প্রায় দেড় বছর আগে ট্রিকবিডিতে আমি হস্তমৈথুনের কুফল নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। তবে সে পোস্টটিতে আমি অনেক তথ্যই মিস করেছি এবং অনেক কিছুই বাদ পড়েছিল। আজকে আপনাদেরকে আমি একটি পরিপূর্ণ আর্টিকেল শেয়ার করব হস্তমৈথুনের কুফল সম্পর্কে এবং কিভাবে এটা থেকে প্রতিকার পাবেন আপনারা?
আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যাবেন, তাহলে আপনার লস হবে না। আমি ট্রিকবিডিতে কয়েকদিন নিয়মিত তরুণ সমাজের কিছু বাজে আসক্তির কুফল এবং এটা থেকে প্রতিকারের উপায় নিয়ে পোস্ট করব আশা করি আপনারা সঙ্গে থাকবেন আমাদের আজকের বিষয়, হস্তমৈথুন এবং এর কুফল এবং এর প্রতিকার।


হস্তমৈথুন কি শরীরের পক্ষে স্বাস্থ্যকর নাকি অস্বাস্থ্যকর?

তাহলে প্রথমে আপনি আমায় এটা বলুন যে ড্রাগস কি শরীরের পক্ষে স্বাস্থ্যকর নাকি অস্বাস্থ্যকর? যখন ড্রাগস একটা নির্দিষ্ট লিমিটেড গ্রহণ করা হয় তখন সেটাকে মেডিসিন বলে। আর যখন লিমিটেড থেকে বেশি পরিমাণে নেওয়া হয় তখন সেটা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সাইনটিফিক রিসার্চজে এটা জানা গেছে খুব অল্প ড্রাগস যেমন হেরোইন আমাদের শরিলে যে রকম ক্যামিক্যাল পরিবর্তন ঘটায় হস্তমৈথুনের ফলে আমাদের একই রকম কেমিক্যাল চেঞ্জ করে।

তাই অনেকেই এটাকে হিরোইনের মতই মনে করেন। কেউ যদি একবার এই এডিকশনে ফেসে যায় তো সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রচুর ইচ্ছা শক্তি প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কারণ কি, এই এডিকশনটা ভীষণ শক্তিশালী। আমাদের সবসময় টেস্টোস্টেরন হরমোন ক্ষরিত হয় যেটা আমাদের উত্তেজনা তৈরি করার জন্য দায়ী তৈরি করার জন্য দায়ী।

আবার এই একই হরমন আমাদের শরিল গঠন করে।

তাই আপনি যদি নিজের দেহ থেকে এই হরমন বের করে দিতে থাকেন তবে তার জন্য আপনার শরীরের গঠন তৈরিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

এবার আশা মানষিক ব্যাপরে।
অত্যাধিক মাত্রায় পর্ন ভিডিও দেখলে বা হস্তমৈথুনের ফলে আমাদের মাথায় সব সময় সেক্স রিলেটেড চিন্তা ঘুড়াফেরা করতে শুরু করতে থাকে।

যার ফলে যে কোন রকম চিন্তা মাথায় চলে আসতে শুরু করে দেয়। আর পরে আমরা নিজেরাই ভাবি ইশ আমি কত বাজে হয়ে যাচ্ছি।

এবার আমি আপনাকে বলি, এটা নিয়ে এতো চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই। এরকম হচ্ছে কারণ আপনি সারাদিন ধরে শুধু আপনি এইসভ চিন্তাই করছেন। অন্য কোন বিষয় নিয়ে সারাদিন ভাবতে থাকুন, আপনার চারিদিকে সারাদিন ওই রিলেটেড জিনিসে আপনার চোখে পড়বে। যেমন একজন বিজনেসম্যান সবকিছুতেই দেখে সম্ভাবনা। একজন কবি সবকিছু তেই সাহিত্য দেখতে পায়। এরকমই আমরা যে জিনিসের ব্যাপারে সারাদিন ভাবতে থাকি আমরা আমাদের চারিদিকে সেই জিনিসটাই দেখতে পাই।

কারণ কেউই নিজের মস্তিষ্কের দাস হয়ে থাকতে পছন্দ করে না। তাই এই দাসত্ব থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব এটাই আজ আমি বেস্ট সেলিং বুক পাওয়ার অফিস থেকে আপনার সাথে শেয়ার করব।

