Be a Trainer! Share your knowledge.
Home » LifeStyle » [লাইফ স্টাইল] হাসি-খুশি থাকার ১০ উপায়

[লাইফ স্টাইল] হাসি-খুশি থাকার ১০ উপায়

অনেকে অকারণেই মন খারাপ করে থাকে। মন খারাপ বা না হাসা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। হাসিখুশি থাকলে মানুষকে শুধু দেখতেই সুন্দর লাগে না, তার হৃদপিণ্ডসহ শরীরের অঙ্গগুলোকেও রাখে ভালো। জেনে নিন কিভাবে।

শুধু একটু হাসি!
সকালে বাইরে যাওয়ার সময় রাস্তায় অপরিচিত কাউকে দেখে মিষ্টি করে হাসুন এবং তার অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকা উপভোগ করুন। কিছুক্ষণ পরেই যখন সে পাল্টা হাসবে, দেখবেন নিজের কাছে ভীষণ ভালো লাগবে। এই ভালো লাগার অনুভূতিটুকু সারাদিন সঙ্গে রাখুন, দেখবেন দিন ভালো কাটবে।

পাহাড়ে ওঠুন
যখন কোনো পাহাড় বা উঁচু জায়গায় উঠবেন বা দাঁড়াবেন, দেখবেন কেমন ভালো লাগছে। ওপরে উঠার কষ্ট, শক্তি, সাহস, সব মিলিয়ে এক অন্যরকম অনুভূতি আর বিশ্বাস এনে দেয়। অর্থাৎ কিছু চাইলে, সেটা কিন্তু খানিকটা চেষ্টা করলেই পাওয়া যায়। আর এর সঙ্গে যদি কিছুটা ভালো লাগা মিশে থাকে, তাহলে পাওয়ার আনন্দ এবং আত্মবিশ্বাস আরো বেড়ে যায়।

ডায়েরিতে লিখুন
ডায়েরিতে লেখা শুরু করতে পারেন, তবে পুরো পাতা ভর্তি করে কিছু লেখা নয়। শুধুমাত্র প্রতিদিন একটি করে বাক্য লিখুন, অর্থাৎ দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি, আপনি যা করেছেন বা করতে চান এমন কিছু। যাতে বোঝা যায় জীবনের কোন সিঁড়িতে আপনি বর্তমানে দাঁড়িয়ে আছেন বা আপনার বর্তমান মনের অবস্থা কেমন।

পুরনো বন্ধুদের ফোন করুন

যেসব বন্ধুদের সাথে অনেকদিন কোনো যোগাযোগ নেই তাঁদের কাউকে ফোন করে একটু খোঁজখবর নিন বা পুরনো কিছু নিয়ে স্মৃতিচারণ করুন। পুরনো বন্ধুত্বে ধুলো পড়তে না দিয়ে সেটা আবার চাঙ্গা করে তুলুন, দেখবেন খুব ভালো লাগবে। ছোটবেলার বন্ধু বা ছাত্রজীবনের বন্ধুত্বের মূল্য অনেক বেশি। আসলে সে সময়কার বন্ধুত্বকেই তো বলে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা বা বন্ধুত্ব।

অপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্যদের দিয়ে দিন
বাড়িতে নিশ্চয়ই এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা আপনার একেবারেই প্রয়োজন নেই বা হবে না। যেমন পুরনো পোশাক, বই, সংসারের অন্যান্য জিনিসপত্র। এগুলো এমন মানুষদের দিয়ে দিন, যাঁদের কাজে লাগবে বা লাগতে পারে। এমনটা করলে ভালো লাগার অনুভূতি জন্মায়। তাছাড়া এতে একদিকে আপনার ঘরের জায়গা খালি হলো, আবার অন্যদিকে অন্য কারো কাজেও লাগলো।

শিশুদের মতামত নিন
শিশুরা চিন্তা-ভাবনা করে অন্যভাবে। ওরা সব জিনিসই দেখে একটু আলাদা দৃষ্টিতে। তাই তা বড়দের জন্য বাড়তি পাওয়া। সে কারণেই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনার শিশু বা সন্তানের মতামত নিন। এতে লাভ ছাড়া ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

মেডিটেশনে বসুন
মেডিটেশন করার হাজারো নিয়ম আছে। যাঁরা নতুন করে শুরু করছেন, তাঁরা চুপ করে বসে শুধু নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে নজর দিন। চিন্তা অন্যদিকে চলে গেলে তাকে আবার ফিরিয়ে আনুন। এ সময় মোবাইল ফোন বন্ধ রাখুন। অর্থাৎ পুরো মনোযোগ থাকবে মেডিটেশনে। এর ফলে মন শান্ত হবে, থাকবে নিয়ন্ত্রণেও। মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে পৃথিবীর সব কিছুকেই সহজ মনে হয়।

বাবা-মায়ের কাছ থেকে পুরনো গল্প শুনুন
বাবা-মা কিংবা দাদা-নানার কাছ থেকে আগ্রহ নিয়ে তাঁদের আমলের গল্প শুনুন, দেখবেন নতুন কিছু জানতে পারছেন। আর তা যদি না হয় তাহলে তাঁদের প্রশ্ন করুন, জানুন নানা কথা, গল্প। ভালো এবং মন্দ সময়ের গল্প জেনে নিন, যা আপনার জীবনে অবশ্যই কাজে দেবে, আপনাকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।

দুঃচিন্তাকে দূরে রাখুন
ধনী, গরিব, ছোট, বড় সকলের জীবনেই কোনো না কোনো সমস্যা থাকে, যা খুবই স্বাভাবিক। তাই সমস্যা নিয়ে না ভেবে তা ঠান্ডা মাথায় সহজভাবে নিন এবং ধীরে ধীরে একটি একটি করে সমস্যার সমাধান করুন। দেখবেন কোনো সমস্যাই আর বড় সমস্যা মনে হচ্ছে না। সমস্যাকে দূর থেকে দেখলে পৃথিবী এবং পৃথিবীর মানুষগুলোকে অনেক সহজ আর সুন্দর মনে হবে!

জীবন নিয়ে কৃতজ্ঞ থাকুন

আমরা যে কত ভালো আছি তা হয়ত আমরা জানি-ই না, অর্থাৎ আমরা ভাবি যে জীবনে সব কিছুই আমাদের প্রাপ্য। যখন কিছু হারিয়ে যায় বা বার বার চেয়েও পাই না, তখন বুঝি যে তা কত মূল্যবান। তাই যা পাইনি তা না ভেবে পরিবার, অর্থ, শান্তি, সুস্বাস্থ্য, অর্থাৎ জীবনে যা আমরা পেয়েছি তার প্রতি যদি আমাদের কৃতজ্ঞতা বোধ থাকে, তাহলে জীবনকে সুন্দর মনে হবে। হিংসা এবং ঈর্ষা থেকে আমাদের রক্ষা করবে জীবনের প্রতি এই কৃতজ্ঞতাবোধ।

9 years ago (Sep 20, 2015)

About Author (402)

Shadhin
author

প্রযুক্তিকে ভালবাসি...

Trickbd Official Telegram

Leave a Reply

Switch To Desktop Version