওয়েট আই উইল এক্সপ্লেইন ইট লেটার, আফটারঅল নাউ কনসানট্রেট উইথ প্যাসেজ)। এমন ফোকাস অর্জন করতে আপনি হোয়াইট ক্রিস্টাল বল(এটা সচরাচর পাবেন না) বা এক প্লেট পানি অথবা নতুন আয়না নিয়ে তাতে একটি নির্দিষ্ট বিন্দু বরাবর তাকিয়ে থাকতে হবে। একইসাথে আপনি যেই রুমে এটি করবেন সেখানে যেন ঐ সময় বাইরে থেকে কোন আলো প্রবেশ করতে না পারে এবং সেই ঘরটিতে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে এমন প্র্যাকটিস করবেন।
প্রথমদিক ১০-১৫-২০-৩০ মিনিট এভাবে প্র্যাকটিস করবেন (এলার্ম দিয়ে রাখতে পারেন)। প্রথমদিন কিংবা এমন এক সপ্তাহ হয়তো কোন কিছুই ফিল করবেন না তবে এরপর হতে আপনার কনসানট্রেশন(২য় স্টেপ অনুযায়ী) ফিল করা শুরু করবেন। কি ফিল করবেন না কেমন ফিল করবেন সেটা ব্যক্তি বিশেষে বিভিন্ন হয়। যেমন কেউ কেউ অতিসূক্ষ্ম পারিপ্বার্শিক নড়াচড়া বা খুব দূর হতে আগত শব্দ শুনতে পাওয়া অথবা কাউকে টাচ না করেই তাকে ছোয়ার অনুভূতি দেওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন ইফেক্টিভ বৈশিষ্ট্য লাভ লাভ করে থাকবেন যা টেলিকাইনোসিসের একদম প্রারম্ভিক অবস্থা বা স্টেটমেন্ট। এটা ঠিক ততোদিনই চলবে যতোদিন না আপনার সম্পূর্ন মেন্টালি স্যাটিসফেকশন হয় যে আপনি শতভাগ টেলিকাইনোসিস পাওয়ার অর্জন করতে পেরেছেন এবং আপনার এই ক্ষমতা বাড়াতে ও নিয়ত ধরে রাখতে এটা প্র্যাকটিস করেই যেতে হবে।
EvilEye ও টেলিকাইনোসিস নিয়ে ভয়ংকর সত্যতা এবং আমার বাস্তব উপলব্ধি:
আমি যেহেতু এতোক্ষন এই টেলিকাইনোসিস নিয়ে বকবক করছি সেহেতু আমার ব্যক্তিগত এক্সপেরিয়েন্স বলা আবশ্যক নইলে মুখে মুখে এতোকথা বলা সারশূন্য!
এক ছেলে হওয়ার কারনে বাড়িতে ছোট থেকেই আমার ইচ্ছা আর জিদ সবসময় চলতো, নতুন বাড়ি করার পর তিনতালাতে একেবারে বেলকনির রুমটা আমি আবদার করায় সেটাই হলো আমার লিভিং রুম। এরপর টেলিকাইনোসিসের সেই বইটি নিয়ে রিসার্চ করতে আয়নাতে কালো টিম মার্ক দিয়ে সেটা নিয়ে এমনি প্র্যাকটিস শুরু করলাম। প্রথমদিন কেমন জানি ঘোরের মাঝে সময়টা কাটলো এরপর আস্তে আস্তে তাতে এডিকশন এমনভাবে শুরু হলো যে সারাক্ষণ মনে হতো এমন করেই তাকিয়ে থাকি, মাঝে মাঝে স্বপ্নের মাঝে মনে হতো যে আমি যেন আস্তে আস্তে উচুতে উঠছি এবং হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই ঘুম ভেঙ্গে যেতো এবং পড়ে গেলে যেমন ব্যাথা হয় ঠিক তেমনি একটা পেইন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফিল করতাম। এটা আমি যখন ক্লাস এইটে পড়ি তখনকার ঘটনা