আমারা মোবাইল ল্যাপটপ টা খুলে ভিডিওগুলো প্লে করি আর বাকিটা তো আপনি জানেন, যখনই আমরা এই রুটিন ফলো করতে শুরু করি এবং আমাদের ভেতর চেঞ্জ শুরু হয়ে যায় এবং জড়িত হতে শুরু করি এই এডিকশনে যেটা আমাদের ব্রেনের সার্কিট একটিভেট করে দেয় এবং আমরা একটা প্লিজারিং অনুভব করতে শুরু করি, এই ফিলিংস তাই আমাদের কাজ করে এবং আমরা আমাদের এই অভ্যাস কন্ট্রোল করতে পারি না কারণ এই জিনিসটা আমাদের সামান্য কন্ট্রোলে থাকে, কিন্তু আমরা চাইলে অনেকটা পরিবর্তন আনতে পারি। আর এরকম পরিবর্তন করার জন্য শুধুমাত্র রুটিন পরিবর্তন আনা প্রয়োজন কিন্তু এরকম নয় যে একদিনের মধ্যেই পুরো রুটিনটা সম্পূর্ণ বদলে ফেলতে হবে। ধীরে ধীরে বদলাতে হবে,।

আমরা কিভাবে পরিবর্তন আনতে পারি?
ভালো হয় মোবাইলটা হাতে নিয়ে উল্টোপাল্টা ভিডিওগুলো ঘাটাঘাটি না করা,
আর আমি বলছি না কোন জায়গায় বড় পরিবর্তন থাকা খুবই প্রয়োজন। তাই সবার আগে আপনার একটা বড় কারণ আপনি নিজেই খুঁজে বার করতে পারেন। আপনি চাইলে সেটা খুঁজতে আপনাকে সাহায্য করতে পারি।

শুধুমাত্র একটা অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে যেটায় একটা টার্গেট দেওয়া হবে, আপনাকে ফলো করতে হবে সেই এ্যাপ।
ফলে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করা আপনার পক্ষে সম্ভব হবে না। এ্যাপসের নাম Samsung health,
যে এপসটি অফিশিয়াল ভাবে তৈরি করেছে Samsung, প্লে স্টোরে সার্চ করলে পোয়ে যাবেন আর যদি আপনি Samsung user হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার ফোনে ডিফুল্ট ভাবে দেয়া থাকবে।
এই অ্যাপটি আপনাকে ফিটনেস থাকার জন্য বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করবে ব্যবহার করে দেখতে পারেন
সপ্তাহে একবার হস্তমৈথুন করা দোষের কিছু না (মেডিকেল সাইন্সের মতে তবে ইসলামে একদম নিষিদ্ধ) আমি যেরকম বললাম সে রকম কাজ করলে খুব বড় পরিবর্তন আনাটা কঠিন কিছু না।

একটি জিনিস তখনই ভালো যখন আপনি সেটা সীমার মধ্যে ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত হয়ে গেলে কোন কিছুই আমাদের জন্য ভালো না।
আর সবচেয়ে ভালো হয় এই সময় আমাদের সব ধরনের আজেবাজে চিন্তা, পর্ণগ্রাফি আসক্তি থেকে নিজেকে দূরে রাখা।
আপনি কতটা সুখী সেটা নির্ভর করবে আপনি কতটা সুস্থ তার উপর।

আপনি সূস্থতার মূল্য তখনই বুঝতে পারবেন যখন আপনি অসুস্থ হয়ে যাবেন।
যখন আপনি অসুস্থ হয়ে যাবেন তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে সুস্থতা আল্লাহ তাআলার কত বড় একটা নিয়ামত। তাই আসুন আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর এমন আজেবাজে জিনিস ত্যাগ করি এবং সুস্থ থাকি।

আমি ট্রিকবিডিতে কিছুদিন তরুণ সমাজের কিছু বাজার শক্তি নিয়ে লেখালেখি করব এই বিষয়ে যদি আপনাদের আরো কোনো মতামত থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে অ্যাড করতে পারেন তাহলে আমিও জানতে পারবো সাথে অন্যেরাও জানতে পারবে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ।

14 thoughts on "হস্তমৈথুন করছেন? দেখুন হস্তমৈথুন কিভাবে আপনার জীবন কে ধ্বংস করছে?"

    1. Mohammad Zakaria Contributor Post Creator says:
      Tnx
  1. Nazmul Islam Author says:
    ধন্যবাদ
  2. Md.Ariful Islam Author says:
    good article…..go ahead….
  3. Sujonmax Contributor says:
    হস্তমৈথুনের অভ্যাস ত্যাগ করা খুবই কঠিন একটা বিষয়।
  4. S Hosen Shamim Contributor says:
    আমিতু শেষ হইয়ে গেলাম তাহলে,,?
  5. Blandarif Contributor says:
    ধন্যবাদ
  6. Kawsar Azad Contributor says:
    চালিয়ে যাও ব্র।

Leave a Reply