আসসালামু আলাইকুম।
সবাই কেমন আছেন?
আল্লাহর রহমতে আমি ভালোই আছি
বরাবরের মতো আমি আজকেই একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। কি সম্পর্কে আজকে আমি পোস্ট করেছি তা আপনারা টাইটেল দেখেই বুঝে গিয়েছেন। তো আমি পোস্টের শুরুতে বেশি কথা বলবো না।
তো চলুন সরাসরি পোস্টে চলে যাওয়া যাক।
ভূমিকাঃ প্রায় তিন পাউন্ড ওজনের মস্তিষ্ক আমাদের চিন্তা, শিখন, সৃষ্টিশীলতা, আবেগ-অনুভূতি থেকে শুরু করে চোখের পলক ফেলা, শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃৎস্পন্দন প্রতিটি কাজ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাখে। এর বিস্ময়কর ক্ষমতার কারণে অনেক সময় একে মহাবিশ্বে এযাবতকালে আবিষ্কৃত সবচেয়ে জটিল জিনিস হিসেবেও অভিহিত করা হয়। এই মস্তিষ্ক সম্পর্কে কয়েকটি তথ্যঃ
সব চেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটারের চেয়ে শক্তিশালীঃ ধরুন কোন ছোট শিশু আপনার রান্নাঘরে ঢুকে চুলোয় হাত দিতে চলেছে। তাকে বাঁচানোর জন্য হয়ত এক বা দু’সেকেন্ড সময় পাওয়া যাবে। এসময়ের মধ্যেই আপনার চোখ আপনার মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায়, মস্তিষ্ক দ্রুত হিসেবে কষে ফেলে কখন কি গতিতে এগিয়ে গিয়ে শিশুটিকে বাঁচাতে হবে। সে অনুযায়ী মস্তিষ্ক পেশীকে নির্দেশ দেয় আপনি এগিয়ে যান এবং শিশুটি বেঁচে যায়। মস্তিষ্কের মত দ্রুততায় কোন সুপার কম্পিউটারের পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয়। চোখ, কানসহ প্রতিটি ইন্দ্রিয় থেকে আসা অসংখ্য তথ্য ক্রমাগত প্রক্রিয়াকরণ করে চলেছে মস্তিষ্ক।
মস্তিষ্কে তৈরি হওয়া মোট বিদ্যুৎ একটি বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানোর জন্য যথেষ্টঃ মস্তিষ্কে ১০০ বিলিয়নের মত নিউরন কোষ রয়েছে যা গুণতে শুরু করলে ৩,০০০ বছরের বেশি সময় লেগে যাবে। আমাদের স্বপ্ন দেখা, হাসি, চিন্তাভাবনা, নড়াচড়া সবকিছুই সম্ভব হচ্ছে এই নিউরন কোষগুলোর মধ্যে রাসায়নিক ও বৈদ্যুতিক সংকেতের আদানপ্রদানের ফলে। মস্তিষ্কের এই কাজ বিরামহীনভাবে চলতে থাকে। পৃথিবীর সমস্ত টেলিফোন ব্যবস্থায় যে পরিমাণ বার্তা আদানপ্রদান হয় মস্তিষ্কের নিউরনগুলো তার চেয়ে বেশি তথ্য আদানপ্রদান করে। সমস্ত নিউরনের বৈদ্যুতিক সংকেতগুলো একত্রে একটি বাতি জ্বালানোর জন্য যথেষ্ট।
নিউরনের তথ্য পাঠানোর গতি ঘণ্টায় ২৪১ কিলোমিটারঃ আপনার খালি পায় কোন মৌমাছি বসলে স্পর্শানুভূতি সৃষ্টিকারী নিউরন সুষুম্না কাণ্ডে (spinal cord) সে সংকেত পৌঁছে দেয়, সেখান থেকে মস্তিষ্কে ঘণ্টায় ২৪১ কিলোমিটার (১৫০ মাইল) বেগে সংকেত পৌঁছে যায়। এরপর মস্তিষ্ক মোটর নিউরনের মাধ্যমে ঘণ্টায় ৩২২ কিলোমিটার বেগে পায়ের পাতা নাড়ানোর সংকেত পাঠায়।
ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি আরও বুদ্ধিমান হয়ে ওঠেনঃ দৌড়ানো, খেলাধুলা ইত্যাদিতে হৃৎস্পন্দন আরও দ্রুত হয়, এটি মনকে প্রফুল্ল করে তোলে।
বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন ব্যায়ামের পর শরীরে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক নির্গত হয় যা মস্তিষ্কের শেখার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কাজেই কোন সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে আটকে গেলে কিছুটা সময় ব্যায়াম করে আসতে পারেন হয়ত তখন সহজেই সেটির সমাধান হয়ে যাবে।
আপনি শিখনের মাধ্যমে মস্তিষ্কের গঠনে পরিবর্তন আনতে পারেনঃ শুরুতে সাইকেল চালানো অসম্ভব মনে হলেও আপনি এক সময় তা শিখে ফেলেন। অনুশীলনের ফলে মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর নিজেদের মধ্যে সংকেত আদান প্রদানের জন্য নতুন সংযোগ তৈরি হয় যা সাইকেল চালানোর জন্য প্রয়োজন। আসলে প্রতিবার কিছু শেখার মাধ্যমে আপনি মস্তিষ্কের গঠনে পরিবর্তন আনছেন। নতুন চিন্তাভাবনা বা স্মৃতির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
তো আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা নিয়ে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
ধন্যবাদ
Osadaron Tnx
ধন্যবাদ
Cool! ?
awesome post thanks….
♥