এরপর মা’কে সবকিছু শেয়ার করার পর তিনি আব্বাকে সবকিছু বললেন আর বাসায় হুজুর ডেকে আনা হলো। হুজুর আমাকে দেখে আমার সাথে একটু আলাদা কথা বলার জন্য আমার রুমে গেলেন এবং একগাল হেসে বলছিলেন “যা কিছু করছো সেগুলি আর করবেনা এবং আয়নাটা ফেলে দিও” এরপর সবার সামনে আমাকে ঝারফুক দেবার পর আব্বাকে বলেছিলো “এসব কিচ্ছু না, ফু দিয়ে গেলাম সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ”।
তিনি তৎকালীন কাটাবন মসজিদের (ঢাকা) ইমাম ছিলেন এবং আমার পরিবারের সাথে তার খুবই ভালো সম্পর্ক এবং আমার বাবার বাল্যবন্ধু।
এরপর আয়না ফেলে দিলেও ঐ বইটা এখনো আমার নিকটে আছে; তবে আমি সেটা কারো সাথে শেয়ার করবো না কেননা আমি চাইনা আমার দ্বারা কেউ বিপদে পড়ুক; সুতরাং টেলিকাইনোসিসের সাথে হয়তো প্যারানরমাল বিষয়ের যোগসূত্র থাকতে পারে [এটা আমার ধারনা মাত্র তাই ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ করলাম, এছাড়াও টেলিকাইনোসিসের এক্সট্রিম কিছু কিছু বিষয় ইসলাম প্রোহ্যাভিটেড সুতরাং আমি এসব বিষয়ে কাউকে সাজেস্ট করবো না। আমি শুধুমাত্র জানার উদ্দেশ্যেই সম্যকভাবে এটা ডিসক্রাইব করলাম]।
শেষকথা:
আপনি টেলিকাইনোসিস বিষয়ে আদতে সফল হতে পারবেন কিনা জানিনা তবে আপনার ভেতরে থাকা সুপ্ত শক্তিটাকে ভালো কাজে লাগান, আপনি শিশ্চিত সফল হতে পারবেন। বর্তমানে আমি নিজের কাছে একজন সফল মানুষ…. কেন জানেন? কারন এমন নয় যে আমি মাস শেষে ৩০/৩৫ হাজার টাকা ইনকাম করি, এমন নয় যে আমার কথাতে মুগ্ধ আমার ফ্রেন্ড সার্কেল আমার জন্য আজিজ মার্কেটে প্রতি শুক্রবার ওয়েট করে থাকে….বরং আমি আমার পরিবারের নিকট একটা ভালো ছেলে হতে পেরেছি যখন রাতে ঘুমানোর সময় আমি পূর্ন স্যটিসফেকশন নিয়ে ঘুমাতে পারি, জীবন আমাকে কতোটুকু দিয়েছে তাতে আমার মাথা ব্যথা নেই বরং আমি অন্যকে সেখান থেকে কতোটুকু দিতে পেরেছি সেটাই মুখ্য।
সবশেষে একটাই মেসেজ দিতে চাই সালাত কায়েম করুন।
ফেসবুকে আমি →নিশান আহম্মেদ নিয়ন
আল্লাহ হাফেজ
কিন্তু ভাইয়া এই বইটা কি PDF আকারে পাওয়া যাবে ইন্টারনেটে?
যেমন মিরর মানে পেয়েছিলাম দর্পন, এই দর্পনের মাঝে জানতে ছুটেছিলাম আম্মুর কাছে…এমনি করেই যতোটুকু বুঝতে সমর্থ হই আরকি।
তবে দুঃখিত পোস্টে স্পষ্ট করেই বলেছি যে বইটি সম্পর্কে পাওয়ার ব্যাপারে কোন সহায়তা করতে পারছি না, সরি ভাইয়া
আপনার ভদ্রতা ও কথা বলার স্টাইল সত্তিই অসাধারন…
ধন্নবাদ ভাইয়া এত বেস্ততার মাঝেও রিপ্লাইটা দেওয়ার জন্ন…?
আর বইয়ের নাম কি
সিলিং নাকি টেবিল?
আমি কোন ফ্যান বা ভক্ত ডিসার্ভ করিনা; ইটস আওর রিলেশনশিপ ইট বেটার লাইক ব্রাদার এজ মুসলিম উম্মাহ দেয়্যার আর নো এন্যি ডিফারেন্ট বিটুইন ইউ এন্ড মি????
তবে গঠনটা এভাবে নয় পদার্থ> অনু > পরমাণু > ইলেক্ট্রোন, প্রোটন, নিউট্রন > ফোটন।
এটা হবে পদার্থ> অনু > পরমাণু > ইলেকট্রন, নিউক্লিয়াস >প্রোটন, নিউট্রন >কোয়ার্ক>এবং বিজ্ঞানীরা ধারনা করেছেন ইলেকট্রন কিংবা কোয়ার্ক তৈরী হয়েছে স্ট্রিং দিয়ে।
তবে ম্যাটেরিয়াল দিক বিবেচনাতে নিউক্লিয়াস নিজে কোন পদার্থ নয় বরং তা নিউট্রন ও প্রোটন এর সমন্বয় মাত্র।
গঠনগত দিক বিবেচনা করলে এমন ক্রোম করা যায়।
আমার শুধু প্রটোন নিউট্রন নয় বরং আরো বহু বহু টেম্পরারী মৌলিক কণা আছে যা নিয়ত তার রূপ বদল করে। একইভাবে এই ইলেকট্রোন আর প্রটোনকে আলাদা পদার্থ বলতেও অনেক সায়েন্টিস্ট দ্বিধাবোধ করেন, তারা মনে করেন যে এই e ও p হলো পার্টিকেল-এন্টিপার্টিকেলের একটি সূক্ষ্ম নিদর্শন মাত্র যেখানে তারা দুজনে একসাথে মিলতে পারলে সে সেটা নিউট্রাল হতে পারে যেমনটা নিউট্রন।
আর স্ট্রিং তত্ত্ব আসলে কোয়ান্টাম মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্ব। কল্পনা করুন একটু চুম্বক হাতে নিয়ে আপনি দাড়িয়ে আছেন….ব্যাস তাহলেই মিটে গেল ফিজিক্সেরর এতোদিনের তর্ক:-)
আমার জ্ঞাঞানের স্বল্পতা থাকতে পারে, সেটা পূর্ণ করার জন্য ধন্যবাদ
Ami onekdin age Nat. Geography te ‘beyond magic with ___ ‘ name ekta show dekhsilam.Shekhane dekhay ekjon ke prothome ekti car nij hat diye tulte bola hoy.she pareni.Tarpor bola hoy tar family niye vabte.Vabte je tar family oi car er niche pore atke ache.tarpor oi lok oi car ta tulte success hoy.???
আমি ততক্ষণ পর্যন্ত আপনাকে সহায়তা করবো যতোক্ষন আপনি সচেতন, অন্ধ মানুষকে পথে এনে বিপদ ও বিপত্তি বাড়াতে চাইনা কেননা অন্ধ বিশ্বাসী মানুষকে সহায়তা করা সম্ভব নয় বড়জোর সিমপ্যাথি দেওয়া যায়
লেখক প্রফেসর রুদ্র
আরো একটি নতুন বই পেয়েছি সেবা প্রকাশনির অাত্মসম্মোহন
আপনার প্রতিটি পোস্ট ই অসম, জোস, নাইস, সুপার?
আর কি বলব ভাই ?
ভাল থাকবেন।
আর আপনার ফেসবুক আইডি টা যদি দিতেন যদি সমস্যা না থাকে ?
অবাক লাগে আপনার লিখাগুলো পড়ে… মনে হয় যেন টেক বিষয়ক কোনো সায়েন্স ফিকশন। খারাপ লাগল জেনে নিয়নবাতির শেষপর্ব এসে গেছে 🙁
আপনার লিখাগুলো মনে দাগ কেটে থাকবে ভাইয়া। সম্ভব হলে ফিরে আসবেন আবারও… ভালবাসা রইল…
“মনের যাবতীয় শক্তিকে Eye/hand হতে নির্গত করতে হবে”-এটা কিভাবে করতে হবে? এট তো বললেন না? কাইন্ডলি একটু বলুন প্লিজ!
?